রেজ্জাক কাণ্ডের পরেও ভাঙড়ের আরাবুল ইসলামকে দল থেকে সরাল না তৃণমূল। তবে ভারসাম্য বজায় রাখতে তাঁর প্রবল বিরোধী বলে পরিচিত বহিষ্কৃত নেতা নানু হোসেনকে দলে ফিরিয়ে নেওয়া হল।
বৃহস্পতিবার দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলা তৃণমূল সভাপতি চৌধুরী মোহন জাটুয়া জানান, আসন্ন পঞ্চায়েত নির্বাচনের জন্য ভাঙড় ১ ও ২ ব্লকে ১১ সদস্যর সাংগঠনিক কমিটি গড়া হয়েছে। তাতে আরাবুল যেমন আছেন, রয়েছেন নানু হোসেনও। কাইজার আহমেদ নামে আরাবুল-বিরোধী আর এক নেতাকেও নির্বাচন কমিটিতে গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে।
গত বিধানসভা নির্বাচনে নানু নির্দল প্রার্থী হিসেবে আরাবুলের বিরুদ্ধে লড়াই করেছিলেন। ভোট কাটাকাটির অঙ্কে ভাঙড় বিধানসভায় সিপিএমের কাছে হারে তৃণমূল। ওই পরাজয়ের জন্য প্রকাশ্যেই নানুকে দায়ী করেছিলেন আরাবুল। এমনকী সপ্তাহখানেক আগে জেল থেকে ছাড়া পেয়েই ঘটকপুকুর মোড়ে পথসভায় আরাবুল অভিযোগ করেন, এক ‘নির্দল প্রার্থী’ নানা ভাবে ভাঙড়ে দলের সংগঠনের ক্ষতি করছেন। তৃণমূল সূত্রের খবর, নানুকে ফেরানোর ব্যাপারে আরাবুলের প্রবল আপত্তি ছিল। কিন্তু স্থানীয় নেতৃত্বের মধ্যে সমন্বয় এবং ভারসাম্য বজায় রাখতেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। নানু ছাড়াও বলে তৃণমূল সূত্রে খবর। সাংগঠনিক কমিটি গঠন করা হয়েছে। জেলা নেতাদের একাংশের ব্যাখ্যা, এই পরিস্থিতিতে নানুকে দলে ফিরিয়ে আরাবুলকে কার্যত বুঝিয়ে দেওয়া হল যে দল তাঁর মতামতকে গুরুত্ব দিচ্ছে না। আরাবুল অবশ্য এ নিয়ে কোনও মন্তব্য করতে রাজি হননি। |