সাড়ে পাঁচ কিলোমিটার রাস্তার শিলান্যাস নিয়েই যত ঝক্কি।
প্রধানমন্ত্রী গ্রাম সড়ক যোজনায় মুর্শিদাবাদ-জিয়াগঞ্জ পঞ্চায়েত সমিতির ডাহাপাড়া পঞ্চায়েতের এলাহিগঞ্জ গ্রামের গড়দা থেকে ঝামুয়া হয়ে খোজারডাঙা মসজিদ পর্যন্ত সাড়ে ৫ কিমি রাস্তা তৈরির কথা। দরপত্র ঘোষণার পরে ওয়ার্কঅর্ডার বের হয়েছে। কাজ শুরুর অপেক্ষা। ওই কাজের জন্য কেন্দ্রীয় বরাদ্দ ৩.২৩ কোটি টাকা। পঞ্চায়েত ভোটের আগে সে রাস্তার শিলান্যাসের কৃতিত্বের ভাগ নিতে কংগ্রেস ও সিপিএম দু দলই মরিয়া। ১২ মার্চ মুর্শিদাবাদ লোকসভা কেন্দ্রের কংগ্রেস সাংসদ মান্নান হোসেন শিলান্যাস করে ইতিমধ্যেই ফলক লাগিয়ে দিয়েছেন। দিন কয়েকের মধ্যেই পাল্টা শিলান্যাস করে ফলক লাগিয়েছে সিপিএম-ও। মুর্শিদাবাদ জেলাপরিষদের সভাধিপতি পূর্ণিমা দাস সে কথা মেনেও নিয়েছেন। দু-দুটি ফলক নিয়ে এখন জ্বলজ্বল করছে সড়কের দু-প্রান্ত।
স্থানীয় কংগ্রেসের দাবি, প্রধানমন্ত্রী গ্রাম সড়ক যোজনা খাতে ওই রাস্তা তৈরির জন্য প্রথম উদ্যোগ দেখিয়েছিলেন সাংসদ মান্নান হোসেন। তাঁর চাপেই কেন্দ্রীয় সরকার অর্থ বরাদ্দ করেছে। জেলাপরিষদের সভাধিপতি পূর্ণিমা দাস পাল্টা বলেন, “জেলাপরিষদের তত্ত্বাবধানে প্রধানমন্ত্রী গ্রাম সড়ক যোজনা খাতে রাস্তা তৈরির কাজ হয়ে থাকে। ওই প্রকল্পের আওতায় যাবতীয় কাজ করে থাকে জেলাপরিষদের ওয়েস্টবেঙ্গল স্টেট রুর্যাল ডেভলপমেন্ট এজেন্সি। তা সত্ত্বেও জেলাপরিষদকে অন্ধকারে রেখে একতরফা ভাবে রাস্তার শিলান্যাস অনুষ্ঠানের আয়োজন করে কংগ্রেস। আমরা প্রতিবাদে এলাকার মানুষকে সঙ্গে নিয়ে ওই রাস্তার শিলান্যাস অনুষ্ঠান করেছি।”
কংগ্রেসের অভিযোগ, ভোটের মুখে রাস্তার শিলান্যাস অনুষ্ঠানের কৃতিত্বের দাবিদার হয়ে সিপিএম হারানো মাটি ফিরে পেতে চাইছে। সিপিএমের অভিযোগ, এলাকার মানুষের কাছ থেকে দূরে সরে গিয়েছে বলেই যে সব রাস্তার ওয়ার্কঅর্ডার বের হয়নি, সেই রাস্তারও শিলান্যাস করে কংগ্রেস এলাকাবাসীর মন জয় করার মিথ্যা চেষ্টা করছে। |