ধন্দে পুলিশ
খাকি পোশাকে কিশোরী ‘অপহরণ’
দুষ্কৃতী না পুলিশ?
সেই ধন্দ কাটার আগেই গাড়িতে তুলে ‘অপহরণ’ করা হয়েছে বছর পনেরোর এক কিশোরীকে। বুধবার গভীর রাতে বহরমপুরের মণীন্দ্রনগর থেকে ওই কিশোরীর সঙ্গে তার বাবাকেও ‘অ্যারেস্ট ওয়ারেন্ট’ আছে বলে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে যায় ওই দুষ্কৃতীরা। পরণে সকলেরই খাঁকি উর্দ্দি। হাতে পিস্তল। কিন্তু কেন তাদের গ্রেফতার করা হল, বার বার প্রশ্ন করেও তার উত্তর মেলেনি। ঘণ্টাখানেক পর কিশোরীর বাবাকে প্রায় জোর করে রাস্তায় নামিয়ে মেয়েটিকে নিয়ে পালিয়ে যায় ওই যুবকেরা।
পুলিশ অবশ্য ঘটনার কোনও কিনারা করতে পারেনি। জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ইন্দ্র চক্রবর্তী তা কবুলও করেছেন। তিনি বলেন, “ওই কিশারীকে উদ্ধার করা ও দুষ্কৃতীদের গ্রেফতারের ব্যাপারে বহরমপুর ও রেজিনগর থানা যৌথ ভাবে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।”
অপহৃত কিশোরীর বাড়ি রেজিনগর থানার দাদপুর গ্রামে। গত বছর মাধ্যমিক পরীক্ষা দিয়ে সে উত্তীর্ণ হতে পারেনি। গ্রামেই তার বাবার একটি সেলুন রয়েছে। অভিযুক্ত আজিরুলের বাড়ি পাশের ছেতিয়ানি গ্রামে। বছর পঁয়তাল্লিশের আজিরুলের ৪ সন্তান ও স্ত্রী রয়েছে। বছর দুয়েক আগে আজিরুলের সঙ্গে ওই কিশোরীর পরিবারের পরিচয় হয়। পরে ঘনিষ্ঠতা বাড়ে। কিশোরীর মা বলেন, “আমার মেয়েকে আজিরুল মেয়ে বলে ডাকত। অথচ সেই কিনা মাস দুয়েক আগে আমার মেয়েকে বেঙ্গালুরু নিয়ে গিয়ে বিক্রি করে দেওয়ার চেষ্টা করেছিল। ছেতিয়ানির কয়েকজন যুবক বেঙ্গালুরুতে রাজমিস্ত্রির কাজ করে। তাঁদের চেষ্টায় দিন সাতেক পর আমার মেয়েকে ফিরে পাই।”
কিশোরীর মামার বাড়ি বহরমপুরের মণীন্দ্রনগরে। কিশোরীর বাবা বলেন, “দাদপুরে বসবাস করা নিরাপদ হবে না বুঝতে পেরে মাস দুয়েক আগে মেয়েকে মণীন্দ্রনগরে তার মামার বাড়িতে রেখে যাই। আজিরুলের ভয়ে মেয়ে এ বার মাধ্যমিক পরীক্ষাতেও বসতে পারেনি। সপরিবারে দাদপুরে বসবাসের পাঠ চুকিয়ে দিয়ে মণীন্দ্রনগরে থাকার জন্য আমার শ্বশুরবাড়িতে একটি টালির ঘর তৈরির কাজ শুরু করি। সেই কাজ দেখতে বুধবার রাতে আমি শ্বশুরবাড়িতে গিয়েছিলাম।” সেখানেই বুধবার রাত একটা নাগাদ পুলিশের পোশাক পরা ৫ জনের সশস্ত্র একদল দুষ্কৃতী ওই কাণ্ড ঘটায়।
বিঘ্ন খেয়া পারাপার। হোটেল থেকে ছোড়া মদের বোতলের ঘায়ে জখম হন এক নৌকা যাত্রী। ফলে ক্ষুব্ধ যাত্রীরা বন্ধ করে দেন খেয়া পারাপার। ভিড় জমে ঘাটে। ঘণ্টা খানে ক পর পুলিশ গেলে আবার স্বাভাবিক হয় ঘেয়াঘাট। পুলিশ জানায়, বুধবার বেলা এগারোটা নাগাদ পাশের এক লজ থেকে স্বরুপগঞ্জগামী একটি খেয়ায় মদের বোতল ছোড়া হয়। জখম হন স্থানীয় ব্যবসায়ী সঞ্জিত দেবনাথ। যে হোটেলের বিরুদ্ধে অভিযোগ, তার মালিক সুবোধ সাহা বলেন, “আমার হোটেলের ঘরে মদ্যপান নিষিদ্ধ।”



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.