মায়ানমারের কাছে হেরেও চমকপ্রদ ভাবে ফিফা র্যাঙ্কিং-এ ২৪ ধাপ এগিয়ে গেল ভারত। বৃহস্পতিবার ফিফার সদ্য প্রকাশিত র্যাঙ্কিং -এ সুনীল ছেত্রীরা ১৬৭ থেকে এক লাফে উঠে এসেছেন ১৪৩ নম্বরে। ভারতীয় ফুটবলের সাম্প্রতিক ইতিহাসে যে ঘটনা নজিরবিহীন।
১৯৯৬-এ ফিফা র্যাঙ্কিং-এ ৯৪ নম্বরে পৌঁছেছিল ভারত। ’৯৩-এ ১০০, ’৯৮-এ ১১০ এবং ’৯৯-এ ১০৬। তার পর থেকে ক্রমাগত পিছিয়েই গিয়েছে ভারত। গত মাসে ভারতের র্যাঙ্কিং ছিল সর্বনিম্ন, ১৬৯। এত অল্প সময়ের মধ্যে হঠাৎ করে ভারত এতগুলো ধাপ উঠে এল কী ভাবে? এএফসি কাপের কোয়ালিফাইং রাউন্ডে মায়ানমারের কাছে হারলেও, চিনা তাইপে ও গুয়ামকে গ্রুপ লিগের ম্যাচে হারিয়ে ৭৯ পয়েন্ট সংগ্রহ করেছে ভারত। ম্যাচের ফলাফল তো বটেই, বিপক্ষ দলের মান ও সেই দল যে কনফেডারেশনের অধীন, তার মান এবং ম্যাচের গুরুত্বের উপরও নির্ভর করে এই র্যাঙ্কিংয়ে পাওয়া পয়েন্ট। এই সব বিচার করে চলতি মাসের ফিফা র্যাঙ্কিংয়ে উইম কোভারম্যান্সের দলের মোট পয়েন্ট দাঁড়িয়েছে ১৭৭। তবে ভারত ফিফা র্যাঙ্কিং-এ ২৪ ধাপ এগোলেও, তাতে উচ্ছ্বসিত নন জাতীয় দলের কোচ উইম কোভারম্যান্স। তাঁর কথায়, “কয়েক ধাপ ওপরে উঠলাম না নেমে গেলাম, সেটা বড় কথা নয়। ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে হবে। জাতীয় দলের খেলা ও ক্লাবগুলোর খেলার ধাঁচ এক রকম না হলে তরুণ ফুটবলার উঠে আসবে না।”
কোভারম্যান্সের সঙ্গে প্রায় একমত প্রাক্তন ফুটবলাররাও। জামিয়া মিলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রাক্তন জাতীয় কোচ রহিম সাহেবের স্মারক ফুটবল প্রতিযোগিতা দেখতে এসে তুলসীদাস বলরাম বললেন, “যে দল মায়ানমারের মতো দলকে হারাতে পারে না, তাদের র্যাঙ্কিং বাড়ল না কমল, তাতে কী আসে যায়? ১৯৫৬-র অলিম্পিকে চতুর্থ হয়েছিলাম আমরা। এশিয়াডে সোনা পেয়েছি। এখন ভারতীয় ফুটবলের মান এত নেমে গিয়েছে যে, এখন খেলাও দেখি না।” ১৯৭০ এশিয়ান গেমসের ব্রোঞ্জ পদকজয়ী দলের সদস্য মহম্মদ হাবিবও বলরামের সঙ্গে একমত। বললেন, “শুনেছি খবরটা। কিন্তু ভাবুন, যে বার্মা দলকে আমরা চার-পাঁচ গোলে হারাতাম, তাদের কাছে এখন হারছি। এই অবস্থায় জাতীয় দলের কোচ যদি ভারতীয় হত, তা হলে কত কথাই না হত!” |