প্রতিভার খামতি নেই। কিন্তু ফুটবল জীবনের বেশির ভাগ সময়টাই প্রদীপের তলার অন্ধকারে থেকে গিয়েছেন তিনি। যুবভারতীতে রবিবাসরীয় ডার্বিতে পাদপ্রদীপের আলোয় কি তিনি ঝলমল করবেন?
অনুশীলন শেষে বাড়ি ফেরার পথে রহিম নবি প্রশ্নটা শুনেই দাঁড়িয়ে গেলেন। তার পর সতীর্থ কুইনটন জেকবস সম্পর্কে দেশের বর্ষসেরা ফুটবলারের মূল্যায়ন, “ওর পা দুটো পরিষ্কার। বড় ম্যাচে কামাল করতেই পারে। বল ধরে পাসটা ভালই রাখে। ও খেললে ওডাফা আরও নিশ্চিন্তে খেলতে পারবে।” স্কটিশ লিগে খেলার সময় এক বার কর্নার থেকে সরাসরি গোল করার নজির রয়েছে কুইনটনের। রবিবারের বড় ম্যাচের আগে সবুজ-মেরুন শিবিরের আকাশে যখন চোটের কালো মেঘ, তখন মোহনবাগান মাঝমাঠে আশার সূর্য নামিবিয়ার জাতীয় দলের প্রাক্তন অধিনায়ক। |
চোটের কারণে অনিশ্চিত টোলগে ওজবে। তবে রয়েছেন করিম বেঞ্চারিফার গোলমেশিন ওডাফা ওকোলি। ইদানীং ওডাফাদের ‘গোলমেশিন’-এ অফুরন্ত ‘ফুয়েল’ জুগিয়ে যিনি সচল করে চলেছেন নামিবিয়ার সেই কুইনটন জেকবসের মুখে যদিও কুলুপ। কোচের কড়া নির্দেশ, তাই কথা বলা যাবে না। অনেক চাপাচাপির পর শেষ ডার্বিতে (চলতি বছরের নয় ফেব্রুয়ারি) শেষের দিকে মাঠে নামা কুইনটন বললেন, “অতীতে দক্ষিণ আফ্রিকায় এ রকম বড় ম্যাচ খেলার অভিজ্ঞতা রয়েছে। নিজের সেরাটাই দেওয়ার চেষ্টা করব।”
হাসিখুশি, শান্ত স্বভাবের কুইনটন যখন বড় ম্যাচের জন্য চোয়াল শক্ত করে প্রস্তুত হচ্ছেন, তখন বাগান কোচ করিম বেঞ্চারিফার ঘুম ছুটেছে টোলগে-নবি-ডেনসনদের চোট-আঘাত সামাল দিতে। তালিকায় নাম রয়েছে স্নেহাশিস, শিল্টনদেরও। হ্যামস্ট্রিং শক্ত হয়ে যাওয়ায় টোলগের মতো নবিও অনিশ্চিত। এ দিন অনুশীলন করেননি। তবে করিমের ‘এসিয়েন’ বলছেন, “শেষ পর্যন্ত খেলার চেষ্টা করব। বড় ম্যাচের আবেগ থেকে কে দূরে থাকতে চায়! ম্যাচটা জিতলে অনেক কিছুর জবাব দেওয়া যাবে। তবে শেষ কথা বলবেন কোচ।” সবুজ-মেরুন শিবিরের ভিতরের খবর, ডেনসন এবং নবিকে সুস্থ করার জন্য বাগানের সমস্ত সাপোর্ট স্টাফ সক্রিয় জোরকদমে। |
ডার্বিতে মরসুমে প্রথম বার জয়ের হাতছানি। কিন্তু সেখানেও রক্তচক্ষু দেখাচ্ছে চোট-আঘাত। যদিও মোহনবাগান কোচ করিম বেঞ্চারিফা সে সব ফ্যাক্টরকে পাত্তা না দিয়েই বলছেন, “বড় ম্যাচে চাপ তো থাকবেই। এ বারও রয়েছে। তবে সেটাই ছেলেদের বাড়তি অনুপ্রেরণা।”
|