ঘরের শত্রু বিভীষণ!
কোস্তারিকার ক্লাব সাপ্রিসার যাবতীয় খবর যিনি এলকো সাতোরিকে সরবরাহ করছেন, তিনি কোস্তারিকারই বিশ্বকাপার কার্লোস হার্নান্ডেজ!
শুক্রবার আইএফএ শিল্ডের সেমিফাইনালে নামার আগে কার্লোসের দেওয়া তথ্যের ওপর ভিত্তি করেই নিজের স্ট্র্যাটেজি তৈরি করছেন প্রয়াগ কোচ। এমনিতেই কোস্তারিকার দলগুলি সম্পর্কে স্বচ্ছ ধারণা আছে কার্লোসের। তার ওপর তাঁর সম্পর্কিত এক ভাই জোয়েল রয়েছেন উল্টোদিকের টিমে। তা ছাড়া ২০০৬ সালের বিশ্বকাপ দলে কার্লোসের সতীর্থ ও বন্ধু ওয়াল্টারও এই মুর্হূতে সাপ্রিসায় খেলছেন। বৃহস্পতিবার কল্যাণীতে অনুশীলনের পর প্রয়াগের ডাচ কোচ বলছিলেন, “কার্লোসের থেকে সাপ্রিসা সম্পর্কে অনেক তথ্যই পেয়েছি। ভাল দল, সতর্ক থাকছি।” প্রয়াগের বিশ্বকাপারও বলছেন, “টিমকে জেতাতে মাঠে ও মাঠের বাইরে সবরকম সাহায্য করব।”
সাপ্রিসার ডানদিকটা বেশি সচল, পাসিং ফুটবলে দক্ষ, দমও বেশি, তারুণ্য-অভিজ্ঞতার সংমিশ্রণ রয়েছে দলটির মধ্যেসবটাই জেনে নিয়েছেন এলকো। তাই আজ শুক্রবার সাপ্রিসাকে হারাতে নিজের মাঝমাঠকেই প্রধান অস্ত্র করতে চাইছেন তিনি। তবে তাঁর দলের আসিফ, বিনীত, তুলুঙ্গা চোটের জন্য অনিশ্চিত। লালকমল ভৌমিকও ম্যাচের মধ্যে নেই। |
সাপ্রিসার ঘুম অবশ্য কেড়ে নিয়েছেন র্যন্টি মার্টিন্স। বৃহস্পতিবার অনুশীলনের সাপ্রিসার কোচ ভ্লাদিমির বলছিলেন, “র্যন্টিখুব ভাল ফুটবলার। ওর থেকে সাবধানে থাকতে হবে আমার ছেলেদের।” শুধু কোচ নন, বিশ্বকাপার ওয়াল্টারের গলাতেও র্যন্টি সম্পর্কে সম্ভ্রম। বলছিলেন, “প্রয়াগের নয় নম্বর জার্সি (র্যন্টি মার্টিন্সের জার্সি নম্বর) আমাদের ভাবাচ্ছে।”
মোহনবাগানের গোলমেশিন ওডাফাকে আটকে দিয়েছিল সাপ্রিসা।
প্রয়াগের নয় নম্বর জার্সিকে কি কোস্তারিকার ক্লাব আটকাতে পারবে? প্রয়াগের নাইজিরিয়ান স্ট্রাইকার বললেন, “ওরা আমাকে আটকানোর চেষ্টা করবে। ওডাফাকেও করেছিল। এটা স্বাভাবিক। তবে সব বাধা টপকেই গোল করতে হয়। এটাই আমার কাজ।”
|
শুক্রবারে
আই এফ এ শিল্ড সেমিফাইনাল
প্রয়াগ ইউনাইটেড: সাপ্রিসা (কল্যাণী ২-৩০)।
|