অস্ট্রেলিয়ার সর্বনাশ মানে ইংল্যান্ডের পৌষ মাস! অস্ট্রেলিয়ার বেহাল অবস্থা দেখে ইয়ান বোথাম, জিওফ্রে বয়কটরা যা বলছেন, তাতে অন্তত সে রকম ইঙ্গিতই মিলছে।
এরই মাঝে মাইক হাসির মন্তব্যে আবার নতুন করে বিতর্ক ছড়িয়েছে অস্ট্রেলিয়া ক্রিকেটে। অস্ট্রেলীয় ক্রিকেটাররা যে ইদানীং নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন, তা বুঝিয়ে দিয়েছেন হাসি। তাঁর আচমকা অবসর নেওয়ার সিদ্ধান্তে বিস্মিত হয়ে পড়েছিল ক্রিকেট মহল। এখন হাসি বলছেন, “আমি আগে অবসরের কথা বলিনি, কারণ আমার আশঙ্কা ছিল, অবসরের কথা বলে দিলে হয়তো শেষ দুটো টেস্টে আমাকে দল থেকে বাদ দিয়ে দেওয়া হতে পারে।”
হাসি যখন এ কথা বলছেন, তখন বোথাম আরও আক্রমণাত্মক। পরিষ্কার বলছেন, অস্ট্রেলিয়ার কান্ডকারখানা দেখে তিনি বেশ মজা পাচ্ছেন। আবার মিকি আর্থারের এমন হেড মাস্টার-সুলভ আচরণ নিয়ে কটাক্ষ করতে ছাড়েননি বয়কট। আর এক প্রাক্তন ইংরেজ অধিনায়ক মাইকেল আথারটনের কাছেও পুরো ব্যাপারটা বেশ অবিশ্বাস্য।
|
কোচের কাছে রোজ ‘ওয়েলনেস রিপোর্ট’ দিতে হয় অস্ট্রেলিয়ার ক্রিকেটারদের। শুনে ইয়ান বোথামের মন্তব্য, “বলতেই হচ্ছে, ব্যাপারটা বেশ হাস্যকর।” নিউজিল্যান্ডে টিভি ধারাভাষ্য দিতে গিয়েছেন তিনি। সেখানেও ইংরেজ সাংবাদিকরা অস্ট্রেলিয়া নিয়ে বোথামকে প্রশ্ন করতে ছাড়েননি। বোথামের সাফ কথা, “ওয়েলনেস রিপোর্টটা আবার কী? আমাকে এ রকম রিপোর্ট লিখতে দিলে কী হত, সেটাই ভাবছি। কাল রাতে কত ঘন্টা ঘুমিয়েছ? উত্তর, একটুও না। তার আগের রাতে, দু’ঘন্টা। এরকমই কিছু একটা হত।” বোথামের সঙ্গেই রয়েছেন আথারটনও। তাঁর বক্তব্য, “ভারতে সব যা-তা কান্ড হচ্ছে। অবিশ্বাস্য।”
আর স্যর জিওফ্রে বয়কট? তিনি তো বরাবরই চাঁছাছোলা। এক ক্রিকেট ওয়েবসাইটে তিনি বলেছেন, “এটা কি কোনও স্কুল? মিকি আর্থার যেন স্কুল মাস্টার আর তার দলের ছেলেরা যেন ছাত্র। এই মাস্টার-ছাত্র তামাশা না দেখিয়ে বরং ওই চার ক্রিকেটারকে আলাদা করে ডেকে বোঝাতে পারত মিকি।”
দলের এই পরিস্থিতিতে নিজস্ব ঢংয়ে সরস প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন শেন ওয়ার্ন। তাঁর কথায়, “গোটা দলকে একটা ঘরে বন্ধ করে দেওয়া হোক। সঙ্গে থাকুক ‘অ্যালকোহল এবং মিউজিক’। দলের হাল ফিরে যাবে।” |