ফের হাতির তাণ্ডবে ফসলের ক্ষতি হওয়ায় ক্ষোভ ছড়াল চন্দ্রকোনা থানার বিভিন্ন এলাকায়। দলছুট দু’টি হাতি বৃহস্পতিবার চন্দ্রকোনার ক্ষীরপাই পুরএলাকায় ঢুকে পড়ে। পুরএলাকারই বুড়িরপুকুর, মামুদপুর প্রভৃতি জায়গায় তাণ্ডব চালিয়ে কয়েক একর আলু, বোরো ধান ও তিলের ব্যাপক ক্ষতি করে। এরপর ওই থানারই বেলাদণ্ড, নিচনা, ক্ষীরা, মাংরুল-সহ ১৫-২০টি গ্রামে ঢুকে একরের পর একর ফসলের ক্ষতি করে বলে অভিযোগ। হাতির আক্রমণে ক্ষীরপাইয়ের বাসিন্দা সীমান্ত বাগ নামে এক বৃদ্ধ আহত হন। তাঁকে ঘাটাল হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। এখনও দাঁতাল দুটি স্থানীয় কঙ্কাবতী গ্রামে ঘোরাফেরা করছে বলে জানা গিয়েছে। খড়্গপুরের ডিএফও অঞ্জন গুহ বলেন, “স্থানীয় রসকুণ্ডু অথবা বাঁকুড়ার জঙ্গল থেকে দলছুট হওয়া হাতি দু’টিকে দ্রুত কোনও গভীর জঙ্গলে পাঠানো হবে। নতুন করে ফসলের ক্ষতি আটকাতে আমাদের কর্মীরা হাতি দু’টিকে ঘিরে রেখেছে।” |
ওই আসে ঐরাবত: খেতে ঢুকেছে হাতি। বৃহস্পতিবার চন্দ্রকোনার লিজুয়া গ্রামে। —নিজস্ব চিত্র। |
প্রসঙ্গত, কয়েক মাস আগেই এক দাঁতাল চন্দ্রকোনা থানার সীতানগর গ্রামে ঢুকে আলু-সহ নানা ফসলের ব্যাপক ক্ষতি করে এবং বন দফতরের এক কর্মীকে জখম করে। ফের এ দিনের ঘটনায় ক্ষুব্ধ চন্দ্রকোনার বাসিন্দারা। তাঁদের অভিযোগ, সেই সময় বন দফতর ফসলের ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে বলে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল। কিন্তু এখনও তা মেলেনি। ফের এ দিন একইরকম ভবে মাঠ থেকে আলু তোলার সময় দুটি হাতি ঢুকে বিভিন্ন এলাকার জমির আলু এবং বোরো ধান পায়ে মাড়িয়ে সকাল থেকে তাণ্ডব চালাচ্ছে। আর দফতরের লোকজন কিছু পটকা ফাটিয়ে দায়সারা ভাবে দায়িত্ব এড়িয়ে যাচ্ছেন।
হাতির হানার খবরে এ দিন সকাল থেকে জমির চারদিকে আগুন জ্বালিয়ে, পটকা ফাটিয়ে হাতি তাড়ানোর চেষ্টা করেন এলাকাবাসীরা। কিন্তু তা সত্ত্বেও শেষ রক্ষা করতে পারেননি অনেকেই। নিচনার সৌরভ বক্সী, বেলাদণ্ডের কিঙ্কর পালেরা বলেন, “দিন কুড়ি আগে বোরো ধান রুয়েছিলাম। কিন্তু হাতি জমিতে নেমে সব লণ্ডভণ্ড করে দিয়ে চলে গিয়েছে।” ডিএফও অঞ্জন গুহ ফের আশ্বাস দিয়েছেন, “দফতরের নিয়মানুযায়ী সকলকে ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে।” |