সরকারি খাস জমি থেকে বেআইনি ভাবে গাছ কাটা হচ্ছে দেখে প্রশাসনে অভিযোগ করেছিলেন এক বৃদ্ধ গ্রামবাসী। তদন্তে অভিযোগ ঠিক প্রমাণ হওয়ায় পুলিশে এফআইআর করেন ব্লক ভূমি ও ভূমি সংস্কার আধিকারিক (বিএলআরও)। তারপরেও পুলিশ ও বন দফতর উদ্যোগী না হওয়ায় কয়েকশো ইউক্যালিপটাস গাছ কেটে নেওয়া হয়। অভিযোগকারী বৃদ্ধ সুধাংশুশেখর কুইলা অবশ্য তাতেও হাল ছাড়েননি। ক্রমাগত তদ্বির করে গিয়েছেন প্রশাসনের নানা মহলে। তার জেরেই বৃহস্পতিবার গ্রামে পৌঁছয় পুলিশ ও ভূমি দফতরের লোকজন। কাটা গাছগুলি আর নিয়ে যেতে পারেনি কাঠ ব্যবসায়ীর লোকজন।
ঘটনাটি জামবনি ব্লকের কেন্দডাংরি অঞ্চলের ভাতুড় গ্রামের। সম্প্রতি গ্রামের একটি রায়তি জমি থেকে দুশো ইউক্যালিপটাস গাছ কাটার অনুমতি দিয়েছিল বন দফতর। ওই জমির পাশে সরকারি জমিতেও ইউক্যালিপটাস রয়েছে। ৪ মার্চ থেকে এক কাঠ ব্যবসায়ীর লোকজন রায়তি জমিতে গাছ কাটা শুরু করে। তখন তারা পাশের খাস জমি থেকেও গাছ কেটে নেয় বলে অভিযোগ। স্থানীয় বাসিন্দা বছর চৌষট্টির সুধাংশুশেখরবাবু ঝাড়গ্রামের মহকুমা শাসক, মহকুমা ভূমি ও ভূমি সংস্কার আধিকারিক ও জামবনির বিএলআরও-কে লিখিত অভিযোগ করেন। তদন্ত শেষে ৭ মার্চ জামবনি থানায় এফআইআর করেন বিএলআরও স্বপনকুমার মাইতি। তারপরেও গাছ কাটা বন্ধ হয়নি বলে অভিযোগ।
এ দিন কাঠব্যবসায়ীর লোকেরা কাটা গাছ নিতে এসেছিল। তার আগে সুধাংশুবাবুও ঝাড়গ্রামে এসে মহকুমা ভূমি ও ভূমি সংস্কার আধিকারিক এবং ডিএফও-র সঙ্গে দেখা করে গাছ বাঁচানোর আর্জি জানান। মহকুমা ভূমি ও ভূমি সংস্কার আধিকারিক তপনকুমার মান্না বলেন, “তদন্তে দেখা গিয়েছে ১২৫ নম্বর দাগে রায়তি জমির গাছ কাটতে বন দফতর অনুমতি দিয়েছিল। কিন্তু ১২৪ নম্বর দাগের সরকারি খাস জমি থেকেও গাছ কেটে নেওয়া হয়েছে।”
সুধাংশুবাবুর আক্ষেপ, “প্রশাসন সময়মতো সক্রিয় হলে গাছগুলিকে বাঁচানো যেত। সরকারি জমিতে মাত্র ২০-২৫টি গাছ অবশিষ্ট রয়েছে।” |