সামাজিক বনসৃজন প্রকল্পে গাছ কাটার ক্ষেত্রে লক্ষাধিক টাকার দুর্নীতির অভিযোগ উঠল তৃণমূল পরিচালিত মুরারইয়ের রুদ্রনগর পঞ্চায়েতের বিরুদ্ধে। বৃহস্পতিবার বিভিন্ন প্রকল্পে আর্থিক গরমিলের অভিযোগে পঞ্চায়েত অফিস ৫ ঘণ্টা ঘেরাও করে কংগ্রেস। স্মারকলিপিও দিয়েছে। মুরারই ২ ব্লক কংগ্রেস সভাপতি আফতাবউদ্দিন মল্লিকের অভিযোগ, “কোপা থেকে বোনহা পর্যন্ত চাতরা-হিয়াতনগর মোড় পাকা রাস্তার ধারে সামাজিক বনসৃজন প্রকল্পে ৭১৩টি গাছ ছিল। পঞ্চায়েত প্রধান ২ জানুয়ারি সেই গাছগুলি কাটার টেন্ডার ডাকে। নিয়ম অনুযায়ী টাকা জমা পড়ার পরই গাছ কাটার অনুমতি দেওয়া হয় এবং কাগজে কলমে ২৫৫টি গাছ কাটা হয়েছে বলে দেখিয়েছেন।” তাঁদের আরও অভিযোগ, প্রধানের হিসাব অনুযায়ী ১ লক্ষের কিছু বেশি টাকার গাছ কাটা হয়েছে। অথচ পঞ্চায়েতের খাতায় ১৮,০০০ টাকা জমা পড়লেও গাছ কাটার আগে অতিরিক্ত ১০,০০০ টাকা জমা দেওয়া হয়েছিল। তার হিসেব নেই। শুধু তাই নয়, পুকুর কাটার ক্ষেত্রে দুর্নীতি হয়েছে বলেও তাঁদের অভিযোগ। পঞ্চায়েত প্রধান খলিল মণ্ডলের কাছ থেকে গাছ কাটার ব্যাপারে সদুত্তর মেলেনি। তিনি বলেন, “নিয়ম মেনে করেছি। সব হিসেব পঞ্চায়েতে আছে।” |
নিজস্ব সংবাদদাতা • গুয়াহাটি |
রেঞ্জারকে জখম করে পালাল চোরাশিকারি। কাজিরাঙার আগরাতলি রেঞ্জে। বন বিভাগ সূত্রে খবর, গত কাল গোলাঘাটের রাঙামাটি থেকে প্রশান্ত বোরা নামে এক চোরাশিকারিকে ধরা হয়। বহু শিকারের সঙ্গে যুক্ত প্রশান্তকে বেশ কিছুদিন ধরেই খোঁজা হচ্ছিল। আগরাতলির রাঙামাতিয়া বন শিবিরের দোতলায়, রেঞ্জার সেলিম আহমেদ প্রশান্তকে জিজ্ঞাসাবাদ করছিলেন। আচমকা হাতকড়া দিয়ে রেঞ্জারের মুখে আঘাত করে সে। ধাক্কা দিয়ে প্রশান্ত রেঞ্জারকে দোতলা থেকে নীচে ফেলে দেয়। নিজেও উপর থেকে লাফ দিয়ে পালায়। রেঞ্জারকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। পলাতক শিকারির সন্ধান চলছে।
|
পোরোপার গ্রাম পঞ্চায়েতের বীরপাড়া এলাকায় অবৈধভাবে পুকুর ভরাটের কাজ বন্ধ করতে প্রশাসনের দারস্থ স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের সদস্যরা। অভিযোগ পেয়ে ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে ভূমি ও ভূমি রাজস্ব দফতর। আলিপুরদুয়ার-১ ব্লকের ভূমি ও ভূমি রাজস্ব দফতরের আধিকারিক শৌভিক চন্দ বলেন, “বীরপাড়া এলাকার কাঁঠালতলায় একটি পুকুর ভরাটের অভিযোগ পেয়েছি। আইন মোতাবেক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।” |
কংগ্রেস পঞ্চায়েত সদস্য বাবলু রায় বলেন, বাড়ি তৈরির জন্য বাসিন্দারা মাটি কাটায় জায়গাটা নিচু হয়ে গিয়েছিল। জমি মালিক সেখানে মাটি ফেলছেন বলে শুনেছি।” আলিপুরদুয়ার অভিভাবক মঞ্চের সম্পাদক ল্যারি বসু বলেন, “বীরপাড়া এলাকায় ৮-১০ ডেসিমেলের পুকুর ভরাট হচ্ছে। রাজ্যের ১৯৯৪ সালের জলাভূমি আইনে বলে রয়েছে, নিচু জায়গায় ছয় মাসের বেশি জল থাকলে তা জলাভূমি হিসেবে গণ্য হয়। আমরা আইন মোতাবেক ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য বলেছি।” পুকুরের মালিক সুব্রত মিত্র এই বিষয়টি নিয়ে মন্তব্য করতে রাজি হননি। |