ডোমজুড় ব্লকের পঞ্চায়েত এলাকার নিকাশি সমস্যা দীর্ঘদিনের। প্রতি বছর বর্ষার পরে অধিকাংশ এলাকাই তিন-চার মাস জলমগ্ন হয়ে থাকে। এ বার সেই নিকাশি ব্যবস্থার উন্নতির জন্য সাড়ে ১০ কোটি বরাদ্দ করল সেচ দফতর।
প্রতি বছর বর্ষার শুরু থেকেই ডোমজুড় ব্লকের বাঁকড়া ১, ২, ৩ নম্বর, শলপ ১ ও ২ এবং চামরাইল পঞ্চায়েত এলাকার বিস্তীর্ণ অঞ্চলে জল জমতে শুরু করে। পঞ্চায়েত সূত্রের খবর, বাঁকড়ার নয়াবাজ, আদর্শপল্লি, রাজীব নগর, জলা, মুন্সিডাঙা, মল্লিকবাঁধ এলাকা এবং শলপের গাজিপাড়া, চামরাইলের বাসিন্দারা বর্ষার সময় কার্যত জলবন্দি হয়ে পড়েন। বাসিন্দাদের কথায়, ঘরের ভিতরে জল ঢুকে যায়। বন্ধ হয়ে যায় রান্না-বান্না।
স্থানীয় বাসিন্দাদের কথায়, বাঁকড়ার তিনটি পঞ্চায়েত ও শলপের একটি পঞ্চায়েতের একাংশের নিকাশি ব্যবস্থা পুরোপুরি ভাবে নয়াবাজ (বাঁকড়া) খালের উপর নির্ভরশীল। কিন্তু দীর্ঘ দিন সংস্কারের অভাবে তা পুরো মজে গিয়েছে। অন্য দিকে, নয়াবাজটি যেখানে গিয়ে মিশেছে সেই ড্রেনেজ ক্যানালও বেহাল। ফলে বর্ষার জমা জল বের হওয়ার কোনও ব্যবস্থাই নেই ওই সব অঞ্চলে। শলপ ১ নম্বর ও চামরাইল এলাকায় নিকাশি নালারও সমস্যা রয়েছে। ডোমজুড় বিধানসভার কেন্দ্রের এই সব পঞ্চায়েত এলাকার নিকাশি ব্যবস্থার উন্নতির জন্য কাজ শুরু করার পরিকল্পনা নিয়েছে রাজ্য সেচ দফতর। বুধবার বাঁকড়া ও শলপে একটি অনুষ্ঠানের মাধ্যমে সেই কাজের সূচনা করলেন সেচ ও জলপথ মন্ত্রী তথা স্থানীয় বিধায়ক রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়। মন্ত্রী জানান, জগাছা থেকে শুরু হয়ে বাঁকড়া হয়ে হাওড়া ড্রেনেজ ক্যানালে মিশেছে নয়াবাজ খাল। ডোমজুড় ব্লকের নিকাশি উন্নয়নে যে প্রকল্প নেওয়া হয়েছে, সেই টাকায় নয়াবাজ খালের সাড়ে ৩ কিমিও সংস্কার করা হবে। ড্রেনেজ ক্যানালও সংস্কার হবে। অন্য দিকে, শলপ ও চামরাইলে নিকাশির উন্নয়নে প্রায় আড়াই কিলোমিটার বড় নিকাশি নালাও তৈরি করা হবে বলে জানান সেচমন্ত্রী। |