|
|
|
|
ঝাড়খণ্ডে মাওবাদী জঙ্গিদের আক্রমণে দিশাহারা পুলিশ |
নিজস্ব সংবাদদাতা • রাঁচি |
জঙ্গলে পুলিশের প্রবেশ যেন কিছুতেই মেনে নিতে চাইছে না মাওবাদীরা। আজ এ রাজ্যে ঘটে যাওয়া দু’টি পৃথক ঘটনায় ফের তার প্রমাণ দিল মাওবাদীরা। ঝাড়খণ্ডের দুই জেলায় বুধবার থেকে আজ পর্যন্ত জঙ্গলের ভিতরে মাওবাদীদের সঙ্গে পুলিশের দফায় দফায় গুলির লড়াই চলছে। দু’টি ঘটনাতেই জঙ্গলের ভিতর থেকে মৃতদেহ উদ্ধার করতে গিয়ে মাওবাদীদের হাতে কার্যত নাস্তানাবুদ হতে হচ্ছে এখানকার পুলিশকে।
১১ তারিখ পশ্চিম সিংভুম জেলার বন্দগাঁও ব্লকের মনমারু গ্রামে রীতিমতো জন-আদালত ডেকে ৬ যুবককে পিটিয়ে মারে মাওবাদীরা। পুলিশ জানায়, প্রকাশ্যেই গ্রামবাসীদের উপস্থিতিতে ওই সভা ডাকা হয়। সেখানে ওই যুবকদের খুনের ঘটনায় অভিযুক্ত করে তাঁদের মৃত্যুদণ্ড দেয় মাওবাদীরা। পুলিশ জানাচ্ছে, পুরনো দুটি খুনের ঘটনায় ওই ছয় যুবককে অভিযুক্ত সাব্যস্ত করে মাওবাদীরা। পিটিয়ে মেরে তাদের মৃতদেহ জঙ্গলের ভিতরেই পুঁতে দেয় তারা। ওই ঘটনার কথা জানতে পেরে আজ সকালে দেহগুলি উদ্ধার করতে পশ্চিম সিংভূমের পুলিশ মনমারু গ্রামের জঙ্গলে প্রবেশের চেষ্টা করলে তাঁদের সঙ্গে মাওবাদীদের গুলির লড়াই শুরু হয়। ঘটনাস্থলেই আহত হন কয়েক জন পুলিশ কর্মী। মৃতদেহগুলি এখনও উদ্ধার করতে পারেনি পুলিশ।
অন্য দিকে, কাযর্ত একই ধরনের ঘটনা ঘিরেই গুমলায় আজ সন্ধ্যা পর্যন্ত পুলিশের সঙ্গে মাওবাদীদের একাধিকবার গুলির লড়াই হয়েছে। গত কাল গুমলায় জঙ্গল অধ্যুষিত সিভিল নামের একটি গ্রামে তল্লাশি চালায় পুলিশ। ঘটনাস্থলে পৌঁছলে জঙ্গলের ভিতর থেকে জঙ্গিরা পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি চালাতে শুরু করে। ঘটনাস্থলেই মারা যান এক পুলিশ কর্মী। মৃতের নাম মনোজ বাকলা বলে পুলিশ জানিয়েছে। গুলিতে আহত হন আরও দুই পুলিশ কর্মী। তাঁরা কোনও ভাবে জঙ্গল ছেড়ে বেরিয়ে আসেন। কিন্তু মৃত পুলিশ কর্মীর দেহ পড়ে রয়েছে জঙ্গলের ভিতরেই। ওই পুলিশ কর্মীর দেহ উদ্ধার করতে আজ ফের জঙ্গলে ঢোকে পুলিশের একটি দল। আর তারপরেই তাঁদের জঙ্গলের ভিতরেই ঘিরে ফেলে জঙ্গিরা। রাত পর্যন্ত পাওয়া খবর অনুযায়ী, পুলিশের ওই দলটি জঙ্গলের ভিতরেই আটকে রয়েছে। তাঁদের উদ্ধারের জন্য বাইরে থেকে পুলিশের অন্য একটি দল জঙ্গলের দিকে এগোতে শুরু করলে মাওবাদীদের সঙ্গে তাঁদেরও গুলির লড়াই শুরু হয়েছে। |
|
|
|
|
|