|
|
|
|
শাহনওয়াজও বার্তা দিলেন মমতাকে |
নিজস্ব সংবাদদাতা • নয়াদিল্লি |
কংগ্রেসের সঙ্গে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সংঘাত যখন বাড়ছে, তখন কেন্দ্রের বিরোধী শিবির আরও বেশি করে বন্ধুত্বের বার্তা দিতে চাইছে তৃণমূলের প্রতি।
সদ্য কলকাতা সফরে গিয়ে বিজেপির সভাপতি রাজনাথ সিংহ কেন্দ্রের কাছে মমতার আর্থিক প্যাকেজের দাবিকে সমর্থন করে এসেছিলেন। তৃণমূলের সঙ্গে রাজনৈতিক সমঝোতার দরজা খোলা রাখতেই কি মমতার দাবিকে সমর্থন? এই প্রশ্নের জবাবে রাজনাথ জোট প্রস্তাবের সম্ভাবনা উড়িয়ে দিয়েছিলেন। কিন্তু রাজনাথ সে দিন যেটি বলেননি, আজ দিল্লিতে বসে তা বললেন দলের সংখ্যালঘু নেতা শাহনওয়াজ হোসেন। সাংবাদিক বৈঠকে তিনি বলেন, “দরজায় তালা লাগানোর রাজনীতিতে আমরা বিশ্বাস করি না। সকলের জন্যই আমাদের দরজা খোলা।”
বিজেপি নেতাদের মতে, রাজনাথের সঙ্গে শাহনওয়াজের মতের কোনও বিরোধ নেই। পশ্চিমবঙ্গের মুসলিম ভোটব্যাঙ্কের দিকে তাকিয়ে মমতার পক্ষে এই মুহূর্তে বিজেপির হাত ধরা সম্ভব নয়। কিন্তু তাঁর জন্য দরজা খোলাই রাখতে চাইছে বিজেপি। ভবিষ্যতের দিকে তাকিয়ে বিজেপি এনডিএ-র প্রসারের লক্ষ্য নিয়েই এগোচ্ছে। তাই পুরনো সঙ্গীদের ফিরে পেতে চাইছে বিজেপি। শাহনওয়াজের মতো নেতারাও ব্যক্তিগত স্তরে যোগাযোগ রাখেন মমতার সঙ্গে। জাতীয় রাজনীতিতে কংগ্রেস ও বাম যখন পরস্পরের ঘনিষ্ঠ হয়ে উঠছে, তখন সংসদে বিজেপিও তৃণমূলের সঙ্গে সমন্বয় বাড়াচ্ছে। সম্প্রতি কপ্টার-দুর্নীতি নিয়ে সরকারের যৌথ সংসদীয় কমিটি গঠনের প্রতিবাদে তৃণমূলের সঙ্গেই সভাকক্ষ ত্যাগ করেছিল বিজেপি। সেখানে সিপিএম ওই কমিটিতে নিজেদের সাংসদ রেখে কংগ্রেসেরই হাত শক্ত করেছে।
বিজেপির মতে, মমতার প্রতি এই বার্তা দেওয়া এখন আরও প্রাসঙ্গিক, কারণ এনডিএ-র শরিক নীতীশ কুমারও মমতার প্রতি সহমর্মিতা দেখাচ্ছেন। বিজেপি যখন নরেন্দ্র মোদীকে মুখ করে এগোতে চাইছে, তাতে আপত্তি রয়েছে নীতীশের। বিহারকে বিশেষ মর্যাদা দেওয়ার দাবি তুলে রবিবারই দিল্লির বুকে বড় জনসভা করবেন তিনি। নীতীশ শিবির বলছে, যে দাবি বিহারের মুখ্যমন্ত্রী তুলছেন, সেই দাবি প্রযোজ্য মমতা ও ওড়িশার মুখ্যমন্ত্রী নবীন পট্টনায়কের ক্ষেত্রেও। নীতীশের আন্দোলন মমতা-নবীনেরও আন্দোলন। |
|
|
|
|
|