|
|
|
|
ভোটের কথা মাথায় রেখে কোমর বাঁধুন,
প্রদীপদের নির্দেশ রাহুলের |
নিজস্ব সংবাদদাতা • নয়াদিল্লি |
সামনে পঞ্চায়েত ভোট। তার পর লোকসভা ভোট। এই পরিস্থিতিতে অবিলম্বে পশ্চিমবঙ্গ প্রদেশ কংগ্রেসের সাংগঠনিক সক্রিয়তা বাড়ানোর জন্য আজ তাদের নেতৃত্বকে চাপে রাখলেন দলের নতুন সর্বভারতীয় সহ সভাপতি রাহুল গাঁধী। কংগ্রেস শীর্ষ সূত্রে খবর, তিনি আজ প্রদেশ কংগ্রেস নেতৃত্বকে বলেন, তিন মাসে রাজ্য, জেলা ও ব্লক স্তরে পরিকল্পনা-মাফিক প্রচুর কর্মসূচি রূপায়ণ করতে হবে। তিন মাস পর তিনি এ ব্যাপারে রিপোর্ট নেবেন।
রাহুল ইতিমধ্যেই কংগ্রেসের রাজ্যওয়াড়ি বৈঠক শুরু করেছেন। সেই সুবাদেই পশ্চিমবঙ্গ প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি প্রদীপ ভট্টাচার্য, পরিষদীয় দলনেতা মহম্মদ সোহরাব এবং সর্বভারতীয় কংগ্রেসের তরফে পশ্চিমবঙ্গের দায়িত্বপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক শাকিল অহমেদকে বৈঠকে ডাকেন রাহুল। সনিয়া গাঁধীর রাজনৈতিক সচিব অহমেদ পটেলও বৈঠকে ছিলেন।
কংগ্রেস সূত্রে খবর, রাহুল বৈঠকের আগে প্রদীপবাবু ও শাকিলকে একটি ফর্ম পাঠান। গত এক বছরে প্রদেশ ও জেলা কংগ্রেস কী কী কর্মসূচি নিয়েছে, স্থানীয় রাজনৈতিক বিষয় কী প্রভৃতি সম্পর্কে ফর্মে জানতে চাওয়া হয়। ফর্মটি পূরণ করে বৈঠকের আগে রাহুলের কাছে পেশ করেন প্রদীপবাবু ও শাকিল। আজ সেই ফর্ম ধরে ধরেই কংগ্রেসের পশ্চিমবঙ্গের নেতাদের প্রশ্ন করেন রাহুল।
যদিও আজকের বৈঠক সম্পর্কে প্রশ্ন করা হলে প্রদীপবাবু কিছু জানাতে চাননি। কেননা সে ব্যাপারেও প্রকাশ্যে কিছু বলায় নিষেধাজ্ঞা আছে রাহুলের। তবে রাহুলের ঘনিষ্ঠ সূত্রে বলা হচ্ছে, শুধু পশ্চিমবঙ্গ নয়, দলের সমস্ত প্রদেশের নেতৃত্বকেই সনিয়া-তনয় জানান, দলে মেধা কম নেই। এক জন দক্ষতা দেখাতে না পারলে পরের নেতা অপেক্ষমান। যিনি কাজ করে ফল দেখাতে পারবেন, তিনিই পদে থাকবেন। প্রদেশ নেতৃত্বের উপর রাহুলের ওই চাপের ফলেই তাঁর সঙ্গে বৈঠকের পরে ১৭ মার্চ জেলা কংগ্রেস সভাপতিদের বৈঠক রয়েছে কলকাতায়। তাতে হাইকম্যান্ডের তরফে শাকিলও থাকবেন। তিনি এআইসিসি-র তরফে পশ্চিমবঙ্গের দায়িত্বপ্রাপ্ত হওয়ায় কিছু করে দেখানোর জন্য তাঁর উপরেও চাপ বাড়ান রাহুল।
কংগ্রেস সূত্রের খবর, রাহুল আজ প্রদীপবাবুদের বলেন, লোকসভা ভোটে কারও সঙ্গে জোট হবে কি না, তা নিয়ে এখন থেকে ভাবনাচিন্তার প্রয়োজন নেই। সে দিকে মন না দিয়ে সংগঠনের তৎপরতা বাড়ানোকেই ‘পাখির চোখ’-এর মতো দেখতে হবে। কংগ্রেসের এক শীর্ষ নেতার কথায়, “রাহুলের অবস্থান স্পষ্ট। পশ্চিমবঙ্গে এখনও বামেরা কোণঠাসাই আছে। কংগ্রেসের পক্ষে জনভিত্তি বাড়ানোর এটাই সুযোগ।” কংগ্রেসের ওই কেন্দ্রীয় নেতা আরও জানান, প্রদেশ স্তরে দলের মনোবল বাড়াতে হাইকম্যান্ডের তরফে সাহায্য করার আশ্বাসও দেওয়া হয়েছে। পরশু শনিবার মালদহে বরকত গনিখান চৌধুরীর নামাঙ্কিত কলেজের নতুন ভবনের শিলান্যাস করতে যাওয়ার কথা প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংহ ও সনিয়ার। রাজ্য নেতৃত্বকে উৎসাহ দিতে এর পর রাহুলও পশ্চিমবঙ্গ সফরে যেতে পারেন।
তবে রাহুলের এ ভাবে কর্পোরেট কায়দায় বৈঠক ডাকা ও ফর্ম ভর্তি করা নিয়ে কংগ্রেসের অন্দরেই প্রশ্ন উঠেছে। দলের একাংশের মতে, কোনও রাজনৈতিক দল এ ভাবে চালানো যায় না। এতে হিতে বিপরীত হতে পারে। |
|
|
|
|
|