সামান্য হলেও বাড়ল সার্বিক মূল্যবৃদ্ধির হার। মূলত খাদ্যপণ্য ও জ্বালানির দর একটানা উপরে উঠতে থাকাই পাইকারি মূল্য সূচকের ভিত্তিতে হিসাব করা এই মূল্যবৃদ্ধিকে ফেব্রুয়ারিতে টেনে তুলেছে ৬.৮৪ শতাংশে। জানুয়ারিতে তা ছিল ৬.৬২%। এমনকী রয়টার্সের এক সমীক্ষাতেও সার্বিক মূল্যবৃদ্ধি ৬.৫৪ শতাংশে নেমে আসার ইঙ্গিত দেওয়া হয়েছিল।
কিন্তু মূল্যবৃদ্ধির মেঘের নীচেও রুপোলি রেখা দেখতে পাচ্ছে শেয়ার বাজার ও শিল্পমহল। তার কারণ, খাদ্য ও জ্বালানি বাদ দিলে মূলত উৎপাদন শিল্পের যে মূল্যবৃদ্ধির হার (কোর ইনফ্লেশন) হিসাব করা হয়, তা ফেব্রুয়ারিতে নেমে এসেছে ৪ শতাংশের নীচে। ৩.৮% এই মূল্যবৃদ্ধির হার গত তিন বছরের মধ্যে সবচেয়ে কম। এই পরিস্থিতিতে ১৯ মার্চের আসন্ন ঋণনীতিতে রিজার্ভ ব্যাঙ্কের সুদ কমানোর আশা ফের উজ্জ্বল হয়ে উঠেছে। কারণ, এই হারের ভিত্তিতেই শীর্ষ ব্যাঙ্ক মূল্যবৃদ্ধির উপর চাহিদার চাপ কতটা, তার খতিয়ান নেয়। যার উপর নির্ভর করে সুদ কমানো-বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সুতরাং, এই মূল্যবৃদ্ধি কম থাকলে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক গভর্নর ডি সুব্বারাও সুদ কমানোর পথে হাঁটতে পিছপা হবেন না বলেই মনে করছে শিল্পমহল।
|
ক্রিসিল, কেয়ার ও ইন্ডিয়া রেটিংস-এর মতো মূল্যায়ন সংস্থারও একই মত। অর্থমন্ত্রী পি চিদম্বরমও বাজেটের উপর তাঁর জবাবি ভাষণে কার্যত সুব্বারাওয়ের কাছে এই আর্জি জানিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রীর আর্থিক উপদেষ্টা পরিষদের চেয়ারম্যান সি রঙ্গরাজনও জানান, শিল্পপণ্যের দাম কমাকেই গুরুত্ব দেবে আরবিআই
এই কোর ইনফ্লেশন কমার খবরেই প্রাণ ফিরে পায় শেয়ার বাজারও। এক ধাক্কায় সেনসেক্স উঠে যায় ৪২৫ পয়েন্টের মতো। তবে বাজার বন্ধের সময়ে তা কিছুটা পড়ে যায়। প্রায় ২০৮ পয়েন্ট বেড়ে সেনসেক্স বন্ধ হয় ১৯,৫৭০.৪৪ পয়েন্টে।
অন্য দিকে, মানুষের বোঝা বাড়িয়ে খাদ্যপণ্যের দাম বাড়তে থাকায় উদ্বেগ জানান কেন্দ্রের অর্থনীতি বিষয়ক সচিব অরবিন্দ মায়ারাম। বার্ষিক ভিত্তিতে খাদ্য ও কৃষি-পণ্যের মূল্যবৃদ্ধি যথাক্রমে ১১.৩৮% এবং ৯.৭০%। তার মধ্যে পেঁয়াজের দাম বেড়েছে সবচেয়ে বেশি, ১৫৪.৩৩%। আলু প্রায় ৪৬%। চাল, গম, শাক-সব্জি ও অন্যান্য শস্যের দামও বেড়েছে। |