ফের পেট্রাপোল ট্রাক টার্মিনাসে হামলা হল বাংলাদেশি ট্রাক চালকদের উপর। ফলে আবার ব্যাহত হল পেট্রাপোলের সীমান্ত বাণিজ্য।
বুধবার পেট্রাপোলে সেন্ট্রাল ওয়্যার হাউজ (সিডব্লুসি) কর্পোরেশনের ট্রাক টার্মিনাসে দুষ্কৃতীদের হাতে আক্রান্ত হন বাংলাদেশ থেকে আসা কয়েকজন ট্রাকচালক। এর ফলে বৃহস্পতিবার দিনভর বন্ধ থাকে সীমান্ত বাণিজ্যের কাজ।
শুল্ক দফতর ও বন্দর সূত্রে জানা গিয়েছে, বুধবার রাত দুটো নাগাদ দুষ্কৃতীরা দু’জন বাংলাদেশি ট্রাক চালককে মারধর করে ট্রাকের কাচ ভেঙে দেয়। এরপর বৃহস্পতিবার সকাল থেকে বাংলাদেশি ট্রাক চালক ও খালাসীরা নিরাপত্তাহীনতার অভিযোগ তুলে ট্রাক নিয়ে পেট্রাপোলে ঢোকা বন্ধ করে দেন। শুধু তাই নয়, পেট্রাপোল থেকে বেনাপোলেও ট্রাক ঢুকতে বাধা দেওয়া হয়।
|
বাণিজ্য বন্ধ থাকায় পেট্রাপোলে পণ্যবোঝাই ট্রাকের লাইন। ছবি: পার্থসারথি নন্দী। |
পেট্রাপোল ক্লিয়ারিং এজেন্ট স্টাফ ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক কার্তিক চক্রবর্তী বলেন, “এক বাংলাদেশি ট্রাকচালককে দা দিয়ে কোপানোর চেষ্টা হয়। অন্য এক ট্রাকচালককে ছুরি দিয়ে আঘাত করা হয়। একটি ট্রাকে ভাঙচুরও চালানো হয়। বাংলাদেশি দুষ্কৃতীরাই এই ঘটনার পিছনে রয়েছে বলে আমাদের অনুমান।” ট্রাক টার্মিনাসে নিরাপত্তাহীনতার অভিযোগ তুলে তিনি জানান, ব্যবসায়ীরা টাকা দিয়ে এখানে গাড়ি রাখেন। অথচ কোনও নিরাপত্তা নেই।
ট্রাক টার্মিনাসের নিরাপত্তা দেখভালের জন্য রয়েছে নিজস্ব নিরাপত্তা কর্মী। টার্মিনাস সূত্রে জানানো হয়েছে, টার্মিনাসের মোট এলাকা ১৭ একর। কিন্তু নিরাপত্তা দেখভালের জন্য রয়েছেন মাত্র ৩৭ জন কর্মী।
গত সোমবার রাতেও টার্মিনাসের ভিতর ৩ জন বাংলাদেশি ট্রাক চালককে মারধর করা হয়। তারপর শুল্ক দফতরের সহকারী কমিশনার শুভেন দাশগুপ্ত এক বৈঠকে সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন বিএসএফ জওয়ানেরা রাতে ওই এলাকায় টহল দেবেন। তারপরেও ঘটল হামলার ঘটনা। টার্মিনাস সূত্রে জানা গিয়েছে, বুধবার রাতে বিএসএফ জওয়ানেরা টহল দিয়ে চলে যাওয়ার পরেই হামলার ঘটনা ঘটে।
এ দিনের ঘটনার পর শুভেনবাবু বলেন, “যে ট্রাকচালকরা বাংলাদেশ থেকে ট্রাক নিয়ে আসছেন এবং যাঁদের কাছে টাকা থাকছে তাঁরাই দুষ্কৃতীদের হাতে আক্রান্ত হচ্ছেন। বাংলাদেশি দুষ্কৃতীরাই এ দেশে ঢুকে এই হামলা চালাচ্ছে।”
দুষ্কতীদের খোঁজে তল্লাশি শুরু করেছে পুলিশ। |