|
|
|
|
ভোটে আসন রফা |
মোর্চা ঘনিষ্ঠ বার্লার সঙ্গে বৈঠকে মুকুল-গৌতম |
নিজস্ব সংবাদদাতা • মালবাজার |
আসন্ন পঞ্চায়েত ভোটে তরাই-ডুয়ার্সে আদিবাসী বিকাশ পরিষদের বিক্ষুব্ধ গোষ্ঠীর নেতা, গোর্খা জনমুক্তি মোর্চার ঘনিষ্ঠ জন বার্লার সঙ্গে আসন রফা নিয়ে আলোচনা করল তৃণমূল। বুধবার সন্ধ্যায় মালবাজার বন দফতর বাংলোয় ওই বৈঠক করেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক মুকুল রায়। ছিলেন উত্তরবঙ্গ উন্নয়নমন্ত্রী গৌতম দেবও। বৈঠকে বার্লাকে মোর্চার সম্পর্ক ছিন্ন করে তৃণমূলের সঙ্গে আসন সমঝোতার প্রস্তাব দেওয়া হয়। পক্ষান্তরে, বার্লা গোষ্ঠীর তরফে চা বলয়ের সব আসন চাওয়া হয়। বৈঠকের পরে মুকুলবাবু বলেন, “জন বার্লা গোষ্ঠীর সঙ্গে আলোচনা হয়েছে। ওঁদের তরফে কিছু প্রস্তাব পেয়েছি। আমরাও কিছু কথা বলেছি। দলনেত্রী মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে আলোচনা হবে। তিনিই সিদ্ধান্ত নেবেন।” পাশাপাশি জন বার্লার দাবি, “আমরা মোর্চার পক্ষে থাকলেও অন্য দলের সঙ্গে আসন সমঝোতায় সমস্যা নেই। প্রাথমিক আলোচনায় খুশি। আশা করি আসন রফা হবে।”
আদিবাসী বিকাশ পরিষদের চা বলয়ের অন্যতম নেতা ছিলেন জন বার্লা। পৃথক গোর্খাল্যান্ডের দাবিতে মোর্চার আন্দোলনে তিনি জড়িয়ে পড়েন। তাঁর বিরুদ্ধে একাধিক সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ার অভিযোগে মামলা হয়। তাঁকে বহিষ্কার করে পরিষদ। জন বার্লা অনুগামীদের নিয়ে পাল্টা সংগঠন গড়ে তোলেন। গোর্খাল্যান্ড টেরিটোরিয়াল অ্যাডমিনিস্ট্রেশনে তরাই-ডুয়ার্সে বিস্তীর্ণ এলাকার অন্তর্ভুক্তির দাবিতে আন্দোলন করেন। এই অবস্থায় জন বার্লা গোষ্ঠী মোর্চার সংস্রব না-ছাড়লে তৃণমূল শেষ পর্যন্ত আসন সমঝোতা করবে কি না তা নিয়ে আদিবাসী বিকাশ পরিষদের মধ্যে বিতর্ক চলছে। আদিবাসী বিকাশ পরিষদ রাজ্য সভাপতি বিরসা তিরকে বলেন, “জন বার্লা গোষ্ঠীর তেমন সংগঠন নেই। মোর্চার সমর্থনে চলে। ওঁদের সঙ্গে তৃণমূল হাত মেলাবে কি না সেটা তাঁরাই ভাববেন। পঞ্চায়েত ভোট নিয়ে কারও সঙ্গে আলোচনা করিনি। মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে মঙ্গলবার কথা হয়েছে। তা সৌজন্যমূলক। বিশদে আলোচনা করতে হলে কলকাতা গিয়ে করব। তখন কথা হতে পারে।” এ দিন ওদলাবাড়ি পঞ্চায়েতের ৪ মোর্চা সদস্য তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দেন। |
|
|
|
|
|