হাইকোর্টের নির্দেশ মেনে অটোয় মিটার বসানো এবং তার ভাড়া নির্ধারণের বিষয়ে ৭২ ঘণ্টার মধ্যে মন্ত্রিগোষ্ঠীর সঙ্গে আলোচনা করে একটি এক্সপার্ট কমিটি গঠন করতে চান পরিবহণমন্ত্রী মদন মিত্র। বাম আমলে অটোর ভাড়া ঠিক করত ইউনিয়নগুলি। দেড় বছর হল নতুন সরকার ক্ষমতায় আসার পরেও ইউনিয়নগুলিই ভাড়া ঠিক করছে। তবে এ বার সিটু নেতারা চাইছেন রুট ভিত্তিক ভাড়া নির্ধারণ করুক রাজ্য সরকার। সব পক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে এ বিষয়ে সিদ্ধান্তে আসতে চান পরিবহণমন্ত্রী।
বুধবার মহাকরণে সিটুর অটোরিকশা অপারেটর্স ইউনিয়নের পক্ষ থেকে পরিবহণমন্ত্রীকে একটি স্মারকলিপি দেওয়া হয়। তাতে বলা হয়েছে, যে ভাবে অটো ও ট্যাক্সি চলছে তার স্থিতাবস্থা বজায় রাখতে হবে। ইউনিয়ন এবং যাত্রীদের স্বার্থে মিটারে নয়, রুট ভিত্তিক কিলোমিটার প্রতি ভাড়া ঠিক করে দিতে হবে রাজ্য সরকারকে। এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থাও করতে হবে সরকারকেই। এ ছাড়া, তেলে ভর্তুকি এবং গ্যাস ফিলিং সেন্টার বাড়াতে হবে। |
ড্রাইভিং লাইসেন্স দেওয়ার পদ্ধতির সরলীকরণের দাবিও জানানো হয়েছে। ট্যাক্সি সংগঠনের পক্ষ থেকেও অটোতে মিটার লাগানোর বিরোধিতা করা হয়েছে। পরিবহণমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা
করে অবিলম্বে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানানো হয়েছে।
এ দিন পরিবহণমন্ত্রী মদন মিত্র পরিবহণ সচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়কে জানান, রাজনৈতিক মতপার্থক্য থাকা সত্ত্বেও সকলের সঙ্গে আলোচনা করে কাজ করতে চাই। এখন মিটার লাগাতে গেলে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হবে। অটোর ভাড়া নিয়েও চিন্তা-ভাবনা করা হচ্ছে। কলকাতায় ১২৫টি এবং দক্ষিণ ২৪ পরগনায় ৮৫টি অটো-রুট রয়েছে। এর মধ্যে বহু রুটে বেআইনি অটো চলাচল করছে। আমরা সকলের সঙ্গে আলোচনা করে এক্সপার্ট কমিটি তৈরির কথা ভাবছি। অবসরপ্রাপ্ত কোনও বিচারপতি বা আমাকে মাথায় রেখে কমিটি তৈরি হবে। তার আগে মন্ত্রিগোষ্ঠীর সঙ্গে আলোচনা করতে হবে। মদনবাবু আরও বলেন, ড্রাইভিং লাইসেন্স বাড়িতে পাঠাতে গিয়ে সমস্যা হচ্ছিল। অনেক সময় যাঁর নামে লাইসেন্স তাঁকে পাওয়া যেত না। হয়রানি হত প্রাপকের। তাই আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি, পরিচয়পত্র দেখিয়ে হাতে হাতেই লাইসেন্স দেওয়া হবে। |