উচ্চ মাধ্যমিকের প্রথম দিন পরীক্ষা কেন্দ্র নিয়ে বিভ্রাটের শিকার হলেন বনগাঁর যোগেন্দ্রনাথ বিদ্যাপীঠের ২৪ জন পরীক্ষার্থী।
পরীক্ষার্থীরা জানত, সিট পড়েছে বনগাঁর কবি কেশবলাল বিদ্যাপীঠে। সেই মতো বুধবার তারা সকালে হাজির হয় সেখানে। গিয়ে জানতে পারে, পরীক্ষা কেন্দ্র পাল্টে গিয়েছে। যেতে হবে প্রায় ২ কিলোমিটার দূরে বনগাঁ হাইস্কুলে। পরীক্ষা শুরু সকাল ১০টা থেকে। ঘড়ির কাঁটায় তত ক্ষণে সাড়ে ৯টা বেজেছে। আতঙ্কিত পরীক্ষার্থীরা কোনও মতে ছুটতে ছুটতে হাজির হয় বনগাঁ হাইস্কুলে। এক পরীক্ষার্থীর কথায়, “এত জোরে জীবনে সাইকেল চালাইনি। কোনও দুর্ঘটনাও ঘটতে পারত। কিন্তু তখন মাথার ঠিক ছিল না।”
পরীক্ষা শেষে কিছু পরীক্ষার্থী নিজেদের স্কুলে গিয়ে প্রধান শিক্ষক জয়ন্তকুমার বিশ্বাসের কাছে ক্ষোভে ফেটে পড়ে। তিনি বলেন, “পরীক্ষা কেন্দ্র যে পাল্টানো হয়েছে, তা আমাদেরও জানানো হয়নি। ফলে আমরাও তা পরীক্ষার্থীদের জানাতে পারিনি। পরীক্ষাকেন্দ্র নিয়ে বিভ্রান্তির জেরে অনেকে মানসিক ভাবে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছিল।” |
পরীক্ষার পর উত্তর মিলিয়ে নেওয়ার পালা। বুধবার উচ্চ মাধ্যমিকের
প্রথম দিন বনগাঁয় ছবি তুলেছেন পার্থসারথি নন্দী। |
কিন্তু কেন এই পরিস্থিতি?
যোগেন্দ্রনাথ বিদ্যাপীঠ সূত্রের খবর, ৬ মার্চ ক্যাম্প অফিস বনগাঁ হাইস্কুল থেকে পরীক্ষার্থীদের অ্যাডমিট দেওয়া হয়েছিল। তখনই জানানো হয়েছিল, কেশবলাল বিদ্যাপীঠে সিট পড়েছে যোগেন্দ্রনাথের ছাত্রছাত্রীদের। জয়ন্তবাবু বলেন, “আমাদের কাছে পরীক্ষাকেন্দ্রের যে ছাপানো তালিকা আছে, সেখানেও কেশবলাল বিদ্যাপীঠের কথাই উল্লেখ আছে।”
এ দিন সকালে যোগেন্দ্রনাথ স্কুলের শিক্ষক জিতেন্দ্রনাথ বালা কেশবলাল স্কুলে গিয়ে জানতে পারেন সেখানে পরীক্ষা হবে না। হবে বনগাঁ হাইস্কুলে। তিনি প্রধান শিক্ষককে তৎক্ষণাৎ বিষয়টি জানান। সেন্টার সেক্রেটারি দিলীপ ঘোষ বলেন, “সংসদের পক্ষ থেকে সোমবার পরীক্ষাকেন্দ্র বদলের কথা জানানো হয়েছিল। কিন্তু তখন আর সেই তথ্য পরীক্ষার্থীদের জানানো সম্ভব ছিল না।” তাঁর দাবি, এ দিন সকাল থেকে কেশবলাল স্কুলে আমাদের প্রতিনিধিরা ছিলেন। সেখানেই পরীক্ষার্থীদের বিষয়টি জানানো হয়। সকলেই নির্দিষ্ট সময়ে পরীক্ষা শুরু করতে পেরেছেন।” |