নিজস্ব সংবাদদাতা • কৃষ্ণনগর |
রাজ্য রাজনাতির ভিন্ন মেরুর শাসক ও বিরোধী দল সমবায় নির্বাচনে জোট বেঁধে লড়াই করেছে। তৃণমূল ও সিপিএম উভয়েরই দাবি, ‘জনস্বার্থে’ তারা জোট করেছে। মঙ্গলবার ছিল নাকাশিপাড়ার পলাশডাঙা সমবায়ের পরিচালন সমিতির নির্বাচন। ন’টি আসনের এই নির্বাচনে তৃণমূল ও সিপিএম যৌথভাবে ‘প্যানেল’ দিয়েছে। ৬টিতে প্রার্থী দিয়েছে বিজেপি। একজন নির্দল প্রার্থীও ভোটে লড়ছেন। বুধবার ফল বার হলে সিপিএম-তৃণমূলের যৌথ ‘প্যানেল’ সবকটিতে জয়ী হয়েছে। শাসক-বিরোধী দলের এই যৌথ প্যানেলে রয়েছেন নাকাশিপাড়া গ্রাম পঞ্চায়েতের তৃণমূলের প্রাক্তন প্রধান আজাই শেখ। অন্য দিকে প্যানেলে নাম রয়েছে সিপিএমের নাকাশিপাড়া লোকাল কমিটির সদস্য সতীশচন্দ্র দে ও নাকাশিপাড়ার শাখা কমিটির সদস্য বানীকুমার দাসেরও। উভয় দলই জোট বাঁধার পিছনে অনৈতিক কিছু দেখছে না। আজাই শেখ সাফ বলেন, “সমবায়ের স্বার্থে সিপিএম-তৃণমূলের বিভেদ ভুলে আমরা একত্রে লড়েছি। এলাকার মানুষের দাবিকে তো আর অগ্রাহ্য করা যায় না!” একই সুর সিপিএমের সতীশচন্দ্র দের গলাতেও। তিনি বলেন, “উন্নয়নের প্রশ্নে রাজনীতি না করা আমাদের দলীয় অবস্থান। সেইমত সমবায়ের স্বার্থে সকলকে সঙ্গে নিয়ে ভোটে লড়েছি।”
রাজ্যজুড়ে চলতে থাকা অবিরাম কুকথার স্রোতের মধ্যে শাসক-বিরোধী এই সমঝোতা রাজনৈতিক সংস্কৃতিতে নয়া সংযোজন। বস্তুত নদিয়া জেলায় এর আগেও সমবায় ভোটে এই ধরনের জোট দেখা গেছে। কৃষ্ণগঞ্জের খালবোয়ালিয়া ও চরব্রহ্মপুর সমবায় সমিতির নির্বাচনেও তৃণমূল সিপিএম যৌথভাবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে। অবশ্য রাজ্যের কারিগরি শিক্ষা মন্ত্রী উজ্জ্বল বিশ্বাস বলেন, “আমাদের দলের কেউ এই ধরনের জোটের সঙ্গে যুক্ত থাকলে তিনি ভুল করেছেন।” অন্য দিকে সিপিএমের নাকাশিপাড়া জোনাল কমিটির সম্পাদক শান্তি দাস বলেন, “এলাকায় মানুষ আলোচনা করে কয়েকজনকে প্রার্থী হিসেবে ঠিক করেন। সেই তালিকায় কেউ রয়েছেন আমাদের দলের সদস্য। আবার অন্য দলেরও কেউ থাকতে পারেন।” অন্য দিকে জেলা বিজেপি সভাপতি কল্যান নন্দী বলেন, “আমাদের ঠেকাতে পলাশডাঙাতে সিপিএম-তৃণমূল জোট করেছে। এই ঘটনা প্রমান করে কে কার বি-টিম।” |