নিজস্ব সংবাদদাতা • বহরমপুর |
বহরমপুর কোর্ট স্টেশনের ঘটনায় বুধবার সাসপেন্ড করা হয়েছে রেলপুলিশের আরও এক কনস্টেবলকে। ‘ক্লোজ’ করা হয়েছে বহরমপুরের জিআরপি’র ওসি দীপককুমার পাইককে।
ঘটনার তদন্তে মঙ্গলবার রাতেই ডিআইজি (রেল) স্বপনকুমার মাইতি বহরমপুরে আসেন। তিনি বলেন, “সিআইডিকে দিয়ে ওই ঘটনার তদন্ত করানো হবে।” যদিও এসআরপি (শিয়ালদহ) জানান, সিআইডিকে দিয়ে তদন্ত করানোর বিষয়ে এখনও কোনও নির্দেশ আসেনি।
সোমবার গভীর রাতে রেল পুলিশের কনস্টেবল পরিতোষ বিশ্বাস বহরমপুর কোর্ট স্টেশনের প্ল্যাটফর্ম থেকে রেললাইনে ঠেলে ফেলে দেওয়ায় মৃত্যু হয় দিলীপ ঘোষ নামে এক যাত্রীর। এরপরেই গ্রেফতার করা হয় ওই কনস্টেবলকে। তিনি সাসপেন্ডও হন। এই মুহূর্তে তিনি বহরমপুরে তিন দিনের পুলিশ হেফাজতে রয়েছেন।
এ দিন আশিস রায় নামে রেলপুলিশের এক কনস্টেবলকে সাসপেন্ড করা হয়েছে। তিনি সোমবার রাতের ঘটনার সময় ‘ডিউটি অফিসার’ হিসেবে বহরমপুর জিআরপি’র দায়িত্বে ছিলেন। সেই সঙ্গে শিয়ালদহ জিআরপি পুলিশ লাইনে ‘ক্লোজ’ করা হয়েছে বহরমপুর জিআরপি’র ওসি দীপককুমার পাইককে।
এসআরপি (শিয়ালদহ) উৎপল নস্কর বলেন, “ওই ঘটনায় ডিউটি অফিসার তাঁর দায়িত্ব এড়িয়ে যেতে পারেন না। তাই ওই কনস্টেবলকে সাসপেন্ড করা হয়। আর বহরমপুর রেল পুলিশের ওসিকে ক্লোজ করা হয়েছে শিয়ালদহ জিআরপি পুলিশ লাইনে। তার বদলে শিয়ালদহ রেল পুলিশের সাব-ইন্সপেক্টর শৈবাল বাগচিকে বহরমপুর রেল পুলিশের ওসি’র দায়িত্ব দিয়ে পাঠানো হয়েছে।”
এ দিকে, গোটা ঘটনাটি বিশ্বাস করতে পারছেন না পরিতোষ বিশ্বাসের পরিবার। প্রতিবেশী নারায়ণ পোদ্দার জানান, ঘটনার পর দিন সকাল ৬টায় পরিতোষবাবু ফোন করেছিলেন তাঁকে। দু’টো কথা, ‘আমি একটা ভুল করে ফেলেছি। এখন কী করব, বুঝতে পারছি না।’ কেটে যায় ফোনটা। জিআরপি সূত্রের খবর, বদলির পর থেকেই তিনি ‘ছুটি’ নিয়ে অধিকাংশ সময়ে চাকদহের বাড়িতেই থাকতেন। কাজের ব্যাপারে তিনি আন্তরিক ছিলেন না বলে দাবি পুলিশকর্মীদের। সহকর্মীরা অনেকেই ওই কনস্টেবলের আচরণে অসন্তুষ্ট ছিলেন। |