|
|
|
|
আইন ভেঙে গান বিক্রি, হলদিয়ায় গ্রেফতার যুবক |
নিজস্ব সংবাদদাতা • হলদিয়া |
ইন্টারনেট থেকে গান ডাউনলোড করে বাণিজ্যেক ভাবে বিক্রির অভিযোগে হলদিয়ার এক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
ধৃত অমিত শর পূর্ব মেদিনীপুরের হলদিয়ার বাসুদেবপুরের বাসিন্দা। মঞ্জুশ্রী মোড়ের ‘আকাশগঙ্গা’ শপিং কমপ্লেক্সের দোতলায় দোকান তাঁর। পুলিস সূত্রের খবর, ইদানীং ওই দোকানে ইন্টারনেট থেকে গান ‘ডাউনলোড’ করে সিডি-মোবাইলে ভরে বিক্রি করা হচ্ছিল। সেই খবর পেয়ে সল্টলেকের ‘ইন্ডিয়ান মিউজিক ইন্ডাস্ট্রি’র এক প্রতিনিধি মঙ্গলবার সরেজমিন তদন্তে যান হলদিয়ায়। হাতেনাতে প্রমাণ পেয়ে তিনি দুর্গাচক থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। তারই ভিত্তিতে পুলিশ অভিযান চালায়। দোকানটি থেকে বেশ কিছু ‘কার্ড রিডার’ ও কম্পিউটার বাজেয়াপ্ত করে পুলিশ। পুলিশের দাবি, জেরায় অমিত তাদের জানিয়েছেন, এই ব্যবসা করার
জন্য যে লাইসেন্স লাগে, জানা ছিল না তাঁর। বুধবার আদালতে জামিন পান তিনি।
বস্তুত, ‘পাইরেসি’র দাপটে গানের জগতে যে কী বিপুল ক্ষতি হচ্ছে তা জানা নেই অনেকেরই। ‘পাইরেসি’তে দুনিয়ায় শীর্ষে থাকা দশটি দেশের মধ্যে ভারত অন্যতম। এর ফলে প্রতি বছর কোটি কোটি টাকার রাজস্ব ক্ষতি হয় কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারের। শুধু সরকারই নয়, রয়্যালটির টাকা না পেয়ে ক্ষতি হয় গান যিনি লিখেছেন, সুর দিয়েছেন, সর্বোপরি গেয়েছেনতাঁদেরও। এক পরিসংখ্যান বলছে, রাজস্ব ও রয়্যালটির এই হিসাব ধরলে প্রতি বছর প্রায় সাড়ে চারশো কোটি টাকার ক্ষতি হয় এ দেশে।
নিয়ম হচ্ছে, বাণিজ্যিক কারণে ইন্টারনেট থেকে গান ডাউনলোড করতে গেলে বছরে ১৮,০০০ টাকা দিয়ে ‘ইন্ডিয়ান মিউজিক ইন্ডাস্ট্রি’র লাইসেন্স নিতে হয়। শহর-শহরতলিতে সেই লাইসেন্স নেন অনেকেই। কিন্তু জেলার মফস্সল বা গ্রামবাংলায় অনেকেই ওই লাইসেন্স ছাড়া ব্যবসা করছেন এখন।
‘ইন্ডিয়ান মিউজিক ইন্ডাস্ট্রি’র এক কর্তা সঞ্জীব মুখোপাধ্যায় বলেন, “ওই সব এলাকায় পুরসভা বা পঞ্চায়েত কর্তৃপক্ষ ট্রেড লাইসেন্স দেওয়ার আগে এই লাইসেন্স নেওয়ার কথা জানিয়ে দিলেই সমস্যা মিটে যায়। আসলে সচেতনতার অভাবটাই আমাদের দেশে সবচেয়ে বড় সমস্যা।”
হলদিয়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার অমিতাভ মাইতি বলেন, “এই সব ক্ষেত্রে আমরা স্বতঃপ্রবৃত্ত হয়ে মামলা করি না। তবে কেউ অভিযোগ জানালে অবশ্যই অভিযান চালাব।” |
|
|
|
|
|