বড় ম্যাচের টিকিট বিক্রি আজ থেকে |
ডার্বির আগে অক্সিজেন পেয়ে গেল ইস্টবেঙ্গল |
নিজস্ব সংবাদদাতা • কলকাতা |
ভিয়েতনাম থেকে ডার্বির অক্সিজেন নিয়ে ফিরছেন মর্গ্যান! এএফসি কাপের অ্যাওয়ে ম্যাচ থেকে এক পয়েন্ট শিল্ড সেমিফাইনাল ডার্বির আগে নিশ্চয়ই উদ্বুদ্ধ করবে মর্গ্যানের ইস্টবেঙ্গলকে।
তবে ব্রিটিশ কোচের প্রধান লক্ষ্য প্রাক্তন লাল-হলুদ কোচ সুভাষ ভৌমিকের রেকর্ড স্পর্শ করা! বড় কোনও অঘটন না ঘটলে, এএফসি কাপে ফের ইতিহাস গড়ার মুখে ইস্টবেঙ্গল ফুটবলাররা। ২০০৪-এর পর। ইস্টবেঙ্গলকে প্রথম এবং শেষ বার এএফসি কাপের দ্বিতীয় পর্বে তুলেছিলেন সুভাষ। দশ বছর পরে আবার প্রি-কোয়ার্টারের দোরগোড়ায় দাঁড়িয়ে মর্গ্যান ব্রিগেড।
গত তিন বছর ধরে এএফসি কাপ মানেই ইস্টবেঙ্গলের কাছে আতঙ্ক ছিল। টানা ২১ ম্যাচে জয় নেই। কিন্তু এ বছর প্রথমে মালয়েশিয়ার সেলেঙ্গারকে যুবভারতীতে হারানোর পর থেকেই নতুন উদ্যমে ছুটছে লাল-হলুদ। আর বুধবার ভিয়েতনামের সাইগন জুয়ান-এর সঙ্গে গোলশূন্য ড্র করার পরে গ্রুপ লিগের বাধা টপকে নক আউট পর্বের স্বপ্ন ক্রমশ উজ্জ্বল হচ্ছে মেহতাবদের! যা পরিস্থিতি, তাতে আর একটা ম্যাচ জিতলেই প্রি-কোয়ার্টারের টিকিট হাতে এসে যাবে ইস্টবেঙ্গলের। বিশেষ করে বুধবারের অ্যাওয়ে ম্যাচের এক পয়েন্ট অনেকটাই এগিয়ে রাখছে মর্গ্যানের দলকে। গ্রুপের অন্য দল সিঙ্গাপুরের টামপাইন্স রোভার্স।
এএফসি কাপের পারফরম্যান্স কি চার দিন পরের ডার্বিতে কোনও প্রভাব ফেলবে? ইস্টবেঙ্গল কোচের সঙ্গে ভিয়েতনামে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, “আমার দলে সবাই পেশাদার ফুটবলার। ওরা জানে কোন ম্যাচের কতটা গুরুত্ব। এএফসি কাপ আলাদা টুর্নামেন্ট। শিল্ড আর একটা টুর্নামেন্ট। আইএফএ শিল্ড আমরা জিততে চাই। সেমিফাইনালে কে খেলবে, তা নিয়ে ভাবছি না।” ইস্টবেঙ্গল কোচ যাই বলুন না কেন, ভিয়েতনামে মেহতাব-পেনদের পারফরম্যান্স রবিবারের ডার্বির আগে নিশ্চয়ই আত্মবিশ্বাস বাড়িয়ে তুলবে লাল-হলুদ শিবিরে। কেননা বুধবার বিদেশের মাঠে ইস্টবেঙ্গল যা খেলল, তাতে এক পয়েন্ট নয় তিন পয়েন্ট নিয়েই মাঠ ছাড়া উচিত ছিল। মর্গ্যানের ভারতসেরা মাঝমাঠ ভিয়েতনামেও বেকায়দায় ফেলে দেয় সাইগন রক্ষণকে। ফরোয়ার্ডে চিডি-বরিসিচ জুটির বোঝাপড়ার অভাবে শেষ পর্যন্ত এক পয়েন্ট নিয়েই সন্তুষ্ট থাকতে হয় ইস্টবেঙ্গলকে।
কিছু দিন আগে অল্পের জন্য প্রদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়ের ‘অপরাজিত’ ম্যাচের রেকর্ড টপকাতে পারেননি মর্গ্যান। তবে যে গতিতে ছুটছেন, তাতে এএফসি কাপে সুভাষের রেকর্ড না ভাঙতে পারলে বোধহয় অঘটনই হবে!
ইস্টবেঙ্গল: গুরপ্রীত, খাবড়া, ওপারা, গুরবিন্দর, সৌমিক, ডিকা, সঞ্জু, মেহতাব, পেন, বরিসিচ, চিডি। |