নানা অনুষ্ঠানের মধ্যে দিয়ে হুগলির বিভিন্ন জায়গায় বুধবার পালিত হল শ্রীরামকৃষ্ণের ১৭৮ তম জন্মতিথি। তাঁর জন্মস্থান কামারপুকুরে এই উপলক্ষে তিন দিনের উৎসবের আয়োজন করা হয়েছে সেখানকার রামকৃষ্ণ মঠ ও মিশনের উদ্যোগে। প্রথম দিন দেশ-বিদেশের প্রায় ৩০ হাজার ভক্তের সমাগম হয়েছিল বলে মঠ সূত্রে জানা গিয়েছে।
কামারপুকুর রামকৃষ্ণ মঠের অধ্যক্ষ স্বামী বিশ্বনাথানন্দ জানান, ভক্তদের প্রসাদ বিতরণ এবং দুঃস্থদের পোশাক বিতরণ করা হয়েছে। প্রথম দিনের অনুষ্ঠান শুরু হয় ভোর সাড়ে চারটে নাগাদ মঙ্গলারতি, বৈদিক মন্ত্র এবং স্তোত্র পাঠের মাধ্যমে। সাড়ে পাঁচটা নাগাদ রামকৃষ্ণ কথামৃত পাঠ ও ব্যাখ্যা করেন বেলুড় মঠের সন্ন্যাসী স্বামী অচ্যুতানন্দ। সকাল সাতটায় একটি শোভাযাত্রায় কয়েক হাজার ভক্ত সামিল হন। উৎসব চলে রাত ন’টা পর্যন্ত। |
কামারপুকুরে উৎসবের মুহূর্ত। ছবি: মোহন দাস। |
বিশেষ পূজা ও হোম, আরতি, আলোচনা, ভাগবত পাঠ ছাড়াও ছিল কীর্তন, ভক্তিগীতি, আবৃত্তি, নৃত্যানুষ্ঠান, কৃষ্ণযাত্রা ইত্যাদি সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। ভিড় নিয়ন্ত্রণে কয়েকশো স্বেচ্ছাসেবী সামিল হন। শান্তিশৃঙ্খলা বজায় রাখতে ছিল ব্যাপক পুলিশি ব্যবস্থা।
এ ছাড়াও, হুগলি-চুঁচুড়ায় সকাল থেকেই বিশেষ পূজা, ভক্তিসঙ্গীত, শোভাযাত্রা ও দরিদ্রনারায়ণ সেবার মধ্য দিয়ে শ্রীরামকৃষ্ণের জন্মতিথি উৎসব পালন করে ইমামবাজার শ্রীরামকৃষ্ণ ভক্তসঙ্ঘ এবং রথতলায় হুগলি জেলা শ্রীরামকৃষ্ণ সেবাসঙ্ঘও। সন্ধ্যায় ছিল ভক্তজন সমাবেশ।
অন্য দিকে, খানাকুলের নন্দনপুর সারদা পল্লীমঙ্গল সেবা প্রতিষ্ঠানের উদ্যোগেও শ্রীরামকৃষ্ণের জন্মতিথি উদযাপিত হয়েছে। মঙ্গলারতি, চণ্ডীপাঠ, শোভাযাত্রার মাধ্যমে শুরু হয় অনুষ্ঠান। বিকেলে শ্রীরামকৃষ্ণকে নিয়ে আলোচনাসভায় ছিলেন স্বামী বিভাত্মানন্দ ও স্বামী অজেয়ানন্দ। সন্ধ্যায় ছিল ভক্তিগীতি, কথামৃত পাঠ ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। |