|
|
|
|
চিদম্বরমকে প্রতিশ্রুতি রাখার চাপই কৌশল হবে বাদলের |
নিজস্ব সংবাদদাতা • আগরতলা |
ভোটের প্রচারে ত্রিপুরায় এসে কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী পি চিদম্বরমের দেওয়া নির্বাচনী ‘প্রতিশ্রুতি’কেই এখন হাতিয়ার করে এগোতে চাইছে ত্রিপুরার নয়া বামফ্রন্ট সরকার। সপ্তম বামফ্রন্ট মন্ত্রিসভায় অর্থমন্ত্রকের দায়িত্ব নেওয়ার পরই রাজ্যের অর্থমন্ত্রী বাদল চৌধুরী মনে করিয়ে দিয়েছেন পি চিদম্বরমের সেই প্রতিশ্রুতির কথা। তিনি জানান, চিদম্বরম তখন এ রাজ্যে কর্মহীনদের জন্য বেকারভাতা, দরিদ্রদের জন্য এক টাকা কেজি দরে চাল, বিপিএলদের জন্য বিনা পয়সায় আট কেজি চাল, চাকুরিহীন প্রতি ঘরে একটি করে চাকরি, কেন্দ্রীয় হারে রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের জন্য বেতনক্রম চাল— এমন সব প্রতিশ্রুতি দিয়ে গিয়েছিলেন। বাম সরকার চায়, তিনি এ বার সে কথা রাখুন। আর্থিক তথা সামাজিক ভাতাগুলির দাবি পূরণ হলে রাজ্যের জনগণ উপকৃতই হবেন। সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক বিজন ধরও বলেন, কংগ্রেসের ইস্তাহারের সামাজিক প্রকল্প ও ভাতাগুলির বিষয়ে সিপিএমের নীতিগত কোনও বিরোধ নেই।
বাদলবাবুর কথায়, “কংগ্রেস এ রাজ্যে ক্ষমতায় আসেনি। কিন্তু কংগ্রেস ইস্তাহারের প্রতিশ্রুতিগুলি যদি সত্যিই বাস্তবায়িত করা সম্ভব হয়, তা এখন করা উচিত। নিছক ভোটের পালে হাওয়া তুলতে চিদম্বরম ওই কথা তখন বলেননি। দাবিগুলি পূরণ না করলে, ধরে নিতে হবে কংগ্রেস রাজ্যবাসীর সঙ্গে প্রতারণা করতে চেয়েছিল।’’ বাদলবাবু মনে করিয়ে দেন, চিদম্বরম শুধু নন, রাহুল গাঁধীও রাজ্যে বলে গিয়েছেন, কংগ্রেসের প্রতিশ্রুতি বাস্তবসম্মত ও কেন্দ্রীয় সরকারের সহায়তায় তা পালন করা যাবে।
ত্রিপুরার অর্থমন্ত্রীর দাবি, গত কেন্দ্রীয় যোজনায় রাজ্যের দাবির থেকে সাড়ে দশ হাজার কোটি টাকা কম দেওয়া হয়েছিল ত্রিপুরাকে আর্থিক ক্ষেত্রে চাপে রাখতে। পি চিদম্বরমের সঙ্গে খুব শীঘ্রই দেখা হবে, এমনই আশা বাদলবাবরু। কর্মচারীদের জন্য কেন্দ্রীয় বেতনক্রম চালু এবং বেকারভাতা বিষয়ে কেন্দ্রীয় নীতি ঘোষণা করার দাবিও জানাবেন। সময়ের অভাবে ‘ভোট অন অ্যাকাউন্টস’ পাশ করিয়ে কাজ চালানো হবে। |
|
|
|
|
|