|
|
|
|
টাকা খরচে ব্যর্থ বলেই বরাদ্দ কম, বলছেন বনশল |
নিজস্ব সংবাদদাতা • নয়াদিল্লি |
রেল বাজেট পেশ থেকে পাশ। মাঝের এই দু’সপ্তাহে সংসদ ও সংসদের বাইরে বাংলার প্রতি বঞ্চনার অভিযোগে সরব ছিলেন তৃণমূল নেতৃত্ব। কিন্তু আজ বাজেট বিতর্কের জবাব দিতে গিয়ে রেলমন্ত্রী পবন বনশল জানিয়ে দেন, বঞ্চনার প্রশ্ন নেই। রাজ্য যে পরিমাণ অর্থ খরচ করতে পেরেছে, সেই অনুপাতেই অর্থ বরাদ্দ করা হয়েছে।
সামনেই পঞ্চায়েত নির্বাচন। তাই রাজ্যের প্রতি বঞ্চনার অভিযোগ তুলে তৃণমূল হইচই করার কৌশল নিয়েছে বলে মনে করছে কংগ্রেস। এই অভিযোগের মোকাবিলায় খানিকটা প্রথা ভেঙেই গত শুক্রবার বিতর্কে অংশ নেন রেল প্রতিমন্ত্রী অধীর চৌধুরী। পশ্চিমবঙ্গের বিপুল বরাদ্দকৃত অর্থ খরচ করতে না পারার জন্য তৃণমূলের অসহযোগী মনোভাবকেই দায়ী করেন তিনি। আজ কার্যত তাঁর কথার সূত্র ধরেই বনশল জানান, “অভিযোগ উঠেছে আমি পশ্চিমবঙ্গকে কম টাকা দিয়েছি। কিন্তু বাস্তব হল, বহু ক্ষেত্রেই গত বছরের টাকা খরচ হয়নি। বহু পরিকল্পনা স্রেফ ঘোষণা হয়েছিল, কাজ হয়নি। ফলে বরাদ্দ কমেছে।” বনশল এই
দাবি করলেও তাঁর জবাবি ভাষণের কয়েক ঘণ্টার মধ্যে রাজ্যসভায় শুরু হওয়া রেল বাজেট বিতর্কে ফের বাংলার প্রতি বঞ্চনার প্রশ্নে সরব হন তৃণমূল সাংসদ ডেরেক ও’ব্রায়েন। লোকসভা থেকে ওয়াক আউট করেন তৃণমূল সাংসদরা। বাংলার সঙ্গে কেরলকেও বাজেটে বঞ্চনা করা হয়েছে, এই অভিযোগ তুলে ওয়াক আউট করেন বাম সাংসদরাও।
তৃণমূলের বঞ্চনা-রাজনীতির মোকাবিলায় আজ কংগ্রেস নেতৃত্ব পাল্টা আক্রমণ শানিয়েছে তৃণমূল নেত্রীর প্রশাসনিক দক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন তুলে। কংগ্রেসের এক নেতার কথায়, “তিন বছরের ওপর তৃণমূল রেল মন্ত্রকে ছিল। দেড় বছর ধরে রাজ্যেও ক্ষমতায় রয়েছেন মমতা। তার পরেও কেন তিনি রেল প্রকল্পের কাজে অগ্রগতি ঘটাতে পারলেন না, তার জবাব তো তাঁকেই দিতে হবে।”
অধীর ঘনিষ্ঠ শিবিরের বক্তব্য, রাজ্য যদি ঠিক ভাবে অর্থ খরচ করতে পারলেই বরাদ্দ বাড়াতে সমস্যা হত না। যদিও এই যুক্তি মানতে রাজি নন তৃণমূল সাংসদেরা।
অধীর গত শুক্রবার রেল প্রকল্প রূপায়ণে রাজ্যের অসহযোগিতার উদাহরণ হিসেবে জানিয়েছিলেন, হলদিয়ার ডেমু কারখানার জন্য রাস্তা চওড়া করা দরকার। কিন্তু অনুমতি দিচ্ছে না জেলা প্রশাসন। আজ রাজ্যসভায় রেল বাজেট বিতর্কে হলদিয়া প্রশ্নে অধীরকে পাল্টা আক্রমণ শানান ডেরেক। তাঁর
কথায়, “অভিযোগ অসত্য। আমি জোর দিয়ে বলতে পারি, হলদিয়া প্রশাসনের কাছে এ ধরনের আবেদন জানায়নি রেল।”
ডেরেক আরও বলেন, “ঝাড়গ্রাম, লালগড়, মেদিনীপুর, পুরুলিয়ার মতো মাওবাদী অধ্যুষিত এলাকাগুলির রেল প্রকল্পগুলিও বাজেটের আনুকূল্য পায়নি। প্রধানমন্ত্রী এক দিকে বলছেন মাওবাদীরা দেশের সুরক্ষার ক্ষেত্রে সব থেকে বড় বিপদ। কিন্তু মাওবাদী এলাকা উন্নয়নে রেল দফতরের কোনও উদ্যোগই নেই।” |
|
|
|
|
|