আলু ঢোকানোর মুখে একটি হিমঘরে ‘ক্লোজার’ ঘোষণা করা হল কাটোয়া কোশিগ্রামে। এর জেরে বিপদে পড়েছেন চাষিরা ও হিমঘরটির কর্মীরা। ওই কর্মীরা বুধবার কাটোয়ার মহকুমাশাসককে চিঠি দিয়ে হিমঘর খোলার ব্যাপারে হস্তক্ষেপ করার দাবি জানিয়েছেন। মহকুমাশাসক আর অর্জুন বলেন, “ওই হিমঘরের মালিকপক্ষের সঙ্গে কথা বলে বিষয়টি মেটানোর চেষ্টা করা হবে।”
কোশিগ্রামের ওই হিমঘরের অধিকর্তা প্রদীপ অগ্রবাল গত ২ র্মাচ বিজ্ঞপ্তি দিয়ে জানান, ৫ মার্চ থেকে অনির্দিষ্ট কালের জন্য হিমঘরটি ক্লোজার ঘোষণা করা হয়েছে। এর কারণ হিসেবে জানানো হয়েছে, তিন বছর ধরে হিমঘরে আশানুরূপ আলু ‘লোডিং’ হয়নি। তার উপর ইলেকট্রিক বিল-সহ অন্যান্য ব্যয় প্রচুর বেড়েছে। ওই হিমঘরের অন্যতম অংশীদার অমিত অগ্রবাল বলেন, “ওই হিমঘরটি লোকসানে চলছিল। আর্থিক সংস্থান করাও সম্ভব হচ্ছিল না বলে হিমঘরটি বন্ধ রাখতে বাধ্য হয়েছি।” |
ওই হিমঘরের কর্মীদের অবশ্য দাবি, বিজ্ঞপ্তিতে ৫ মার্চ লেখা হলেও কার্যত ১২ মার্চ সকালেই বন্ধ করা হয়েছে হিমঘর। ওই হিমঘরে ১০ মার্চ রাত পর্যন্ত কাজ করেছেন তাঁরা। অথচ হিমঘর কর্তৃপক্ষ শ্রমিকদের সঙ্গে কোনও কথা না বলে এক তরফা ভাবে ‘ক্লোজার’ বিজ্ঞপ্তি জারি করেছেন। ওই হিমঘরের কর্মচারি অজয় পাণ্ডে, অশোক সিংহদের অভিযোগ, “৫ মার্চ আমাদের আশঙ্কার কথা জানিয়ে মহকুমাশাসককে আমরা চিঠি দিয়েছিলাম। মহকুমাশাসক এ ব্যাপারে হস্তক্ষেপ করলে আমাদের কাজ হারাতে হত না।” প্রসঙ্গত, এই হিমঘরে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে ৭৫ জন কর্মী কাজ করতেন।
স্থানীয় আলু ব্যবসায়ী রজত দাস, অনুপ রায়রা বলেন, “ওই হিমঘরে ১ লক্ষ ৮০ হাজার প্যাকেট আলু রাখা হয়। এ বছর একেই আলুর দাম নেই। তার উপর হিমঘর বন্ধ হয়ে যাওয়ায় সমস্যা হতে পারে।” কর্মীরা জানান, কাটোয়াতেই দু’টি চালকল রয়েছে হিমঘর কর্তৃপক্ষের। কর্তৃপক্ষ হিমঘরটি বন্ধ করে চালকলের গুদাম করবেন ঠিক করেছেন বলে দাবি তাঁদের। সিটুর কাটোয়া লোকাল কমিটির সম্পাদক দেবাশিস বসু বলেন, “শ্রম দফতরকে বিষয়টি জানানো হয়েছে।” শ্রম দফতরের কাটোয়ার সহকারী কমিশনার বিষয়টি দেখার আশ্বাস দিয়েছেন। |