নিজস্ব সংবাদদাতা • কাঁকসা |
বেশ কিছু বোমা তৈরির সরঞ্জাম উদ্ধার করল পুলিশ। বুধবার কাঁকসা থানার অজয়পল্লির ঘটনা। জেলা পুলিশ সুপার এসএমএইচ মির্জা জানান, ঘটনায় জড়িত সন্দেহে দু’জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। আরও এক জনের খোঁজ চলছে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, সিপিএমের কাঁকসা ৪ লোকাল কমিটির সদস্য গোপাল বিশ্বাসের বাড়ি অজয়পল্লিতে। পাশেই তাঁর শ্বশুরবাড়ি। স্থানীয় বাসিন্দাদের থেকে খবর পেয়ে এই শ্বশুরবাড়ি থেকেই বুধবার বোমা তৈরির সরঞ্জাম উদ্ধার করে পুলিশ। বাড়ি ঘেরাও করে ৫০০ গ্রাম বিস্ফোরক, ২০০ গ্রাম স্প্লিন্টার এবং কিছু পাটের দড়ি মিলেছে। গোপালবাবুর ছেলে সঞ্জিত ও শাশুড়ি লক্ষ্মীরানি সরকারকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তবে গোপালবাবু পলাতক, তাঁর খোঁজ চলছে। |
সিপিএমের দাবি, পুরো ঘটনাটাই তৃণমূলের ষড়যন্ত্র। দলের জেলা সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য তথা কাঁকসা জোনাল কমিটির প্রাক্তন সম্পাদক বীরেশ্বর মণ্ডল জানান, দিন দু’য়েক আগে একটি গ্রাম্য বিবাদ থেকে এলাকায় উত্তেজনা ছড়ায়। গোপালবাবু বিষয়টি আপসে মিটিয়ে নেওয়ার পরামর্শ দেন। তারপর থেকেই গোপালবাবু তৃণমূলের একাংশের চক্ষুশূল হয়ে পড়েন বলে দাবি বীরেশ্বরবাবুর। তিনি আরও জানান, এ দিন তৃণমূলের লোকেরা বাইরে থেকে লোক এনে গোপালবাবুর বাড়ি ঘেরাও করে ইট, পাটকেল ছুঁড়তে শুরু করে। গোপালবাবু ভয়ে পালিয়ে যান। পাশেই তাঁর শ্বশুরবাড়ি। বীরেশ্বরবাবু বলেন, “কয়েক জন একটি ব্যাগ সেখানে রেখে যায়। গোপালবাবুর শাশুড়ি পুলিশকে সে কথা বলতে গেলে পুলিশ তাঁকে গ্রেফতার করে।” তিনি জানান, পরে গোপালবাবুর ছেলে বাঁকুড়ার ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের পড়ুয়া সঞ্জিত পুলিশের কাছে কৈফিয়ত চাইতে গেলে তাকেও গ্রেফতার করা হয়। পুলিশ অবশ্য এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে। কাঁকসার তৃণমূল নেতা তথা দলের প্রাক্তন ব্লক সভাপতি দেবদাস বক্সী শুধু বলেন, “পুলিশ তার কাজ করেছে।” |