|
|
|
|
পার্থ-গৌতমের দ্বারস্থ ব্যবসায়ী, পুলিশ পিকেট দাবি |
চকচকায় আঁধারে শিল্পতালুক |
অরিন্দম সাহা • কোচবিহার |
৩১ নম্বর জাতীয় সড়কের সঙ্গে সংযোগকারী রাস্তা পাকা হয়নি। ভিতরের কিছু রাস্তার অবস্থাও বেহাল। পথবাতি মাঝেমধ্যে জ্বলে না। নেই পুলিশ পিকেট। ঝড়বৃষ্টির দিনে বিদ্যুৎ সরবরাহ নিয়ে সমস্যা আরও বেড়ে যায়। বেহাল নিকাশি ব্যবস্থার জন্য ফি বছর জলে ভাসে গোটা চত্বর। এক ঝলকে এই হল কোচবিহারের চকচকা শিল্প তালুকের ছবি। প্রায় এক দশক পরেও পরিকাঠামো গড়ে না ওঠায় ব্যবসায়ী মহলে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। তাঁরা শিল্পমন্ত্রী ও উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রীর দ্বারস্থ হচ্ছেন।
কোচবিহারের জেলা ইন্ডাস্ট্রিয়াল ওয়েল ফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক সুব্রত পোদ্দার বলেন, “জেলা প্রশাসনের কাছে সমস্যা সমাধানের আবেদন করা হয়েছে। কিন্তু লাভ হয়নি। সন্ধ্যার পরে শিল্প তালুক অন্ধকারে ডুবে থাকে। স্থায়ী পুলিশ পিকেটের ব্যবস্থা এখনও হল না। তাই নিরুপায় হয়ে দ্রুত পরিকাঠামো গড়ে তোলার আবেদন নিয়ে শিল্পমন্ত্রী ও উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলব।” উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী গৌতম দেব বলেন, “ব্যবসায়ীরা সমস্যা জানালে জেলাশাসকের সঙ্গে কথা বলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।” বিভিন্ন মহলের অভিযোগ, কোচবিহার জেলায় শিল্প সম্প্রসারণের লক্ষ্য নিয়ে ২০০১ সালে চকচকায় ওই শিল্প তালুক গড়ে তোলা হয়। তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য ১২টি কারখানার শিলান্যাস করেন। বর্তমানে সেখানে ছোটবড় মিলিয়ে ৪৫টি কারখানা চালু রয়েছে। কয়েক হাজার শ্রমিকের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা হয়েছে। কিন্তু পরিকাঠামো উন্নয়নের কোনও ব্যবস্থা না নেওয়ায় নতুন শিল্প স্থাপনের সম্ভাবনা কমছে। ব্যবসায়ীদের অভিযোগ, ৩১ নম্বর জাতীয় সড়ক থেকে সরাসরি শিল্পকেন্দ্রে যাতায়াতের রাস্তা কাঁচা। প্রায় এক কিলোমিটার ঘুর পথে স্কুল ও যানজটবহুল রাস্তা পার হয়ে শিল্পকেন্দ্রের পণ্য ও কাঁচামাল বোঝাই ট্রাক যাতায়াত করছে। শিল্পকেন্দ্র চত্বরের পথবাতি অকেজো দু’সপ্তাহের বেশি সময় থেকে। সন্ধ্যার পরে বিস্তীর্ণ এলাকা অন্ধকারে ডুবে থাকে। নিরাপত্তায় এলাকায় পুলিশ পিকেট বসানোর দাবি তুলেছেন উদ্যোগীরা।
জেলাশাসক মোহন গাঁধী সমস্যার কথা অস্বীকার করেননি। তিনি এই প্রসঙ্গে বলেছেন, “রাজ্য শিল্প উন্নয়ন নিগম কর্তৃপক্ষের সঙ্গে পথবাতি ও নিকাশি সমস্যা নিয়ে কথা বলেছি। ওঁরা সমস্যা সমাধানের আশ্বাস দিয়েছেন। কেন কাজ হচ্ছে না খোঁজ নিয়ে দেখব। সন্ধ্যার পরে ওই এলাকায় পুলিশের টহল বাড়ানোর জন্য পুলিশ সুপারের সঙ্গে কথা বলব।” রাজ্য শিল্প উন্নয়ন নিগমের এক আধিকারিক জানান নিকাশি ও পথবাতির সমস্যা মেটাতে প্রকল্প তৈরি করে অনুমোদনের জন্য কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠানো হয়েছে। রাস্তা মেরামতের কিছু কাজ হয়েছে। আরও কাজ করা হবে। কোচবিহারের পুলিশ সুপার অনুপ জয়সওয়াল অবশ্য জানিয়েছেন, শিল্পতালুকে পুলিশ পিকেট বসানো সম্ভব নয়। নিরাপত্তা নিয়ে নির্দিষ্ট অভিযোগ থাকলে তাঁরা ব্যবস্থা নেবেন। |
|
|
|
|
|