‘ব্যাগ’-এর আকাল, ফিরলেন রক্তদাতারা
নিজস্ব সংবাদদাতা • রঘুনাথগঞ্জ |
‘ব্যাগে’র আকাল। তাই রবিবার সাগরদিঘিতে আয়োজিত একটি রক্তদান শিবির থেকে ফিরে যেতে হল অনেক রক্তদাতাকে। শিবিরের মূল উদ্যোক্তা জেলা কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক আমিনুল ইসলাম বলেন, “প্রায় চারশ জন রক্ত দেবেন বলে মাস খানেক আগে জঙ্গিপুর, কান্দি ও লালবাগের ব্লাড ব্যাঙ্ককে জানিয়েছিলাম। কিন্তু ব্যাগ আসে মাত্র ১৭৩টি। ফলে প্রায় ২০০ জনের রক্ত নেওয়া সম্ভব হয়নি।” অনেকে মনে করছেন, এর ফলে রক্তদাতারা উৎসাহ হারাবেন। পরবর্তীতে রক্তদান শিবিরের আয়োজন করতে সমস্যা হবে। জঙ্গিপুর মহকুমা হাসপাতালের সুপার শাশ্বত মণ্ডল বলেন, “ব্যাগ না থাকলে কী করার আছে? দু’সপ্তাহ ধরে স্বাস্থ্যভবনে লাগাতার তাগাদা দিয়েও রক্তের ব্যাগ মেলেনি। জঙ্গিপুর ব্লাড ব্যাঙ্কের পক্ষে মাত্র ৩৩ জনের রক্ত নেওয়া গেছে।” লালবাগ ব্লাড ব্যাঙ্কের প্রধান অপূর্ব কুমার চট্টরাজ বলেন, “রাজ্য জুড়েই ব্যাগের সঙ্কট। স্বাস্থ্য ভবনে হত্যে দিয়েও ব্যাগ মিলছে না।”
|
নিখরচায় বিশেষ অ্যাম্বুল্যান্স পরিষেবা
নিজস্ব সংবাদদাতা • শিলিগুড়ি |
গুরুতর রোগীদের জন্য নিখরচায় বিশেষ অ্যাম্বুল্যান্স পরিষেবা চালু করল শিলিগুড়ির নেউটিয়া গেটওয়েল হেলথ কেয়ার সেন্টার। রবিবার ওই পরিষেবার সূচনা করেন শিলিগুড়ির পুলিশ কমিশনার আনন্দ কুমার। কর্তৃপক্ষ জানান, শিলিগুড়ির কোথাও কোনও রোগী গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েছেন, দুর্ঘটনা স্থল থেকে জরুরি ভিত্তিতে জখমদের চিকিৎসা পরিষেবা দিতে নার্সিংহোমে আনার ক্ষেত্রে নির্ধারিত নম্বরে ফোন করলেই ওই পরিষেবা মিলবে। উপস্থিত ছিলেন বেঙডুবি সেনা ছাইনির মেজর জেনারেল অশোক কুমার সেন। বেসরকারি ওই স্বাস্থ্য কেন্দ্রের ম্যানেজিং ডিরেক্টর পি এল মেহটা জানান, পথ দুর্ঘটনা-সহ গুরুতর অসুস্থ কাউকে স্বাস্থ্যকেন্দ্রে আনতে নিখরচায় ওই পরিষেবা মিলবে। অ্যাম্বল্যান্সের সঙ্গে প্রশিক্ষত নার্স, স্বাস্থ্যকর্মী, চিকিৎসকরাও ঘটনাস্থলে যাবে। দুর্ঘটনাস্থলে জখম বা অসুস্থ ব্যক্তিদের বিভিন্নি ক্ষেত্রে কী ব্যবস্থা নেওয়া উচিত টহলদারির কাজে যুক্ত পুলিশ কর্মীদের তারা এ ব্যাপারে প্রশিক্ষণ দিতেও উদ্যোগ গ্রহণ করেছেন বলে জানিয়েছেন।
|
হাসপাতালে পরিদর্শন
নিজস্ব সংবাদদাতা • বোলপুর |
মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে আট সদস্যের এক প্রতিনিধিদল (‘মাল্টি ডিসিপ্লিনারি এক্সপার্ট গ্রুপ’) ঘুরে দেখলেন বোলপুর মহকুমা হাসপাতাল। রাজ্যের স্বাস্থ্য পরিষেবাকে আরও তৃণমূল স্তরে পাঠানোর পাশাপাশি পরিকাঠামো ও পরিষেবাগত কী কী ঘাটতি রয়েছে তা সরেজমিনে তদন্ত করে গেলেন। ওই প্রতিনিধিদলের নেতৃত্বে ছিলেন ওই গ্রুপের চেয়ারম্যান চিকিৎসক সুব্রত মৈত্র। রবিবার হাসপাতাল পরিদর্শন করার পর সুব্রতবাবু বলেন, “বীরভূম, বাঁকুড়া, পুরুলিয়ার হাসপাতালগুলি আমরা ঘুরে দেখছি। শুধু মহকুমা স্তরেই নয়, ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রগুলিতেও আইটিইউ ডায়ালিসিস পরিষেবা পৌঁছে দেওয়ার সুপারিশ জানাব।” বোলপুর মহকুমা হাসপাতালের জন্য তাঁরা আরও ৭৫টি বেড বাড়ানোর সুপারিশও করবেন বলে জানিয়েছেন।
|
ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন
নিজস্ব সংবাদদাতা • সিউড়ি |
‘মাদার-চাইল্ড হেলথ হাব”-এর ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন হল সিউড়ি সদর হাসপাতালে। রবিবার সন্ধ্যায় অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের মৎস্যমন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিংহ, হাসপাতালের সুপার মানবেন্দ্র ঘোষ, ভারপ্রাপ্ত জেলা মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক গুরুদাস পাত্র-সহ বহু বিশিষ্ট জন। স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে,১৪.৪০ কোটি টাকা ব্যয়ে এই হাব নির্মাণ করা হবে। হাবটি তৈরি হলে এক ছাদের তলায় মা ও শিশুর চিকিৎসার সব রকমের আধুনিক সুবিধা পাওয়া যাবে। চন্দ্রনাথবাবু বলেন, “রাজ্যের এগারোটি হাসপাতালের এই ধরনের হাব তৈরি হবে। ইতিমধ্যে একটি হাসপাতালে এর কাজ শুরু হয়েছে। সিউড়িতে দ্বিতীয় হাবটি তৈরি হতে চলেছে।”
|
উপ-স্বাস্থ্যকেন্দ্র চালু
নিজস্ব সংবাদদাতা • কাঁথি |
উপ স্বাস্থ্যকেন্দ্রের উদ্বোধন হল কাঁথি দেশপ্রাণ ব্লকের চালতিতে। শনিবার এর উদ্বোধন করেন জেলা পরিষদের সহ-সভাধিপতি মামুদ হোসেন। উপস্থিত ছিলেন দেশপ্রাণ পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি তরুণ জানা, চালতি গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান তপন সামন্ত প্রমুখ। ১২ লক্ষ টাকা ব্যয়ে এই উপস্বাস্থ্য কেন্দ্রটি তৈরি হয়েছে।
|
উদ্বোধনে রবীন্দ্রনাথ
নিজস্ব সংবাদদাতা • সিঙ্গুর |
কৃষিমন্ত্রী আসেননি। তাঁর বদলে উপ-স্বাস্থ্যকেন্দ্রের উদ্বোধন করলেন সিঙ্গুরের বিধায়ক রবীন্দ্রনাথ ভট্টাচার্য। প্রশাসনিক সূত্রে খবর, রবিবার সিঙ্গুরের মির্জাপুর-বাঁকিপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের অধীন জগৎনগর গ্রামের ওই উপ-স্বাস্থ্যকেন্দ্রের উদ্বোধন করার কথা ছিল কৃষিমন্ত্রী বেচারাম মান্নার। তিনি আসেননি। রবীন্দ্রনাথবাবুই উদ্বোধন করেন। |