শিয়ালদহ ও হাওড়া ডিভিশনে পরপর দু’দিন দু’টি ট্রেনের উদ্বোধন করলেন রেল প্রতিমন্ত্রী অধীর চৌধুরী। শনিবার শিয়ালদহ ডিভিশনের বহরমপুর স্টেশন থেকে লালগোলা-শিয়ালদহগামী মেমু ট্রেনের উদ্বোধন করেন। রবিবার সূচনা করেন আজিমগঞ্জ-কাটোয়া ডেমু ট্রেনের।
এ বারের রেল বাজেটে ওই দুটি নতুন ট্রেনের উল্লেখ ছিল। কিন্তু বাজেটে নতুন ট্রেন দেওয়ার কথা বলা হলেও বিভিন্ন কারণে ওই ট্রেনের সূচনাকাল বিলম্ব হত। সেই অর্থে রেল বাজেটের ১১ দিনের মধ্যে হাওড়া ও শিয়ালদহ ডিঙিশনে দুটি নতুন ট্রেনের সূচনা করে দৃষ্টান্ত তৈরি করলেন অধীর। |
তিনি বলেন, “নবগ্রাম বিধানসভা কেন্দ্র থেকে ১৯৯৬ সালে আমাকে প্রথম বার বিধায়ক পদে নির্বাচিত করেন আজিমগঞ্জ এলাকার মানুষ। ফলে এখানে কোনও কাজ করার জন্য আসতে পেরে, তা সামান্য ট্রেন উদ্বোধনই হোক না কেন, তা নিয়ে নিজের তৃপ্তিবোধ রয়েছে।” তিনি বলেন, “তবে যে দিন নশিপুর রেলসেতু দিয়ে হাওড়া-শিয়ালদহ দুটি ডিভিশনের মধ্যে ট্রেন চলাচল শুরু হবে, সেই দিন সবচেয়ে বেশি খুশি হব।” জমি-জটিলতায় আটকে রয়েছে নসিপুর রেলসেতুর উদ্বোধন। অধীর বলেন, “হাওড়া-শিয়ালদহ ডিভিশনের মধ্যে রেলসংযোগ হলে ৪০ কিমি পথ সহজ হয়ে যাবে। সাড়ে ৬ একর জমির জন্যে গোটা প্রকল্পটি অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে। সমাধানের চেষ্টা চলছে। এটা করতে পারলে প্রকৃত কাজ করা হবে।” এদিন রেলমন্ত্রী যে নতুন ডেমু ট্রেনটি সূচনা করলেন, তা আজিমগঞ্জ থেকে ১০টা ৪০ মিনিটে ছেড়ে কাটোয়া পৌঁছাবে দুপুর ১টা ১০ মিনিটে এবং ফের দুপুর ২টো ৪৫ মিনিটে কাটোয়া ছেড়ে আজিমগঞ্জে পৌঁছাবে বিকেল ৫টা ১৫ মিনিটে। ওই শাখার নিত্যযাত্রী অ্যাসোসিয়েশনের পক্ষে অবনীকুমার প্রামাণিক বলেন, “নতুন ডেমু ট্রেনটি কোনও হল্ট স্টেশনে দাঁড়াবে না। হল্ট স্টেশনে ট্রেনটি দাঁড়ালে অনেক মানুষের উপকার হত।” |