|
|
|
|
নন্দীগ্রামে জলপ্রকল্প |
জলাধার তৈরির কাজ হল না চার বছরেও |
নিজস্ব সংবাদদাতা • তমলুক |
চার বছরেও জলাধার তৈরি হয়নি। নন্দীগ্রামের সোনাচূড়ায় তাই এখনও নির্দিষ্ট সময় ছাড়া পানীয় জল পান না গ্রামবাসীরা। টানা লোডশেডিং চললে নির্দিষ্ট সময়েও জল পাওয়া যায় না অনেক সময়। বাড়ি -বাড়ি পানীয় জল সরবরাহ কবে শুরু হবে জানা নেই কারও। ২০০৭ সালে সিপিএমের নন্দীগ্রাম পুনর্দখল পর্বের পর যুদ্ধকালীন তৎপরতায় সোনাচূড়া বাজারের কাছে এই নলবাহিত পানীয় জল সরবরাহ প্রকল্পের কাজ শুরু হয়েছিল। কয়েকমাসের মধ্যেই কাজ শেষ করে ২০০৮ সালের প্রথম দিকে দু’টি পাম্পহাউস -সহ ওই নলবাহিত পানীয় জল সরবরাহ প্রকল্প চালু করে দেয় জনস্বাস্থ্য কারিগির দফতর। স্থানীয় সোনাচূড়া ও সোনাচূড়া জালপাই গ্রামের বিভিন্ন জায়গায় ট্যাপকল বসিয়ে পাইপলাইনের মাধ্যমে এলাকার বাসিন্দাদের পানীয় জল সরবরাহ শুরু হয়। ট্যাপকল সর্বত্র না থাকায় অসুবিধা হচ্ছিল। পরবর্তী সময়ে তাই স্থানীয় বাসিন্দাদের উদ্যোগে আরও কিছু ট্যাপকল বসানো হয়।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, সারা দিনে চার বার জল সরবরাহের নিয়ম থাকলেও বিদ্যুৎ না থাকলে পাম্প কাজ করতে পারে না। ফলে জল সরবরাহ বিঘ্নিত হয়। এ ছাড়া সরাসরি জল তুলে পাইপলাইনে সরবরাহের ফলে কখনও কখনও ঘোলা জল আসে। শোধনের কোনও উপায় না থাকায় সব সময় তা পান করার উপযোগী হয় না। এই সব অসুবিধার জন্য এবং বাড়ি বাড়ি পানীয় জল সরবরাহের লক্ষ্যে ২০০৯ সালে ওভারহেড জলাধার তৈরির পরিকল্পনা নেয় জনস্বাস্থ্য কারিগরি দফতর। পরিকল্পনা অনুযায়ী সোনাচূড়া বাজারের কাছে জল সরবরাহ প্রকল্পের একটি পাম্পহাউস সংলগ্ন এলাকায় একটি বড় জলাধার তৈরির জন্য প্রায় ৫০ লক্ষ টাকা বরাদ্দ করা হয়। জনস্বাস্থ্য কারিগরি দফতরের উদ্যোগে ৫৫ হাজার গ্যালন জলধারণ ক্ষমতার জলাধার তৈরি করার কাজের টেন্ডার প্রক্রিয়া হয় ওই বছরই।
কিন্তু স্থানীয় কিছু সমস্যার কারণে জলাধার তৈরির কাজ শুরু হয় মাত্র দেড় বছর আগে। তৃণমূলের বাধাতেই ওই কাজ শুরু করা যায়নি বলে অভিযোগ। সোনাচূড়ার পঞ্চায়েত প্রধান কালীকৃষ্ণ প্রধান অবশ্য সেই অভিযোগ উড়িয়ে দিয়ে বলেন, ‘‘কাজটা সম্পূর্ণ করার জন্য জনস্বাস্থ্য কারিগরি দফতরের তরফে তেমন তৎপরতা দেখা যায়নি। জলাধার চালু না হওয়ায় বাড়ি বাড়ি জল সরবরাহের কাজ শুরু করা যাচ্ছে না। জেলা পরিষদেও বিষয়টি জানিয়েছি।”
পূর্ব মেদিনীপুর জেলা পরিষদের সহ -সভাধিপতি মামুদ হোসেন বলেন, ‘‘জলাধার তৈরির কাজ শুরতে কিছুটা দেরি হয়েছিল। এখন কাজ প্রায় শেষ পর্যায়ে। জলাধার তৈরির কাজ সম্পূর্ণ করে তা দ্রুত চালুর জন্য জনস্বাস্থ্য কারিগরি দফতরকে ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে।” জেলা জনস্বাস্থ্য কারিগরি দফতরের নির্বাহী বাস্তুকার সত্যজিৎ পানের দায়সারা উত্তর, ‘‘সোনাচূড়ায় জলাধার তৈরির কাজ শেষ হয়েছে কি না জানা নেই। খোঁজ নিয়ে বলব।” |
|
|
|
|
|