দিয়েগো মারাদোনার সঙ্গে পেলেকে যোগ করলে কী পাওয়া যাবে?
উত্তর, সচিন রমেশ তেন্ডুলকর!
সচিনকে নিয়ে নিজের নতুন বইয়ে এমনটাই লিখেছেন অ্যালান অ্যান্টনি ডোনাল্ড। দক্ষিণ আফ্রিকার কিংবদন্তি পেসার ক্রিকেট খেলাটায় সচিন তেন্ডুলকরের গুরুত্ব ব্যখ্যা করতে গিয়ে লিখেছেন, “ব্যাপারটা খুব সরল। ক্রিকেটে সচিন হচ্ছে মারাদোনা আর পেলের যোগফল। সচিনের আবেদন শুধু ক্রিকেট মাঠের মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয়। তার থেকে আরও অনেক বেশি গভীর, অনেক বেশি বৃহৎ।” সচিনকে “অবিশ্বাস্য রকমের স্পেশ্যাল,” বলার পাশাপাশি ডোনাল্ডের দাবি, সচিনের অবসরে ক্রিকেট খেলাটা অনেকটাই গরীব হয়ে যাবে।
‘সাদা বিদ্যুৎ’। দুরন্ত গতির জন্য ক্রিকেট দুনিয়ায় এটাই ডাক নাম ডোনাল্ডের। সেই বিদ্যুতের সঙ্গে বেশ কয়েকটা স্মরণীয় ব্যাট বনাম বল লড়াই রয়েছে সচিনের। ডোনাল্ড নিজেই এক সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন যে, ১৯৯৬-এ ডারবানে যে বলটায় তিনি তেন্ডুলকরকে বোল্ড করেন, সেটাই টেস্ট ক্রিকেটে তাঁর জীবনের সেরা ডেলিভারি। সচিনকে দেখলে ডোনাল্ডের নাকি সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত বড়কর্তা মনে হয়। যাঁর বুকে ঝোলানো মেডেলের মেলা বলে দেয় বিশ্ব জুড়ে তিনি কোথায় কোথায় কত জন বোলার বধ করেছেন। ডোনাল্ডের স্পষ্ট কথা, “ক্রিকেটে গ্রেটেস্ট কে? প্রশ্নটা শুনলে প্রথমেই আমার সচিনের নামটা মাথায় আসে।” |
এ বার সেই ‘গ্রেটেস্ট’ ক্রিকেটারকে নিয়েই লিখেছেন নিজের নতুন বই, ‘সচিনক্রিকেটার অব দ্য সেঞ্চুরি।’ ক্রিকেট এবং ক্রিকেটারদের নিয়ে বইয়ের অভাব নেই। তবে ক্রিকেটের এক কিংবদন্তিকে নিয়ে একটা আস্ত বই লিখে ফেলছেন আর এক কিংবদন্তিএমন নজির সম্ভবত খুব বেশি নেই। চলতি মাসের শেষেই এই বই এসে যাচ্ছে বাজারে। বইটা অবশ্য শুধুই সচিন-স্তুতি ভাবলে ভুল হবে। সচিনকে ফেরানোর গুরুমন্ত্রও নতুন প্রজন্মের সঙ্গে ভাগ করে নিয়েছেন ডোনাল্ড। বলে দিয়েছেন, কী করে তৈরি হতে হবে সচিনের বিরুদ্ধে বল করার আগে। লিখেছেন, “ইতিহাস বলে সচিনের বিরুদ্ধে ডান হাতি জোরে বোলাররা সাফল্য পেয়েছে। সেটা মাথায় রেখেই ১৯৯৬-এ ভারত সফরে যাওয়ার আগে কার্টলি অ্যামব্রোজের পরামর্শ নিতে গিয়েছিলাম। ও আমাকে একটাই কথা বলেছিল। খবরদার সচিনকে প্রথম পনেরোটা ডেলিভারি ছাড়তে দিও না।”
নতুন বোলারদেরও সেটাই বলছেন ডোনাল্ড। কারণ ক্রিজে আসার পর প্রথম কুড়ি মিনিটই নাকি সচিনকে ফেরানোর সেরা বাজি! আর দু’তিন ওভার যদি সচিন বলটা দেখে নেন, তা হলে ঈশ্বর ছাড়া আর কেউ নাকি বোলারকে রক্ষা করতে পারে না।
|
যোধপুরের মহারাজা দ্বিতীয় গজ সিংহের আয়োজিত এই নিলামে উঠেছে ঐতিহাসিক ধনরত্ন, রাজপোশাক, অস্ত্রশস্ত্র, পেন্টিং। যোধপুরের উমেদ ভবনে তিন দিনের এই নিলামে শনিবার রাতে দেখা গিয়েছে সস্ত্রীক সচিন তেন্ডুলকরকে। ছিলেন মুকেশ-নীতা অম্বানী, ইয়র্কের ডিউক এবং ডাচেস, গ্র্যামিজয়ী গায়ক স্টিং। ভারতীয় হেড ইনজুরি ফাউন্ডেশনের জন্য অর্থ সংগ্রহ করতে এই নিলামের আয়োজন। |