টুকরো খবর
অনিয়মের নালিশ, গ্রেফতার প্রধান
অবৈধ ভাবে গাছ কাটা এবং বিক্রিতে অনিয়মের অভিযোগে গোঘাট-১ ব্লকের রঘুবাটি পঞ্চায়েতের সিপিএম প্রধানকে দিন কয়েক আগেই ধরেছে পুলিশ। এ দিকে, গ্রেফতারের পদ্ধতি নিয়ে প্রশ্ন তুলে সরব হয়েছেন স্থানীয় সিপিএম নেতৃত্ব। বিডিও দেবেন্দ্রনাথ বিশ্বাসের অভিযোগের ভিত্তিতে বৃহস্পতিবার রাতে গুণধর মণ্ডল নামে ওই প্রধানকে পঞ্চায়েত অফিস থেকেই গ্রেফতার করা হয়। সকাল থেকে তাঁকে তৃণমূল কর্মী-সমর্থকেরা ঘেরাও করেছিলেন। ধৃতকে ১৪ দিন জেল হাজতে রাখার নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক। এসডিপিও (আরামবাগ) শিবপ্রসাদ পাত্র জানিয়েছেন, প্রধানের বিরুদ্ধে বিশ্বাসভঙ্গ, বন দফতরের বিধি অমান্য করে গাছ কাটা এবং তা বিক্রিতে অনিয়মের অভিযোগ দায়ের হয়েছে। প্রধান অবশ্য আগেই তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছিলেন। মহকুমাশাসক অরিন্দম রায় বলেন, “প্রশাসনিক তদন্তে প্রধানের বিরুদ্ধে অনিয়মের অভিযোগ প্রমাণিত। বৃহস্পতিবার শুনানির জন্য তাঁকে ডাকা হয়েছিল। প্রধান আত্মপক্ষ সমর্থনে যে হিসেব পেশ করেন, তাতেও প্রায় ৩ লক্ষ ৩০ হাজার টাকার গরমিল ধরা পড়েছে। তাই তাঁর বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।” সিপিএমের গোঘাট জোনাল কমিটির সম্পাদক অরুণ পাত্র বলেন, “তৃণমূল ঘেরাও করে প্রধানকে ধরতে বাধ্য করিয়েছে পুলিশকে।”

শিকার করে ধৃত
জঙ্গলে ঢুকে বন্য শূকর মারার অভিযোগে ৬ জনকে গ্রেফতার করল বন দফতর। ঝালদা রেঞ্জের কলমা বীট এলাকার কাঁসরা পাহাড়ি জঙ্গল থেকে বৃহস্পতিবার তাদের ধরা হয়। ঝালদার রেঞ্জ আধিকারিক সমীর বসুর দাবি, “ধৃতদের কাছ থেকে শিকার করা মৃত একটি শূকর ও বল্লম, কুড়ুল পাওয়া গিয়েছে।” ধৃতেরা কোটশিলা থানার জারাটাঁড় গ্রামের বাসিন্দা। শুক্রবার ধৃতদের পুরুলিয়া আদালতে হাজির করানো হলে বিচারক তাদের ১৪ দিন জেলহাজতে রাখার নির্দেশ দেন। পুরুলিয়া ডিভিশনের ডিএফও সোমা দাস বলেন, “বন্যপ্রাণী সুরক্ষা আইন, ১৯৭২ লঙ্ঘনের অভিযোগে তাদের ধরা হয়।”

আজব সওয়ারি
রবিবার ময়দানে। —নিজস্ব চিত্র

হনুমানের তাণ্ডব
সেই হনুমান।
এক দলছুট হনুমানের কামড়ে জখম হলেন ছ’জন। কালনা ২ ব্লকের বৈদ্যপুর এলাকার ঘটনা। আহতদের দু’জন স্কুলছাত্র। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বৃহস্পতিবার দুপুরে বৈদ্যপুর রামকৃষ্ণ বিদ্যাপীঠের খেলার মাঠে জেলা পুলিশের উদ্যোগে চলছিল আদিবাসী ক্রীড়া। আচমকা সেখানে উপস্থিত হয় ওই হনুমান। সে দিন থেকেই এলাকায় হামলা চালাচ্ছিল হনুমানটি। শনিবার স্কুল চলাকালীন দুই ছাত্রকে জখম করে হনুমানটি। স্কুলের শিক্ষক মনোতোষ মণ্ডল বলেন, “আতঙ্কের পরিবেশ তৈরি হওয়ায় অনেক ছাত্র স্কুলে আসতে ভয় পাচ্ছে। স্কুলের তরফে বিষয়টি কালনা থানা ও বিভিন্ন জায়গায় জানানো হচ্ছে।” কালনা থানা সূত্রে জানানো হয়েছে, রবিবার বন দফতরে বিষয়টি জানানো হচ্ছে।

বাঘের মৃতদেহ
একটি বাঘের মৃতদেহ উদ্ধার হল সুন্দরবনের ঝিলা-পাঁচ জঙ্গলের ধার থেকে। রবিবার সকালে গোসাবার ওই জঙ্গলের ধারে দেহটি পড়ে থাকতে দেখেন বনকর্মীরা। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছন সুন্দরবন ব্যাঘ্র প্রকল্পের আধিকারিকেরা। দেহটি ভুটভুটিতে তুলে নিয়ে আসা হয় সজনেখালি রেঞ্জ অফিসে। সুন্দরবন ব্যাঘ্র প্রকল্পের ফিল্ড ডাইরেক্টর সৌমিত্র দাশগুপ্ত বলেন, “মৃত বাঘটির দেহে কোনও আঘাতের চিহ্ন নেই। শুধু মুখের কাছে রক্তের দাগ আছে। কী কারণে মৃত্যু হল, তা সোমবার ময়না-তদন্তের পরই বলা যাবে।”

কুকুরছানা উদ্ধার করে শুশ্রূষা
তথ্য ও ছবি: রমাপ্রসাদ গঙ্গোপাধ্যায়
কোনও বিদেশি জাতের তকমা ছিল না তার গায়ে। সাধারণ দেশি কুকুর ছানা। কয়েক মাস আগে ডোমজুড়ের দক্ষিণ ঝাঁপড়দহের তেঁতুলতলায় একটি সাইকেল রিকশায় চাপা পড়েছিল সে। আঘাত লাগে ঘাড়ে ও পায়ে। নষ্ট হয়ে যায় একটি চোখ। এলাকার পল্লিরক্ষী বাহিনীর সদস্যেরা কুকুরছানাটিকে উদ্ধার করে শুশ্রূষা শুরু করেন। স্থানীয় পশু চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী খাওয়ানো চলতে থাকে ওষুধ। দেওয়া হয় বিস্কুট, ভাত, মাছ। এর ভিতরেই কেউ একজন ওই কুকুরছানাটির নাম দিয়েছেন ফুচু। এখন সে অনেক সুস্থ।

দলে ফিরল সারস
মানস থেকে মাজুলি। সেখান থেকে সোজা সাইবেরিয়া। জখম অবস্থায় মাস দুয়েক আগে অসমের মানস জাতীয় উদ্যানে পড়ে ছিল একটি সারস। ডব্লিউটিআইয়ের প্রাণী উদ্ধার কেন্দ্রের চিকিৎসায় তার ক্ষত সেরেছে। বল ফিরেছে ডানায়। তারপরেই সারসটির বাকি দলের সন্ধানে বার্তা পাঠানো হয়েছিল অসম ও ভুটানের বিভিন্ন প্রান্তে। জানা যায় মাজুলি দ্বীপে ঘাঁটি গেড়েছে ১২০টি সারসের দল। আজ ভোর ৫টা নাগাদ দলছুট সারসকে নিয়ে চিকিৎসক অভিজিৎ ভাওয়াল ও তাঁর সঙ্গীরা ব্রহ্মপুত্র পার হয়ে মাজুলি আসেন। এর পর সকাল সাড়ে ৬টা নাগাদ উদ্ধার হওয়া সারসটি তার দলে মিশে যায়। দলটির অসমবাসের মেয়াদ প্রায় শেষ। রথীন বর্মন জানান, ঠিক সময়ে বাকি দলটির সন্ধান না পেলে, একলা সারসটি হয়ত রাস্তা চিনে এত দীর্ঘ পথ পাড়ি দিতে পারত না।

মুক্তির অপেক্ষায়
ছবি: দীপঙ্কর ঘটক
প্রায় দু’মাস ডুয়ার্সের বাগরাকোট চা বাগানে ঘোরাফেরা করছিল চিতাবাঘটি। রবিবার ভোরে বাগানের ৩০ এবং ৩১ নম্বর সেকশনে পাতা ফাঁদে ধরা পড়ে সেটি। খাঁচাবন্দি হতেই তীব্র গর্জনে ঘুম ভাঙে শ্রমিকদের। খাঁচার লোহায় আঘাত করে নিজের মুখ রক্তাক্ত করে ফেলে চিতাবাঘটি। পরে বনকর্মীরা সেটিকে গরুমারায় নিয়ে যান। সুস্থ রয়েছে দেখে চিতাবাঘটিকে গরুমারার গভীর জঙ্গলে ছেড়ে দেওয়া হয়।

ট্রাকের ধাক্কায় মারা গেল হরিণ। রবিবার দুপুরে
মাদারিহাট-হাসিমারার মধ্যে ৩১সি জাতীয় সড়কে।—নিজস্ব চিত্র।


First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.