পুলিশের কাজে যোগ প্রাক্তন মাওবাদীদের
নিজস্ব সংবাদদাতা • মেদিনীপুর |
প্রতিশ্রুতি মতোই প্রশিক্ষণ শেষে পুলিশের চাকরিতে যোগ দিলেন আত্মসমর্পণকারী মাওবাদীরা। স্ত্রী-পুরুষ মিলিয়ে পশ্চিম মেদিনীপুরের মোট ১০ জন হোমগার্ড হিসেবে কাজের দায়িত্ব নিয়েছেন। আপাতত মেদিনীপুর পুলিশ লাইনেই কাজ করেন তাঁরা। জেলা পুলিশ সুপার সুনাল চৌধুরী বলেন, “প্রশিক্ষণ শেষ হওয়ার পরেই ওঁদের কাজে যোগ দেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে।” পশ্চিম মেদিনীপুর, বাঁকুড়া ও পুরুলিয়া, জঙ্গলমহলের তিন জেলা থেকে মোট ৩২ জন আত্মসমর্পণকারী মাওবাদী পুলিশের চাকরি পেয়েছেন। এঁদের মধ্যে শোভা মাণ্ডি, প্রকাশ আচার্য, শোভন কারক-সহ দশ জন পশ্চিম মেদিনীপুরের। জীবনের মূল স্রোতে ফিরতে আগ্রহী প্রাক্তন এই মাওবাদীরা দীর্ঘ দিন ধরেই চাকরির দাবিতে সরব হয়েছিলেন। দুই আত্মসমর্পণকারী মাওবাদী চাকরির দাবি নিয়ে কলকাতায় গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে দেখা করতে পর্যন্ত চলে গিয়েছিলেন। এর কিছুদিন পরেই বিশেষ বিজ্ঞপ্তি জারি করে ৩২ জন আত্মসমর্পণকারীর চাকরির ব্যবস্থা করে রাজ্য সরকার। বাঁকুড়ায় তাঁদের দু’মাস ধরে প্রশিক্ষণ হয়। গত ২৩ ফেব্রুয়ারি প্রশিক্ষণ শেষ করে মেদিনীপুর পুলিশ লাইনে ফিরে আসেন এই জেলার দশ জন। তারপর কাজে যোগ দেন। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, যাঁরা কাজে যোগ দিয়েছেন, তাঁদের সকলেরই পদ হোমগার্ড হলেও যোগ্যতা অনুযায়ী এক এক জনকে এক এক রকম কাজ দেওয়া হয়েছে। যেমন, প্রকাশ আচার্য পড়াশোনা জানেন। তাই তাঁকে পুলিশের রিজার্ভ অফিসে কাজ দেওয়া হয়েছে। শোভন কারকের পাম্পসেট সারানোর অভিজ্ঞতা ছিল। তাঁকে দেওয়া হয়েছে জেনারেটর দেখভালের কাজ। আর শোভা মাণ্ডি কম্পিউটার চালাতে জানেন বলে তাঁকে সেই কাজই করতে দেওয়া হয়েছে। তবে পরবর্তীকালে আইনশৃঙ্খলা রক্ষার ক্ষেত্রে এঁদের পাঠানো হতে পারে বলে পুলিশ জানিয়েছে।
|
পরিষদীয় সচিব নিয়ে মামলা |
রাজ্য সরকারের পরিষদীয় সচিব নিয়োগের বৈধতা নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টে জনস্বার্থের মামলা করেছেন বিশাখ ভট্টাচার্য নামে এক ব্যক্তি। তাঁর বক্তব্য, এই পরিষদীয় সচিবেরা প্রতিমন্ত্রীর সমতুল। এখন পযর্র্ন্ত ১৪ জন পরিষদীয় সচিব নিয়োগ করা হয়েছে। বর্তমান নিয়ম অনুযায়ী বিধায়ক-সংখ্যার ১৫%কে মন্ত্রী করা যায়। অর্থাৎ রাজ্যে ৪৫ জন মন্ত্রী থাকতে পারেন। আবেদনকারী বলেছেন, রাজ্য সরকার মনে করেল পরিষদীয় সচিব-সহ ৪৫ জনকে ওই মর্যাদা দিতে পারে। কিন্তু যে-ভাবে পরিষদীয় সচিব নিয়োগ করা হয়েছে, তা অবৈধ। |