বাস ভাড়া নিয়ে বচসার জেরে ছাত্রদের হাতে মার খাওয়ার প্রতিবাদে বৃহস্পতিবার উখড়া-অন্ডাল, উখড়া-দুর্গাপুর রুটে মিনিবাস চলাচল বন্ধ রেখেছিল পরিবহন কর্মীরা। হঠাৎ এই বন্ধের জেরে নাকাল হন যাত্রীরা। রবিবার সকালে উখড়া রেল স্টেশনের কাছেভাড়া নিয়ে বচসার জেরে বাজপেয়ী মোড়ে ছাত্রদের হাতে মার খেয়েছিলেন এক কন্ডাক্টর। বৃহস্পতিবার বিষয়টি নিয়ে গোপালমাঠে ওই ছাত্রের সঙ্গে মিটমাট করতে গেলে ফের আক্রান্ত হন তাঁরা। গোপালমাঠে মালিক-সহ পরিবহন কর্মীদের মারধর করে ছাত্রেরা। এর পরে তারা দুর্গাপুরের ওয়ারিয়া ফাঁড়িতে অভিযোগ জানাতে গেলে অভিযোগ না নিয়ে আদালতে মামলা করার পরামর্শ দেয় পুলিশ। তার প্রতিবাদে এ দিন বাস চলাচল বন্ধ রাখেন পরিবহন কর্মীরা। তাঁদর বক্তব্য, আদালতে মামলা চালানোর সামর্থ্য তাঁদের নেই। এ দিন পরে বিডিও অনিন্দিতা দে’র দফতরে বৈঠক করেন পরিবহন কর্মীরা। সেখানে অভিযুক্ত ওই পড়ুয়াকে ডেকে পাঠানো হয়। সে ক্ষমা চাওয়ার পরে শান্ত হন পরিবহন কর্মীরা। আজ, শুক্রবার বাস চলাচল স্বাভাবিক থাকবে।
|
অগ্নিদগ্ধ হয়ে এক গৃহবধূর মৃত্যুতে খুনের মামলা দায়ের করল রানিগঞ্জ পুলিশ। নাম ধণ্যি গড়াই (২৭)। পুলিশ জানায়, বাঁকুড়ার ছাতনার বুরুট গ্রামে তাঁর বাপের বাড়ি। চলতি বছরে তাঁর বিয়ে হয় রানিগঞ্জের ধনঞ্জয় গড়াইয়ের সঙ্গে। প্রতিবেশীরা জানান, বৃহস্পতিবার ওই তরুণীর চিৎকার শুনে তাঁরা ধনঞ্জয়দের বাড়িতে যান। দেখেন ধণ্যিদেবী পুড়ছেন। ধনঞ্জয়, তাঁর বৌদি এবং মা সামনে দাঁড়িয়ে। রানিগঞ্জের ওসি উদয় ঘোষ জানান, প্রতিবেশীদের সামনেই ধণ্যিদেবী তাঁর স্বামীকে বলেন, “কী অপরাধ করেছিলাম, আমাকে পুড়িয়ে দিলে।” পুলিশকে দেওয়া জবানবন্দিতেও এ কথা বলেছেন তিনি। পুলিশ তাঁকে উদ্ধার করে আসানসোল হাসপাতালে ভর্তি করে। সেখানেই তাঁর মৃত্যু হয়। এ দিন সকালেই ধনঞ্জয়বাবু, তাঁর মা সাবিত্রীদেবী ও বৌদি সান্ত্বনাদেবীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। |