কৃষিজমির উপর দিয়ে লরি, ডাম্পারে বালি পরিবহন হচ্ছে, অথচ নিষ্ক্রিয় বসে রয়েছে পুলিশ—এই অভিযোগে রানিগঞ্জের নিমচা ফাঁড়ির বিরুদ্ধে আসানসোল দুর্গাপুর পুলিশ কমিশনারের কাছে চিঠি লিখে জানালেন রানিগঞ্জের তিরাটের বাসিন্দা রঞ্জিত কর্মকার।
রঞ্জিতবাবুর অভিযোগ, তিরাটে সারা দিন বালি পরিবহন হচ্ছে। যান চলাচলের নির্দিষ্ট রাস্তা আছে। তা সত্ত্বেও ঘুরে যেতে হবে বলে তাঁর জমির উপর দিয়ে বালি নিয়ে যাচ্ছে বালি পাচারকারীরা। এর জেরে জমি বালিতে ভরে যাচ্ছে। উর্বরতা নষ্ট হচ্ছে বলে দাবি তাঁর।
রঞ্জিতবাবু জানান, সংশ্লিষ্ট পরিবহন সংস্থার বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগ জানিয়ে এলাকায় ১৪৪ ধারা জারির নির্দেশ চেয়ে আবেদন জানান তিনি। আদালত তা মঞ্জুর করে। কিন্তু নিমচা ফাঁড়ির কর্তব্যরত অধিকর্তার বক্তব্য, শুধু পরিবহনকারী নয়, যারা বালি পাঠাচ্ছে তাদের বিরুদ্ধে স্থগিতাদেশ নিয়ে আসতে হবে।
রঞ্জিতবাবু বলেন, “সেই অনুযায়ী আসানসোল সিভিল জজ অ্যান্ড সিনিয়র ডিভিশন আদালতে ৩ মার্চ তিনি আইনজীবীর সাহায্যে বালি পরিবহন কর্তা অমরজিৎ সিংহ ও বালির মালিক অনুজ ধীবর-সহ তিনজনের বিরুদ্ধে স্থগিতাদেশ চায়। আদালত তা মঞ্জুর করে। তারপরেও পুলিশ কোনও পদক্ষেপ নিচ্ছে না।”
রঞ্জিতবাবুর আইনজীবী সায়ন্তন মুখোপাধ্যায় জানান, নানা ব্যাপারেই পুলিশ আদলতের নির্দেশ মানছে না। তবে নিমচা পুলিশের বক্তব্য, প্রথমে যে এলাকায় ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছিল, তা নিয়ে তাঁরা আদালতে রির্পোট জমা দিয়েছিলেন। এরপর ভূমি রাজস্ব দফতরে তাঁরা ওই জমি সংক্রান্ত রিপোর্ট চেয়েছেন। নতুন করে যে স্থগিতাদেশ জারি হয়েছে, তা নিয়েও তাঁরা আদালতে তাঁদের রিপোর্ট জমা দেবেন।
কিন্তু আদালতের নির্দেশ সত্ত্বেও কেন পরিবহণ বন্ধ হচ্ছে না, সে বিষয়ে কোনও সদুত্তর দিতে পারেনি নিমচা পুলিশ।
অন্য দিকে, অমরজিৎবাবু ও অনুজবাবুরা জানান, বিধি মেনেই কাজ করছেন তাঁরা। পুলিশ কমিশনার অজয় নন্দ বলেন, “আমি এখনও চিঠি হাতে পাইনি। পেলে ব্যবস্থা নেব।” |