করণিক (গ্রুপ-সি) নিয়োগের নতুন নির্দেশিকা প্রত্যাহারের দাবিতে সরকারি কর্মীদের কয়েকটি সংগঠন মঙ্গলবার মহাকরণে বিক্ষোভ দেখায়। বিক্ষোভে সামিল হন পশ্চিমবঙ্গ সরকারি কর্মচারী ইউনিয়ন, আইএনটিইউসি-র কনফেডারেশন অফ স্টেট গভর্নমেন্ট এমপ্লয়িজ (নবপর্যায়)-এর সদস্যেরা। সরকারি নির্দেশিকার প্রতিলিপি পোড়ান বিক্ষোভকারীরা। আইএনটিইউসি-র সংগঠনের যুগ্ম সম্পাদক মলয় মুখোপাধ্যায় বলেন, “কর্মচারীদের স্বার্থবিরোধী কাজ করছে সরকার। এই নির্দেশিকার অর্থ, কর্মীদের কার্যত অফিসারদের দাস হয়ে থাকতে হবে। যাঁরা শাসক দলের তোষামোদ করতে পারবেন না, পরে তাঁদেরই ছাঁটাই করা হবে।” নবপর্যায়ের সাধারণ সম্পাদক রঞ্জন মজুমদারের বক্তব্য, পুরো বেতন পাওয়া কর্মীর মৌলিক অধিকার। কো-অর্ডিনেশন কমিটির অনন্ত বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, এই নির্দেশিকা অসাংবিধানিক। কিছু কর্মীর বিক্ষোভের পাশাপাশি শাসক দলের সমর্থক সরকারি কর্মীদের নিয়ে এ দিন অ্যাকাডেমি অফ ফাইন আর্টস প্রেক্ষাগৃহে বৈঠক করেন শিল্পমন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। পরে তিনি জানান, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং মা-মাটি-মানুষের সরকারের উপরে আস্থাশীল কর্মী সংগঠনগুলিকে সংযুক্ত করে গড়া হয়েছে ইউনাইটেড স্টেট গভর্নমেন্ট এমপ্লয়িজ ফেডারেশন। তাদের কোর কমিটি কাজ করছে এক বছর ধরে। এ দিন তাদের জরুরি বৈঠক ছিল। শনিবার নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে সংযুক্ত সংগঠনের সমাবেশে মুখ্যমন্ত্রীই প্রধান বক্তা।
|
চাষিদের কাছ থেকে ধান নিয়েও বর্ধমানের জয়দুর্গা চালকল ও আজাদ চালকল দীর্ঘ এক বছর টাকা দেয়নি বলে অভিযোগ। মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে খাদ্য দফতর ওই দু’টি চালকলের বিরুদ্ধে সিআইডি তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে বলে খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক মঙ্গলবার জানান। চাষিদের ধান নিয়ে সময়মতো টাকা না-দেওয়ায় বর্ধমানের দু’টি এবং বাঁকুড়ার একটি চালকলের বিরুদ্ধে সম্প্রতি নিউ মার্কেট থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। খাদ্যমন্ত্রী বলেন, “মন্তেশ্বর এলাকার ১৬২ জন চাষি সমবায় সংস্থায় ধান বেচেও টাকা পাচ্ছিলেন না। তাঁদের কলকতায় এনে প্রাপ্য মিটিয়ে দেওয়া হয়। মুখ্যমন্ত্রী তাঁর ত্রাণ তহবিল থেকে এই খাতে ৪৫ লক্ষ টাকা দিয়েছেন।” মন্ত্রী জানান, বর্ধমানের ১৩টি চালকল সরকারের লেভি দেয়নি। ৭২ ঘণ্টার মধ্যে তারা রাজ্য ও কেন্দ্রের প্রাপ্য লেভি না-মেটালে তাদের বিরুদ্ধেও আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে। জোতিপ্রিয়বাবু জানান, চলতি মরসুমে এ-পর্যন্ত সহায়ক মূল্যে ১৭ লক্ষ ৪৯ হাজার মেট্রিক ধান কেনা হয়েছে। তার থেকে ১১ লক্ষ ৮৯ হাজার মেট্রিক টন চাল পাওয়া গিয়েছে।
|
বারবার ৩১সি জাতীয় সড়কের বিভিন্ন জায়গা ভেঙে পড়ছে। সমস্যা বাড়ছে যাতায়াতে। কেন এমন হচ্ছে, তা খতিয়ে দেখে সমস্যা মেটানোর জন্য রাজ্যের কোনও নামী ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের বিশেষজ্ঞদের দায়িত্ব দেওয়ার নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট। এই গুরুত্বপূর্ণ জাতীয় সড়ক নিয়ে হাইকোর্টের প্রাক্তন প্রধান বিচারপতি জে এন পটেল স্বতঃপ্রণোদিত ভাবে জনস্বার্থের মামলা করেছিলেন। তার পরেও সড়কের উন্নতি হয়নি। বর্তমান প্রধান বিচারপতি অরুণ মিশ্র ওই সড়কের অবস্থা দেখে বলেছিলেন, বিহার পার হয়ে পশ্চিমবঙ্গে ঢুকলেই রাস্তা ভয়াবহ। যে-সব ঠিকাদার ওই সড়ক তৈরির কাজ করছেন, মঙ্গলবার তাঁদের হাইকোর্টে ডাকা হয়। রিপোর্ট বলছে, রাস্তা তৈরি বা মেরামতের কাজে গাফিলতি রয়েছে। এই অবস্থায় রাজ্যের জিপি অশোক বন্দ্যোপাধ্যায় ও প্রধান বিচারপতি দু’জনেই মনে করেন নামী ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের বিশেষজ্ঞদের দিয়ে ওই সড়কের সমস্যা খতিয়ে দেখা দরকার। জিপি হাইকোর্টকে বিশেষজ্ঞের নাম জানিয়ে দেবেন। |