টুকরো খবর |
পঞ্চায়েত কর্মী প্রহৃত, সংঘর্ষে সিপিএম-তৃণমূল
নিজস্ব সংবাদদাতা • মোহনপুর |
এক পঞ্চায়েত কর্মীর প্রহৃত হওয়ার ঘটনাকে কেন্দ্র করে তৃণমূল ও সিপিএমের মধ্যে মারামারিতে উত্তেজনা ছড়াল মোহনপুরে। মঙ্গলবারের এই ঘটনায় আহত তিন জনকে মোহনপুর ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ভর্তি করা হয়। উভয়পক্ষই মোহনপুর থানায় অভিযোগ দায়ের করেছে। আইসি জাফরুল মল্লিক জানান, অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু হয়েছে। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার সকালে মোহনপুর ব্লকের নীলদা গ্রাম পঞ্চায়েতের কর্মী বীরেন দাস মোটর বাইকে চেপে পঞ্চায়েত অফিসে যাচ্ছিলেন। অভিযোগ, সেই সময় চার জন যুবক তাঁকে মারধর করেন। তৃণমূল সমর্থক বীরেনবাবুকে স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ভর্তি করান দলীয় কর্মীরাই। সিপিএমের অভিযোগ, বীরেনবাবুকে স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ভর্তি করার পরেই তৃণমূলের ব্লক কমিটির সদস্য প্রশান্ত পাত্রের নেতৃত্বে জনা দশেক তৃণমূল সমর্থক সিপিএমের মোহনপুর লোকাল কমিটির সম্পাদক মধুসূদন মাইতির দোকানে ঢুকে মারধর করে। মধুসূদনবাবুর ভাই শঙ্করবাবুকেও মারধর করা হয়। দু’জনেই স্বাস্থ্যকেন্দ্রে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। তৃণমূলের ব্লক সভাপতি প্রদীপ পাত্র বলেন, “সিপিএমই বীরেনবাবুকে মারধর করে। তাঁকে স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ভর্তি করে আসার পথে মধুসূদনবাবুর লোকেরা প্রশান্তবাবুকে হেনস্থা করে। তার প্রতিবাদে বচসা ও সামান্য মারামারি হয়।” সিপিএমের মোহনপুর জোনাল কমিটির সম্পাদক রমণীকান্ত জানার অভিযোগ, “ঘটনার সঙ্গে সিপিএমের কোনও যোগ নেই। পঞ্চায়েত ভোটকে সামনে রেখে সিপিএম নেতা কর্মীদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়ানোর জন্য আমাদের নেতাকে মারল তৃণমূল।”
|
ভাঙা পায়েই পরীক্ষা
নিজস্ব সংবাদদাতা • মেদিনীপুর |
|
পরীক্ষা দিচ্ছে মুস্তাক। নিজস্ব চিত্র। |
পরীক্ষাকেন্দ্রে আসার পথে সোমবার দুর্ঘটনায় পড়েছিল সরিষাখোলা হাইস্কুলের ছাত্র শেখ মুস্তাক আলি। জখম অবস্থাতেই সে পরীক্ষা দেয়। পরে তাকে মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজে ভর্তি করা হয়। মঙ্গলবার মাধ্যমিকের শেষ পরীক্ষাটি হাসপাতালেই দিল সে। মুস্তাকের বাড়ি কেশপুর থানার সরিষাখোলায়। মহিষদা হাইস্কুল ছিল তার পরীক্ষা কেন্দ্র। দুই বন্ধুর সঙ্গে সোমবার মোটর বাইকে পরীক্ষাকেন্দ্রে আসছিল মুস্তাক। মাজুরিয়ায় বাইক থেকে পড়ে জখম হয় সে। চোট নিয়েই মহিষদা হাইস্কুলে পরীক্ষা দেয় সে। তবে পরীক্ষা শেষে তাকে মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজে ভর্তি করা হয়। এ দিন সেখানেই সে পরীক্ষা দেয়।
|
তৃণমূলের নির্দেশ
নিজস্ব সংবাদদাতা • মেদিনীপুর |
আসন্ন পঞ্চায়েত নির্বাচনকে মাথায় রেখে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার সব অঞ্চল সভাপতিকে নিয়ে মেদিনীপুরে এক বৈঠক করল তৃণমূল। মঙ্গলবার বিদ্যাসাগর হলে এই বৈঠকে অঞ্চল সভাপতিদের ১৩ দফা নির্দেশিকা দেওয়া হয়েছে। তাতে বলা হয়েছে পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে কী ভাবে বুথস্তর পর্যন্ত সংগঠন সাজাতে হবে। দলীয় নেতা-কর্মীদের শৃঙ্খলা মেনে চলতেও বলা হয়েছে। বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন পশ্চিমাঞ্চল উন্নয়নমন্ত্রী সুকুমার হাঁসদা, তৃণমূলের জেলা সভাপতি দীনেন রায়, দুই কার্যকরী সভাপতি প্রদ্যোৎ ঘোষ এবং নির্মল ঘোষ। জেলায় মোট ২৯০টি অঞ্চল রয়েছে। প্রায় সব অঞ্চল সভাপতিরাই বৈঠকে যোগ দেন। ব্লক সভাপতিরাও হাজির ছিলেন। দলীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, এ দিনের বৈঠকে স্পষ্ট নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, প্রতিটি বুথের অধীনে যতগুলো পাড়া থাকবে, সেখানে ১৫ দিনের মধ্যে পাড়া কমিটি গড়তে হবে। কমিটিতে যোগ্য মহিলা এবং তফসিলি জাতি-উপজাতি-পিছিয়ে পড়া সম্প্রদায়ের প্রতিনিধিত্ব থাকতে হবে। শুধুমাত্র পার্টি অফিসে বসে সময় কাটাতে পারবেন দলের নেতা-কর্মীরা।
|
কংগ্রেসের কর্মিসভা
নিজস্ব সংবাদদাতা • মেদিনীপুর |
পঞ্চায়েত নির্বাচন সামনে রেখে মঙ্গলবার গড়বেতায় এক কর্মিসভা করল কংগ্রেস। উপস্থিত ছিলেন প্রাক্তন মন্ত্রী তথা সবংয়ের বিধায়ক মানস ভুঁইয়া, প্রদেশ কংগ্রেস নেত্রী কৃষ্ণা দেবনাথ, দলের জেলা সভাপতি স্বপন দুবে, জেলা নেত্রী হেমা চৌবে প্রমুখ। জেলার প্রতিটি ব্লকে এমন কর্মিসভা হবে বলে কংগ্রেস নেতৃত্ব জানান। এ দিন মানসবাবু বলেন, “পশ্চিমবঙ্গের মানুষ এক অগ্নিপরীক্ষার মুখে দাঁড়িয়ে রয়েছে। মানুষ বলছেন, যে পরিবর্তন চেয়েছিলাম, তা পেলাম না। কেন এমন বলছেন, তার জবাব খুঁজতে হবে।” তাঁর মতে, “রাজ্যের শাসক দল অসহিষ্ণু হয়ে পড়ছে। সন্ত্রাস করছে।” রাজ্যে তিন দফায় পঞ্চায়েত নির্বাচন করার দাবি জানান মানসবাবু।
পশ্চিম মেদিনীপুর, বাঁকুড়া ও পুরুলিয়া-এই তিনটি জেলা নিয়ে সিএবি পরিচালিত আন্তঃ জেলা ক্রিকেট টুর্নামেন্ট (সিনিয়র)শুরু হল মেদিনীপুরে। শহরের অরবিন্দ স্টেডিয়ামে চলছে খেলা।
|
মাওবাদী কায়দায় পোস্টার
নিজস্ব সংবাদদাতা • মেদিনীপুর |
|
খুলে নেওয়া হচ্ছে পোস্টার। নিজস্ব চিত্র। |
শহরের রাঙামাটিতে মিলল মাওবাদী কায়দায় লেখা পোস্টার। মঙ্গলবার সকালে পোস্টারগুলি উদ্ধারের পরে চাঞ্চল্য ছড়ায় মেদিনীপুরে। পোস্টারগুলিতে লাল কালির ব্যবহার ও ‘মাওবাদ জিন্দাবাদ’ লেখা থাকলেও প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান, এগুলি মাওবাদীদের লেখা নয়। স্থানীয় কয়েকজন তৃণমূল কর্মীর নামে অভিযোগ তুলে পোস্টারগুলি এলাকারই কিছু যুবক লিখেছে। যুব তৃণমূল কার্যালয়ের দেওয়ালে পোস্টার সাঁটানো হয়েছিল। আশপাশেও ছড়ানো ছিল কিছু পোস্টার। পুলিশ গিয়ে পোস্টারগুলি খুলে ফেলে। এ কাজে কারা কারা জড়িত তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
|
শ্লীলতাহানিতে গ্রেফতার প্রৌঢ়
নিজস্ব সংবাদদাতা • মেদিনীপুর |
নাবালিকার শ্লীলতাহানির অভিযোগে গ্রেফতার হয় এক প্রৌঢ়। ধৃত পরমানন্দ দাসের বাড়ি মেদিনীপুরের তোড়াপাড়ায়। মঙ্গলবার মেদিনীপুর সিজেএম আদালতে তাকে ১৪ দিন জেল হেফাজতে পাঠায়। প্রতিবেশীর অভিযোগের ভিত্তিতেই গ্রেফতার হয় পরমানন্দ। ওই প্রতিবেশীর দুই নাবালিকা মেয়েকে মাঝেমধ্যে নিজের বাড়িতে ডেকে নিয়ে যেত বছর তিপান্নর ওই ব্যক্তি। তখনই তাদের শ্লীলতাহানি করা হত বলে অভিযোগ। সোমবার রাতে কোতয়ালি থানায় লিখিত অভিযোগ করেন দুই নাবালিকার বাবা।
|
নাট্য কর্মশালা
নিজস্ব সংবাদদাতা • মেদিনীপুর |
ভারত সরকারের সংস্কৃতি মন্ত্রকের সহযোগিতায় বেলদা কলেজে সম্প্রতি হয়ে গেল ‘মিডিয়া ও ফোক থিয়েটার’ কর্মশালার। উদ্যোক্তা সাংস্কৃতিক সংস্থা ‘স্বপ্নিল’। কর্মশালায় চিরায়ত লোকনাট্যের সঙ্গে আধুনিক অভিনয়ের প্রশিক্ষণও দেওয়া হয়। উদ্যোক্তা সংস্থার পক্ষে সৌমেন্দু দে জানান, চিরায়ত লোকনাট্য ও আধুনিক মাধ্যমে অভিনয়ের নানা আঙ্গিকের মধ্যে সমন্বয় সাধন করতেই এই আয়োজন। কর্মশালায় ২৫ জন ছাত্রছাত্রী যোগ দিয়েছিলেন।
|
রদবদল |
রদবদল হল দুই আদালতের জিআরওদের। মঙ্গলবার হলদিয়া ও তমলুক আদালতে এই নির্দেশ এসেছে। হলদিয়ার মহকুমা আদালতের জিআরও বিপুল দাস যাচ্ছেন তমলুক জেলা আদালতে। তাঁর জায়গায় এসেছেন তমলুক আদালতের জিআরও শুকদেব দোলুই। |
|