তদন্তের নির্দেশ পঞ্জাব সরকারের
সাহায্যপ্রার্থী তরুণীকেই লাঠিপেটা পুলিশের
দিল্লির গণধর্ষণের ঘটনা নিয়ে দেশ জুড়ে আন্দোলন হয়েছে ঠিকই। কিন্তু ধর্ষণ বা যৌন নিগ্রহের ঘটনা যেমন কমেনি, তেমনই বদলায়নি পুলিশও। পঞ্জাবে পুলিশের কাছে সাহায্য চাইতে গিয়ে এক তরুণীর নিগ্রহের ঘটনা সেটাই আরও এক বার প্রমাণ করল।
সংবাদমাধ্যমের শিরোনামে এ বার তরণ তারণ জেলার নাম।
ঘটনার সূত্রপাত গত রবিবার রাতে। বিয়েবাড়ি থেকে বাবার সঙ্গে বাড়ি ফিরছিলেন বছর বাইশের ওই তরুণী, হরবিন্দর কৌর। অভিযোগ, ওই সময়ে রাস্তায় কিছু ট্রাকচালক ওই তরুণীর প্রতি কুরুচিকর মন্তব্য করে। তখনই পুলিশের সাহায্য চাইতে গিয়েছিলেন ওঁরা। তরুণীর বাবা কাশ্মীর সিংহের অভিযোগ, পুলিশ কোনও কথা না শুনেই তাঁকে ও তাঁর মেয়েকে মারতে শুরু করে। কর্তব্যরত দুই পুলিশকর্মী দাভিন্দর সিংহ এবং সরজ সিংহ অভিযুক্তদের থেকে ঘুষ নিয়ে তাদের ছেড়ে দেন বলেও অভিযোগ। প্রকাশ্য রাস্তায় প্রায় এক ঘণ্টা ধরে পুলিশ তাঁদের উপরে নির্যাতন চালায় বলে দাবি করেছে ওই তরুণীর পরিবার।
তরণ তারণে সেই মহিলাকে মার পুলিশের। ছবি: পি টি আই।
রাস্তার লোকজন কেউই তাঁদের সাহায্যে এগিয়ে আসেনি। তবে দাঁড়িয়ে থাকা এক যুবক গোটা ঘটনাটি নিজের মোবাইল ফোনের ক্যামেরায় রেকর্ড করে নেন। সোমবার কিছু টিভি চ্যানেলে ভিডিওটি দেখানো হলে নানা শিবির থেকে প্রতিবাদের ঝড় ওঠে। চাপের মুখে আজ, পঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী প্রকাশ সিংহ বাদল ঘটনাটির ম্যাজিস্ট্রেট পর্যায়ের তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন। অভিযুক্ত দুই পুলিশকর্মীকে সাসপেন্ড করা হয়েছে। কিন্তু এত কিছুর পরেও পুলিশ বিষয়টি লঘু করে দেখানোরই চেষ্টা করছে বলে অভিযোগ। তরুণীর বাবাই হাঙ্গামা করছিলেন বলে পাল্টা অভিযোগও এনেছে তারা। এসএসপি কনওয়ালজিৎ সিংহ ধিলোঁর বক্তব্য, কাশ্মীর সিংহ মত্ত অবস্থায় একটি বিয়েবাড়িতে গোলমাল করছিলেন রবিবার রাতে। তখন পুলিশ তাঁকে ধরতে গেলে আটকাতে আসেন হরবিন্দর। হাতাহাতিতে পুলিশের মাথার পাগড়ি খুলে দেন তরুণী। এর জেরেই বচসার মাঝখানে লাঠি চালিয়ে দেয় পুলিশ। তাই এসএসপি-র বক্তব্য পুলিশ যেমন ভুল করেছে, তেমনই ভুল হয়েছে কাশ্মীর এবং হরবিন্দরের তরফেও।
মঙ্গলবার সাংবাদিক বৈঠকে পঞ্জাব পুলিশের ডিজি সুমেধ সিংহ সাইনির বক্তব্য ঘিরে আরও বিতর্ক তৈরি হয়েছে। যে ভিডিওটি দেখে মুখ্যমন্ত্রী তদন্তের নির্দেশ দিলেন, সেই ভিডিওটি দু’দিনেও দেখেননি ডিজি। সেটা দেখার পরে তবে তদন্ত হবে বলে মন্তব্য করেছেন তিনি।
বিচারপতি বর্মা কমিটির রিপোর্টে সম্প্রতি পুলিশের আচরণ ও মানসিকতা বদলের প্রয়োজনীয়তার উপরে আলাদা করে জোর দিতে সুপারিশ করা হয়েছে। পঞ্জাবের উপমুখ্যমন্ত্রী সুখবীর সিংহ বাদলও পুলিশকে আরও সংবেদনশীল হতে বলছেন। কিন্তু বাস্তবটা কোথাও বদলাচ্ছে কি? মঙ্গলবার হরবিন্দর কাঁদতে কাঁদতে বললেন, “এ ভাবে অসম্মানিত কখনও হইনি আমরা। সবার সামনে মারধর করল। অথচ সকলে আমাদের দোষী বলেছে। অভিযুক্তদের পুরোপুরি বরখাস্ত করা হোক।”


First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.