‘বর্ণপরিচয়’ নিয়ে ফের জটিলতা
নিজস্ব সংবাদদাতা |
কলেজ স্ট্রিটে বর্ণপরিচয় মার্কেট গড়ার কাজে ফের জটিলতা। একাধিক রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্ক থেকে ঋণ নিয়ে পুরসভার জায়গায় পিপিপি মডেলে কাজ শুরু করে বেঙ্গল শেল্টার নামে সংস্থাটি। সম্প্রতি কাজ দ্রুত শেষ করা নিয়ে পুর প্রশাসন ও সংস্থার কর্ণধার সমর নাগের আলোচনাও হয়। পুরসভা সূত্রে খবর, মঙ্গলবার ঋণদানকারী ব্যাঙ্কের এক চিঠির প্রেক্ষিতে ফের দু’পক্ষের অস্বস্তি বাড়ে। মেয়র পারিষদ (বাজার) তারক সিংহ বলেন, “ব্যাঙ্ক চিঠি দিয়ে পুরসভাকে জানিয়েছে, সময়ে টাকা শোধ না করায় ওই সংস্থাকে নন-পারফর্মিং অ্যাসেট (এনপিএ) হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। ফলে রাজ্যের অন্য কোনও ব্যাঙ্ক থেকে আর ঋণ পাবেন না তাঁরা।” এর পরেই সংস্থার সঙ্গে যোগাযোগ করে পুরো বিষয়টি জানিয়ে দেয় পুর প্রশাসন। তবে সমরবাবুর বক্তব্য, “অন্য কোথাও থেকে ঋণ নেব কেন? ব্যাঙ্ক থেকেই তা নেওয়া হয়েছে।” তিনি জানান, বর্ণপরিচয় দ্রুত খোলার ব্যাপারে পুর-প্রশাসনের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে। সব ঠিক থাকলে তিন মাসের মধ্যে ওই বাজারের আরও একটি ব্লক খুলে দেওয়া হবে।
|
নিবেদিতার বাড়ি অধিগ্রহণ-মামলায় ক্ষতিপূরণ দিল পুরসভা। —নিজস্ব চিত্র। |
বাগবাজারের সারদামণি সরণিতে নিবেদিতার বাড়িটির মালিক প্রবীর বসাকের হাতে ১ কোটি ৮ লক্ষ ৫৫ হাজার টাকার চেক তুলে দিল কলকাতা পুরসভা। সম্প্রতি পুরসভা বাড়িটি অধিগ্রহণ করে। নিবেদিতার স্মৃতিস্মারক গড়ার জন্য প্রায় ৫ কাঠা জমির উপরে ওই বাড়িটি রামকৃষ্ণ মিশনকে দিতে চায় পুরসভা। বাড়িটি অধিগৃহীত হলেও ক্ষতিপূরণ পাচ্ছেন না বলে হাইকোর্টে মামলা করে মালিকপক্ষ। বিচারপতি অশোক দাস অধিকারী পুরসভাকে ক্ষতিপূরণ দিতে নির্দেশ দেন। মালিকপক্ষের আবেদন ছিল, বাড়ি ফাঁকা করতে কিছু সময় দরকার। পুরসভা কোর্টে জানায়, তারা অবিলম্বে মিশনকে বাড়িটি দিতে চায়। তাই মালিককে ছ’মাসের জন্য পুরসভার খরচে বাড়ি ভাড়া করে দেওয়া হবে।
|
থানায় নিগ্রহ, ব্যাঙ্কশাল কোর্টে বিক্ষোভ |
বয়স্ক এক আইনজীবীর সঙ্গে পুলিশের দুর্ব্যবহার এবং তাঁকে হেনস্থার অভিযোগের জেরে উত্তেজনা ছড়াল ব্যাঙ্কশাল কোর্ট চত্বরে। মঙ্গলবার দুপুরে দফায় দফায় বিক্ষোভ দেখান আইনজীবীরা। আদালতের মূল ফটকও বন্ধ করে দেন তাঁরা। বিক্ষোভের জেরে লক-আপে আটকে পড়ে অনেক আসামি। হাজির হন ডিসি (সেন্ট্রাল) দেবেন্দ্রপ্রসাদ সিংহ। আজ, বুধবার ব্যাঙ্কশাল কোর্ট ও দায়রা আদালতে কর্মবিরতির ডাক দিয়েছে বার অ্যাসোসিয়েশনগুলি। ঘটনার সূত্রপাত রবিবার। এক মক্কেলকে নিয়ে জোড়াসাঁকো থানার ওসি-কে আদালতের একটি নির্দেশ দেখাতে গিয়েছিলেন গিয়েছিলেন সত্তরোর্ধ্ব আইনজীবী মেওয়ালাল তিওয়ারি। আইনজীবীদের অভিযোগ, সকাল ১০টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত দু’জনকে বসিয়ে রাখা হয়। প্রতিবাদ করতে গেলে তিওয়ারিদের হেনস্থাও করে পুলিশ। মঙ্গলবার আদালতে গিয়ে বার অ্যাসোসিয়েশনে সব জানান ওই আইনজীবী। কোর্ট চত্বরে মিছিল করে আদালতের চারটি বার অ্যাসোসিয়েশন। তাদের দাবি, জোড়াসাঁকোর ওসি-কে আদালতে গিয়ে ক্ষমা চাইতে হবে। বিষয়টি ব্যাঙ্কশাল কোর্টের মুখ্য মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেটকেও জানানো হয়। মুখ্য বিচারকের সঙ্গে কথা বলেন ডিসি (সেন্ট্রাল)। বুধবার বিকেল ৪টের মধ্যে ওই থানার সিসিটিভি ফুটেজ দেখে আদালতে রিপোর্ট পেশের আশ্বাস দেন তিনি। আইনজীবী সংগঠনগুলি জানিয়েছে, বুধবার কর্মবিরতির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। পুলিশের রিপোর্ট পেলে পরবর্তী পদক্ষেপ ঠিক করা হবে।
|
বধূ খুনের অভিযোগে ধৃত স্বামী, দেওর, শাশুড়ি |
এক তরুণীকে খুনের অভিযোগে তাঁর স্বামী, দেওর ও শাশুড়ি গ্রেফতার হলেন। সোমবার ঘটনাটি ঘটেছে বেলঘরিয়ায়। পুলিশ জানিয়েছে, ওই দিন শ্বশুরবাড়ি থেকে তৃষ্ণা দাস (১৯) নামে ওই তরুণীর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়। তাঁর বাবা সমর দাসের অভিযোগ, বিয়ের পর থেকে পণের জন্য তৃষ্ণার উপরে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করতেন শ্বশুরবাড়ির লোকজন। তাঁরাই তৃষ্ণাকে খুন করেছেন। অভিযোগের ভিত্তিতে তৃষ্ণার স্বামী সন্দীপ সাঁতরা, দেওর শান্তনু সাঁতরা ও শাশুড়ি গীতা সাঁতরাকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
|
হাওড়া ব্রিজে গর্ত! এমনটাই হয়েছে কলকাতার দিক থেকে আসার পথে সেতুর বাঁ দিকের ফুটপাথের একটা অংশে। এক ফুট চওড়া ও এক ফুট লম্বা গর্তটি অবশ্য যে জায়গায় হয়েছে সেখান দিয়ে পথচারীদের হাঁটা-চলার সম্ভাবনা কম থাকলেও খবর পাওয়ার পরেই বন্দর কর্তৃপক্ষ গর্তটির উপরে একটা বড় সিমেন্টের স্ল্যাব চাপা দেওয়ার নির্দেশ দেন। বর্তমানে সেই অবস্থাতেই রয়েছে। কলকাতা বন্দর কর্তৃপক্ষের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, গর্তটি ১৯ ও ২০ নম্বর হ্যাঙ্গার পোস্টের মাঝখানে হয়েছে। ওই জায়গা দিয়ে মানুষ খুব একটা যাতায়াত করেন না। তবে যে কোনও রকম দুর্ঘটনা এড়াতে গর্তটি দ্রুত সারিয়ে ফেলা হবে বলে বন্দর কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন।
|
বন্দর এলাকা থেকে তল্লাশি চালিয়ে প্রচুর বেআইনি মদ বাজেয়াপ্ত করল কলকাতা পুলিশ। এই ঘটনায় লক্ষ্মীদেবী নামে এক জন গ্রেফতার হয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, সোমবার রাতে বন্দর পুলিশের একটি বিশেষ দল একবালপুর এলাকার ভূকৈলাস রোড থেকে ওই মদ আটক করে। |