টাকা ফেরত নিয়ে লগ্নিকারীদের দাবির সত্যতা যাচাই করতে বলল সহারা |
সহারা-র সঙ্গে শেয়ার বাজার নিয়ন্ত্রক সেবি-র টানাপোড়েনে নতুন মোড়। লগ্নিকারীদের আমানত ফেরত দেওয়ার জন্য সহারাকে ১৯ হাজার কোটি টাকা জমা করার নির্দেশ দিয়েছিল সেবি। এ বার সহারা-র তরফে সেবি-র কাছে পাল্টা দাবি তোলা হয়েছে, যাঁরা টাকা ফেরত চেয়েছেন, তাঁদের দাবির সত্যতা নির্ধারণ করতে একটি নিরপেক্ষ সংস্থা তৈরি হোক, যে সংস্থায় সেবি-র সঙ্গে সহারা-র প্রতিনিধিও থাকবেন। বেআইনি ভাবে লগ্নিকারীদের থেকে তোলা টাকা না-ফেরালে সহারা-র দু’টি সংস্থা, সহারা ইন্ডিয়া রিয়েল এস্টেট কর্পোরেশন এবং সহারা হাউজিং ইনভেস্টমেন্ট কর্পোরেশনের বিরুদ্ধে সেবিকে ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেয় সুপ্রিম কোর্ট। তার পর শীর্ষ আদালতের নির্দেশ মেনে ওই দু’টি সংস্থার যাবতীয় অ্যাকাউন্ট ফ্রিজ করার নির্দেশ দেয় সেবি। লগ্নিকারীদের আমানত ফেরত বাবদ ১৯ হাজার কোটি টাকা জমারও নির্দেশ দেওয়া হয়। সহারার বক্তব্য, লগ্নিকারীদের সিংহভাগ অর্থই ফেরত দেওয়া হয়েছে। এর পরেও যাঁরা টাকা চেয়েছেন, তাঁদের দাবি খতিয়ে দেখতে একটি নিরপেক্ষ ও বিশ্বাসযোগ্য ব্যবস্থা থাকা জরুরি। না হলে যে ক্ষুদ্র লগ্নিকারীরা সহারার সংস্থায় বিশ্বাস করে টাকা রেখেছেন, তাঁদের চিহ্নিত করা কঠিন হবে। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশও পালন করা যাবে না। জনৈক সহারা কর্তা জানান, কারা টাকা পাবেন জানতে সংবাদপত্রে বিজ্ঞাপন দিক সেবি। দ্রুত লগ্নির টাকা ফেরত না-দিলে এর পর সহারাকেই ১৫% সুদ গুণতে হবে। ওই কর্তার বক্তব্য, সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশের পরে টাকা ফেরত দিতে গিয়ে এমনিতেই সংস্থা যথেষ্ট আর্থিক সমস্যায় পড়েছে।
|
আবাসন প্রকল্প বিপণনের লক্ষ্যে |
বিজ্ঞাপনের চমক। নজরকাড়া ছাড়। ক্রেতা টানার যাবতীয় উপকরণ সাজানো থাকলেও ভিড়ের মাঝে জায়গা করে নেওয়া সহজ নয়। সমাধানসূত্র হিসেবে ‘ব্র্যান্ড শপ’ তৈরির পথে নেমেছে জামাকাপড় থেকে শুরু করে বিভিন্ন বৈদ্যুতিন পণ্য নির্মাতা। এ বার সেই পথে হাঁটছে নির্মাণ সংস্থাও। এর আগে ফোরাম প্রজেক্টস অ্যাটমসফিয়ার প্রকল্প বিক্রি করতে এ রকম বিপণি খুলেছিল। এ বার নিজেদের তৈরি আবাসন প্রকল্পের সুলুক সন্ধান দিতে ভিবজিওর গোষ্ঠী খুলেছে ব্র্যান্ড বিপণি। ক্রেতার চাহিদা বুঝে বিভিন্ন বিষয়ের খোঁজ দেওয়াই মূল লক্ষ্য। তিনি বলেন, “এখানে বাড়ি-ফ্ল্যাট নিয়ে বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর পাবেন ক্রেতারা। অডিও-ভিস্যুয়াল প্রেজেন্টেশন দেখানো হবে। ফলে বাছাইয়ের কাজটা সহজ হবে।” গৃহঋণের সুযোগ-সুবিধাও জানা যাবে। জেলাতেও এ ধরনেরবিপণি ছড়িয়ে দেওয়ার পরিকল্পনা করেছে সংস্থা। আপাতত কলকাতাও বারাসতে এই বিপণি চালু করা হয়েছে।
|
বছরে আয় পাঁচ লক্ষ ছাড়ালেই ই-রিটার্ন |
এ বার থেকে কারও বার্ষিক আয় পাঁচ লক্ষ টাকা ছাড়ালেই ইন্টারনেটের মাধ্যমে আয়কর রিটার্ন জমা (ই-ফাইলিং) দিতে হবে। মঙ্গলবার এ কথা জানিয়েছেন, কেন্দ্রীয় অর্থ মন্ত্রকের রাজস্ব সচিব সুমিত বসু। এত দিন ১০ লক্ষ ও তার বেশি বার্ষিক আয়ের ক্ষেত্রেই একমাত্র ই-ফাইলিং করা বাধ্যতামূলক ছিল। অন্য দিকে, অর্থ মন্ত্রক সম্পত্তি করের রিটার্ন দাখিলের ক্ষেত্রেও দ্রুত ই-ফাইলিং ব্যাবস্থা চালু করার চেষ্টা করছে বলে এ দিন জানান সুমিতবাবু। আয়কর আইনের ১৩৯সি এবং ১৩৯ডি ধারা এনে যেমন নির্দিষ্ট পরিমাণ আয়ের ক্ষেত্রে ইন্টারনেট মারফত ফর্ম ভরে রিটার্ন জমা বাধ্যতামূলক করা হয়েছে, ঠিক সেই পথেই সম্পত্তি কর আইনে নতুন ১৪এ এবং ১৪বি ধারা দু’টি ঢোকানোর প্রস্তাব করা হয়েছে।
|
সমীর শাহ দেশের অন্যতম পণ্য এক্সচেঞ্জ, ন্যাশনাল কমোডিটিঅ্যান্ড ডেরিভেটিভস এক্সচেঞ্জ (এন সি ডি ই এক্স)-এর ডেপুটি সিইও নিযুক্ত হয়েছেন। |