তা রা বা জি |
মৎস্যকন্যা |
হট সেক্সি স্যুইমওয়্যার। এক চিলতে বিকিনির বাঁধনে উন্মুক্ত শরীর। সামনে গ্রীষ্ম।
এই মরসুমের মায়াবী জলপোশাকে নতুন ফ্যাশনের খোঁজ দিচ্ছেন প্রিয়াঙ্কা দাশগুপ্ত |
|
টিপস |
• অ্যাপল আকৃতির চেহারা যাঁদের (এঁদের শরীরের উপরের অংশ বেশ ভারী হয়)
আপনারা নির্দ্বিধায় পরতে পারেন ওয়ান শোল্ডার বা টুইন শোল্ডার ম্যালিয়টস যার নেকলাইনটা বেশ গভীর। লাইনগুলো তির্যক স্টাইলে আর কনট্রাসটিং রঙে হলে তো কথাই নেই। সবার নজর থাকবে আপনার দিকেই।
• ন্যাসপাতির মতো চেহারা যাঁদের (এঁদের শরীরের নীচের অংশ বেশ ভারী হয়)
আপনারা বেছে নিতে পারেন তির্যক কাটের ম্যালিয়ট অফ শোল্ডার স্যুইমস্যুট। পোশাকের নীচের অংশের রং হতে হবে গাঢ়। তবেই ফুটে উঠবে আসল সৌন্দর্য।
• আওয়ার গ্লাস ফিগারের সুন্দরীদের জন্য (এঁদের বাস্ট আর শরীরের নীচের অংশ একই রকম ভারী হয়। কোমরের অংশটি বেশ ছিপছিপে)
যে কোনও সিল্যুয়েট স্যুইমওয়্যারে দারুণ লাগবে। |
|
• কলা আকৃতির চেহারা যাঁদের (চৌকো আকারের চেহারায় এঁদের বাস্ট, কোমর আর হিপের অংশ প্রায় সমান সমান)
‘ট্যাঙ্কিনিস’, ‘বিকিনিস’ আর ‘ট্রিকিনিস’ ট্রাই করতে পারেন। মানাবে ভাল।
• বাস্ট লাইন
যে সব মহিলার ব্রেস্টের অংশ বেশ ভারী, তাঁরা হল্টার স্টাইল স্যুইমস্যুটে স্বচ্ছন্দ বোধ করবেন। হল্টার স্টাইল বিকিনি বা ম্যালিয়টস এবং ওয়ান শোল্ডার ম্যালিয়টস আর বিকিনিও এঁদের জন্য একদম সঠিক পছন্দ। ভারী ব্রেস্টকে আঁটোসাঁটো রাখতে এদের জুড়ি মেলা ভার। যাঁদের বুকের গঠন হালকা-পাতলা, তাঁদের এমন নেকলাইন বেছে নেওয়া উচিত যা বুকের অংশকে আকর্ষণীয় করে তুলবে। হল্টার ব্যান্ড্যুস আর ট্র্যাঙ্গুলার বিকিনি পরলে এঁদের বুকের অংশ ভারী এবং আকর্ষণীয় লাগতে বাধ্য।
|
(সৌজন্য: শিবন অ্যান্ড নরেশ) |
|
|
|
ছবি সৌজন্য:
ভিক্টোরিয়া’স সিক্রেট ২০১৩ |
ছবি সৌজন্য:
শিবন অ্যান্ড নরেশ স্প্রিং সামার ২০১৩
|
ছবি সৌজন্য:
এইচ অ্যান্ড এম স্প্রিং/সামার ২০১৩ |
|
|
অভিষেক দত্ত
কলকাতার অভিষেক দত্ত ফ্যাশন উইকে অনেক বারই স্যুইমওয়্যার কালেকশন দেখিয়েছেন। এ বছর কিংফিশার স্যুইমওয়্যার ক্যালেন্ডারে অভিষেকের বিকিনি পরা মডেলদের ছবি আছে। “আজকাল মণিমাণিক্যখচিত স্যুইমওয়্যারের চল রয়েছে। কারও চাই সরভস্কি ক্রিস্টাল লাগানো বিকিনি। কারও পছন্দ অ্যান্টিক মেটালের কাজ। তা ছাড়া রয়েছে ডিজিটাল প্রিন্টের স্যুইমওয়্যার। কমলা, হলুদ, গোলাপি এই সব ক্যান্ডি রং-এর স্যুইমওয়্যার আজকাল বেশ চলছে। সিডনি ফ্যাশন উইকে আমাদের দেব-দেবীদের ছবির প্রিন্ট ব্যবহার করা স্যুইমওয়্যার বিতর্ক সৃষ্টি করেছিল। তবে এ দেশে ওই সব চলবে বলে আমার মনে হয় না,” বলেন অভিষেক।
|
শিবন অ্যান্ড নরেশ
ভারতে প্রথম লাক্সারি সাঁতার-বসন বাজারে নিয়ে আসেন দিল্লির দুই ডিজাইনার। নাম শিবন ভাটিয়া এবং নরেশ কুকরেজা। সেই সাঁতার-বসন ছিল ১০০ শতাংশ সেলাই বিহীন। ‘লাইফ অব পাই’ ছবিতে স্যুইমিং পুলের একটি দৃশ্যে একাশি জন মহিলার জন্য স্যুইম স্যুট ডিজাইন করেছেন তাঁরা। “স্ট্রাইপড ডিজাইনের রেট্রো স্টাইল স্যুইমওয়্যার এখন চলছে। চেরি রেড, অ্যাকোয়ামেরিন, কোরাল আর সাদা রংয়ের স্যুইমওয়্যারও বেছে নিতে পারেন। এগুলো পপ কালচারের দ্বারা অনুপ্রাণিত আর বেশ কেতাদুরস্তও। সিল্যুয়েটের মধ্যে হাই-ওয়েস্টেড বিকিনি আর তার সঙ্গে করসেটেড ব্র্যালেটসও সব ধরনের চেহারার সঙ্গেই বেশ মানিয়ে যায়,” তাঁরা বলেন।
|
সুমন নথওয়ানি
পঁচিশ বছর ধরে কলকাতা শহরে লঁজারি ডিজাইন করছেন সুমন। কুড়ি বছর আগে প্রথম শুরু করেন স্যুইমওয়্যার ডিজাইনিং। দিল্লিতে ‘উইলস্ লাইফস্টাইল ইন্ডিয়া ফ্যাশন উইক’-এ সুমন ওঁর বিচওয়্যার কালেকশন দেখাচ্ছেন। তবে স্যুইমওয়্যার কালেকশন থাকবে না সেখানে। তাঁকে যখন এ বছরের স্যুইমওয়্যার ট্রেন্ডস নিয়ে জিজ্ঞেস করা হয় তখন বলেন, ‘‘এ বছর অ্যানিমাল প্রিন্টের চল রয়েছে। আর সামুদ্রিক প্রাণীর ডিজাইনেরও কাটতি রয়েছে। হালকা সবুজ রং আমার বেশি পছন্দ। জলের নীচে এই রংটা খুব সুন্দর দেখায়। হালফিলের ফ্যাশনে কলার বোন দেখানোর বেশ চলছে। তাই ‘ব্যান্ডিউ’ বিকিনির (স্ট্র্যাপলেস বিকিনি) এ বার ভালই চাহিদা।” |
|
বলিউডে তখন |
|
|
শর্মিলা ঠাকুর
অ্যান ইভনিং ইন প্যারিস (১৯৬৭)
প্রথম ছবি সত্যজিৎ রায়ের ‘অপুর সংসার’। সেখান থেকে
শুরু করে ঠাকুর পরিবারের এই কন্যা পৌঁছে গিয়েছিলেন
সর্বভারতীয় স্তরে।
এই সিনেমাতেই প্রথম কোনও ভারতীয়
নায়িকাকে পর্দায় বিকিনি পরে দেখা যায়। |
ডিম্পল কাপাডিয়া
ববি (১৯৭৩)
মাত্র ষোলো বছর বয়সি ডিম্পলকে আবিষ্কার করেন রাজ
কপূর। ববি ছবিটির পরিচালক ছিলেন তিনিই। সিনেমাতে
তাঁর বিপরীতে অভিনয় করেন রাজ-পুত্র ঋষি কপূর। |
|
|
|
জিনাত আমন
কুরবানি (১৯৮০)
সিনেমাতে জিনাত ‘শীলা’ নামের এক জন নাইটক্লাব গায়িকার
ভূমিকায় অভিনয় করেন। দৃশ্যতে রাতের সমুদ্র, বিকিনিতে
জিনাত এবং ফিরোজ খানের মাখোমাখো কম্বিনেশন ফুটে উঠেছে। |
পরভিন ববি
ইয়ে নজদিকিয়া (১৯৮২)
ছবিতে পরভিনকে দেখা যায় এক মডেলের ভূমিকায়। বিকিনি পরিহিতা পরভিন ‘কোকাকোলা’ কোম্পানির একটি শ্যুটিং করছেন সমুদ্রসৈকতে। দৃশ্যটিতে নায়িকা ছুটতে ছুটতে এসে জড়িয়ে ধরেন মার্ক জুবারকে। |
|
|
বলিউডে এখন |
প্রিয়ঙ্কা চোপড়া দোস্তানা (২০০৮) |
করিনা কপূর টশন (২০০৮) |
অনুষ্কা শর্মা বদমাশ কম্পানি (২০১০) |
দীপিকা পাড়ুকোন ককটেল (২০১২) |
|