মাঠে ৩০ হাজার দর্শক আসন। অথচ আইএফএ শিল্ডে ইস্টবেঙ্গলের মতো দলের ম্যাচ দেখতে দর্শক আসনে দু’হাজার লোকও নেই। তাও অনেকে ‘অতিথি আমন্ত্রণ পত্র’ পেয়ে এসেছেন। টিকিট কেটে আসা দর্শকের সংখ্যা নামমাত্র। সোমবার টিকিট বিক্রির কাউন্টারই খোলেননি কর্মকর্তারা। কার্যত শিলিগুড়িতে শিল্ডের খেলা নিয়ে কোনও তাপ-উত্তাপ নেই। কোচ ট্রেভর মর্গ্যান-সহ লাল হলুদের ফুটবলারদের মধ্যে যাঁরা আগে এই স্টেডিয়ামে তাদের সমর্থকদের ভিড় দেখে গিয়েছেন তাঁরাও গ্যালারির পরিস্থিতি দেখে হতবাক। তাই এ বারের টাইটেল স্পনসর সংস্থার কর্মকর্তারা ক্ষুব্ধ। সোমবার বিকেলে তা নিয়ে কলকাতায় আইএফএ’র দফতরে সচিবের সঙ্গে বৈঠকে ক্ষোভ উগরে দেন তাঁরা।
আইএফএ সচিব উৎপল গঙ্গোপাধ্যায় এ দিন বলেন, “কিছু সমস্যা ছিল। স্পনসররা জানিয়েছে। তাদের কথা গুরুত্ব দিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা হচ্ছে।” তিনি জানান, মাধ্যমিকের জন্য মাইক ব্যবহার না করা গেলেও প্রচার গাড়ি, হোর্ডিংয়ের ব্যবস্থা হচ্ছে। আর যাতে সমস্যা না-হয় তারা দেখবেন। কিন্তু এত দিনে এ সবে কতটা লাভ হবে তা নিয়ে সন্দিহান স্পনসর সংস্থার কর্মকর্তারা।
পরিস্থিতির জন্য স্পনসররা আইএফএ এবং স্থানীয় আয়োজক শিলিগুড়ি মহকুমা ক্রীড়া পরিষদের কর্মকর্তাদের দায়ী করেছেন। রবিবার ছিল ইস্টবেঙ্গল এবং পৈলান অ্যারেজোর উদ্বোধনী ম্যাচ। গত শুক্রবার থেকে টিকিট বিক্রি শুরু হয়েছে। ওই দিন বিক্রি হয়েছে ৭০০ টিকিট। শনিবার ৬০০ এবং ম্যাচের দিন ৭০০ টিকিট বিক্রি হয়েছে। মঙ্গলবার খেলা থাকলেও সোমবার কাউন্টারই খোলা হয়নি। স্থানীয় আয়োজক মহকুমা ক্রীড়া পরিষদের তরফে জানানো হয়েছে কলকাতা থেকে ম্যাচের পর্যাপ্ত টিকিট আইএফএ’র তরফে পাঠানো হয়নি। তবে মঙ্গলবার থেকে তারা আগাম টিকিট বিক্রি শুরু করবেন। শিলিগুড়ি মহকুমা ক্রীড়া পরিষদের সচিব অরূপ রতন ঘোষ বলেন, “আয়োজনের দায়িত্ব আইএফএ আমাদের রাজি হয়নি। সব ম্যাচের টিকিটও এসে পৌঁছয়নি।”
এক দিকে প্রচার নেই। তার উপর এই পরিস্থিতি। লাল হলুদের গ্রুপে বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা দল আসতে না পারলেও পরিবর্তে কোন দল খেলবে সোমবার দুপুর পর্যন্ত ঠিক ছিল না। বিকেল গড়াতে চললে জানা যায় মুক্তিযোদ্ধার বদলি দল হিসাবে ওএনজিসি খেলতে আসছে। ‘টাইটেল স্পনসর’ হিসাবে ইতিমধ্যেই কয়েক লক্ষ টাকা খরচ করে ফেলেছেন স্পনসর সংস্থা। স্পনসররা তাঁদের ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন। এনভিডি এন্টারটেইনমেন্টস লিমিটেডের মিডিয়া প্রধান, জনসংযোগের দায়িত্বে থাকা চন্দন ভৌমিক বলেন, “উদ্যোক্তাদের উৎসাহের নমুনা এটা হলে ভবিষ্যতে কখনও আমরা টাইটেল স্পনসর হতে উৎসাহ দেখাব না।” তাঁদের অভিযোগ, স্টেডিয়ামের মাঠে এত বড় খেলা হচ্ছে অথচ শিলিগুড়ি মহকুমা ক্রীড়া পরিষদের প্রবেশ পথে খেলার প্রচার নিয়ে গেট নেই। শহরে বড় হোর্ডিং নেই। তেমনভাবে প্রচারও হয়নি কেন সেই প্রশ্নও তুলেছেন তাঁরা। |