জোটের সম্ভাবনা জিইয়ে রাখছে কংগ্রেস।
লোকসভা ভোটে জোটের সম্ভাবনা নিয়ে প্রশ্নের জবাবে সোমবার প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি প্রদীপ ভট্টাচার্য বলেন, “লোকসভা ভোট এখনও অনেক দূরে। লোকসভা নিয়ে এখনই অহেতুক ঢিল মারব কেন?” সম্প্রতি রেজিনগর, ইংলিশবাজার ও নলহাটি বিধানসভা কেন্দ্রে উপনির্বাচনের ফলের প্রেক্ষিতে কংগ্রেস ও তৃণমূল অন্দরে ফের জোট-সম্ভাবনার জল্পনা শুরু হয়েছে। নলহাটিতে কংগ্রেস- তৃণমূলের ভোট কাটাকাটিতে বাম প্রার্থী জিতে যাওয়ায় জোট করা না-করা নিয়েই দু’দলের সর্বস্তরে প্রশ্ন উঠছে।
প্রদীপবাবু যেমন জোটের সম্ভাবনা উড়িয়ে দেননি, তেমনই কংগ্রেসের নেতৃত্বাধীন কেন্দ্রীয় সরকারকে ‘অহেতুক’ আক্রমণ না-করে বরং তাদের সঙ্গে হাত মিলিয়ে রাজ্যের অর্থনৈতিক অবস্থার হাল ফেরানোর চেষ্টা করতে তৃণমূলের কাছে আর্জি জানিয়েছেন প্রাক্তন মন্ত্রী মানস ভুঁইয়া। তাঁর অভিযোগ, কেন্দ্রীয় বাজেটের বিরোধিতা করতে গিয়ে কখনও বিজেপি, কখনও সিপিএমের সঙ্গে সুর মেলাচ্ছে তৃণমূল। কংগ্রেস বিধায়ক মানসবাবু এ দিন বলেন, “তৃণমূল সংসদের ভিতরে-বাইরে বাজেটকে নানা আঙ্গিকে সমালোচনা করছে। তাদের সঙ্গে কখনও বিজেপি, কখনও সিপিএমের সুর মিলে যাচ্ছে!
অথচ ৫৬টি কেন্দ্রীয় কর্মসূচি রাজ্যে চলছে, সেগুলি তারা ভুলে
যাচ্ছে! তৃণমূল নেতৃত্বকে অনুরোধ, বিভিন্ন অংশের ভারসাম্য রক্ষা
করে পি চিদম্বরম যে বাজেট করেছেন, তার অহেতুক সমালোচনা না-করে রাজ্যের অর্থনীতির ভেঙে-পড়া
অবস্থা ফেরাতে কেন্দ্রের সঙ্গে হাত মিলিয়ে কাজ করুন!”
তৃণমূল অবশ্য কংগ্রেস নেতৃত্বাধীন কংগ্রেস সরকারের ‘জনবিরোধী নীতি’র সমালোচনা করছে। এমনকী, পঞ্চায়েত ভোটে একা লড়বে বলে ইতিমধ্যেই দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ঘোষণা করেছেন। সেই কারণেই কংগ্রেসও একক ভাবে লড়ার জন্য প্রস্তুতি নিতে শুরু করেছে বলে এ দিন প্রদীপবাবু জানিয়েছেন। তাঁর কথায়, “শেষ মুহূর্তে প্রস্তুতি শুরু করলে পঞ্চায়েতে যত সংখ্যক প্রার্থী প্রয়োজন, তা পাওয়া যাবে না। তাই দলের প্রার্থী খোঁজা শুরু হয়ে গিয়েছে।” শান্তিতে ও অবাধে ভোটের জন্য তিন-চার দিনে এবং রাজ্যের পুলিশের সঙ্গে প্রতি বুথে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করে পঞ্চায়েত নির্বাচন করার দাবি এ দিন ফের জানিয়েছেন প্রদীপবাবু। |