ছাত্রীর শ্লীলতাহানির অভিযোগে এক যুবককে পিটিয়ে পুলিশে দিল জনতা। পরে তাকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ধৃত যুবকের নাম আলম মণ্ডল গাজি। বাড়ি বসিরহাটের পিঁফায়। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ভ্যাবলা এলাকার একটি স্কুলের ষষ্ঠ শ্রেণিতে পড়ে ওই কিশোরী। ছুটির পরে বাড়ি ফিরছিল সে। অভিযোগ, ট্যাঁটরার কাছে তেঁতুলতলায় তার হাত ধরে টানাটানি শুরু করে আলম। আশপাশের লোকজন দেখে ফেলে ধাওয়া করে তাকে। রাস্তার পাশের একটি বাড়ির বাথরুমে ঢুকে আত্মগোপন করার চেষ্টা করেছিল অভিযুক্ত যুবক। কিন্তু তাকে বের করে এনে শুরু হয় গণধোলাই। স্থানীয় ক্লাবের ছেলেরা উত্তেজিত জনতার হাত থেকে উদ্ধার করে ক্লাব ঘরে আটকে রাখে। খবর যায় পুলিশের কাছে। তাকে আনা হয় থানায়। সন্ধ্যায় মেয়েটির পরিবারের তরফে শ্লীলতাহানির অভিযোগের ভিত্তিতে আলমকে গ্রেফতার করা হয়। প্রাথমিক ভাবে পুলিশের অনুমান, ওই যুবক মানসিক ভাবে পুরোপুরি সুস্থ নয়। তার পরিবারের লোকজনকে খবর দেওয়া হয়েছে।
|
তেঁতুল দেওয়ার লোভ দেখিয়ে ঝোপের মধ্যে নিয়ে গিয়ে সাড়ে পাঁচ বছরের একটি শিশুকে ধর্ষণের অভিযোগে গ্রেফতার হল দশম শ্রেণির এক ছাত্র। ধর্ষণের ঘটনাটি ঘটেছিল গত ২৭ ফেব্রুয়ারি দুপুরে গাইঘাটা ন্যাড়া গাজিপুর এলাকায়। শিশুটির পরিবারের পক্ষ থেকে সোমবার সন্ধ্যায় গাইঘাটা থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়। সোমবার রাতেই অভিযুক্তকে এলাকা থেকেই ধরেছে পুলিশ। শিশুটির শারীরিক পরীক্ষার জন্য ঠাকুরনগরে চাঁদপাড়া ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে পাঠানো হয়েছে। তার বাবা পেশায় খেতমজুর। ভয়ে, লজ্জায় তিনি ঘটনার কথা এত দিন থানায় জানাতে পারেননি। কিন্তু মেয়ের শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় এ দিন অভিযোগ দায়ের করেন। থানায় ডায়েরি না করার জন্য স্থানীয় ভাবে তাঁদের উপর চাপ সৃষ্টি করা হচ্ছিল বলে অভিযোগ।
|
বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে ধর্ষণের অভিযোগে এক কলেজ ছাত্রকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ঘটনাটি সন্দেশখালির কালীনগরের। স্বামী পরিত্যক্তা বছর পঁচিশের ওই মহিলার সঙ্গে সম্পর্ক গড়ে উঠেছিল জেলিয়াখালির বাসিন্দা শ্রীমন্ত সর্দার। অভিযোগ, জোর করে মহিলার সঙ্গে শারিরীক সম্পর্কে লিপ্ত হয় ওই যুবক। পরে বিয়ের প্রতিশ্রুতি দেয়। পরে ফের বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে সহবাস করে তাঁর সঙ্গে। শেষমেশ যুবকটি বিয়েতে বেঁকে বসায় পুলিশের দ্বারস্থ হন মহিলা। গ্রেফতার করা হয় শ্রীমন্তকে। যুবকের পরিবারের অবশ্য দাবি, ফাঁসানো হয়েছে তাঁকে।
|
কৃষি সমবায় ব্যাঙ্কের দরজা ভেঙে ঢুকে দেড় লক্ষ টাকা হাতিয়ে পালাল দুষ্কৃতীরা। রবিবার রাতে ঘটনাটি ঘটেছে সন্দেশখালির দুর্গামণ্ডপের গাববেড়িয়া গ্রামে। সোমবার সকালে ব্যাঙ্কের কর্মীরা গিয়ে দেখেন, দরজা ভাঙা। সিন্দুকও ভেঙে ফেলা হয়েছে। খবর পেয়ে পুলিশ আসে। অন্য দিকে, একাধিক ডাকাতির ঘটনায় জড়িত হাতকাটা হামিদ গাজিকে জেরা করে একটি রিভলভার ও ৬ রাউন্ড গুলি উদ্ধার হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। কিছু রূপোর অলঙ্কারও উদ্ধার হয়েছে। জেলা পুলিশ সুপার সুগত সেনের তত্ত্বাবধানে গত বৃহস্পতিবার অভিযান চালিয়ে হামিদ-সহ পাঁচ জনকে ধরে পুলিশ।
|
সাইকেল চোর সন্দেহে এক যুবককে গণপিটুনি দিয়ে পুলিশের হাতে তুলে দিল জনতা। সোমবার সকালে ঘটনাটি ঘটেছে হাবরার বাণীপুর এলাকায়। পুলিশ ওই যুবককে জিজ্ঞাসাবাদ করছে।
|
বিষমদ মামলায় সময় চায় সরকার |
মগরাহাটে বিষমদে ব্যাপক প্রাণহানির ঘটনায় তদন্তভার সিআইডি-র হাত থেকে নিয়ে সিবিআই-কে দেওয়ার দাবি জানানো হয়েছে একটি জনস্বার্থের মামলায়। সোমবার ওই মামলার শুনানিতে রাজ্যের অ্যাডভোকেট জেনারেল বিমল চট্টোপাধ্যায় সরকার পক্ষের বক্তব্য জানানোর জন্য কিছুটা সময় চান। আজ, মঙ্গলবার ফের শুনানি। অ্যাডভোকেট জেনারেল বিকেলে এডিজি (সিআইডি) শিবাজী ঘোষকে ডেকে পাঠান। পৌনে ৫টায় শিবাজীবাবু হাইকোর্টে আসেন। তাঁদের মধ্যে প্রায় আধ ঘণ্টা কথা হয়। সিআইডি-র অন্য কর্তারাও ছিলেন। রাজ্যের পাবলিক প্রসিকিউটর মনোজিৎ সিংহও আলোচনায় যোগ দেন।
|
মাটির তলা থেকে বিএসএনএলের কেবল চুরিতে জড়িত সন্দেহে চার জনকে গ্রেফতার করল পুলিশ। শনিবার সন্ধ্যা থেকে রবিবার সকাল পর্যন্ত অভিযান চালিয়ে গুমা থেকে তাদের ধরা হয়। ধৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ করে প্রায় ১ লক্ষ টাকার কেব্ল উদ্ধার হয়েছে। ধৃতদের নাম নিতাই কর্মকার, বসিরউদ্দিন মণ্ডল, প্রসেনজিৎ দাস ও তন্ময় ঘোষ। নিতাইয়ের বাড়ি স্থানীয় বিড়া এলাকায়। বাকি তিন জনের বাড়ি অশোকনগর থানার তালসায়। পুলিশের দাবি, ধৃতেরা চুরির সঙ্গে যুক্ত থাকার কথা স্বীকার করেছে। সম্প্রতি হাবরা, গোবরডাঙা, মছলন্দপুর এলাকায় কয়েকটি কেব্ল চুরির ঘটনা ঘটে। যার জেরে টেলিফোন ও ইন্টারনেট সংযোগ বিছিন্ন হয়ে যাচ্ছিল বার বারই।
|
লরির ধাক্কায় মৃত্যু হল এক প্রাথমিক স্কুল শিক্ষকের। রবিবার বিকেলে ঘটনাটি ঘটেছে মিনাখাঁর মঠবাড়ি মোড়ে। পুলিশ জানায়, মৃতের নাম নুরুল হাসান শেখ (৩৯)। বাড়ি বাসন্তী থানার জয়গোপালপুর গ্রামে। বিকেল ৪টে নাগাদ মোটর বাইকে মালঞ্চের দিকে আসছিলেন নুরুল। সে সময়ে উল্টো দিক থেকে আসা একটি লরি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে বাইকটিকে ধাক্কা মারে। জখম হন ওই শিক্ষক। কলকাতার মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হলে রাতে সেখানেই মারা যান তিনি। লরিটির খোঁজ করছে পুলিশ।
|