বিয়ের প্রস্তুতি মোটামুটি হয়ে গিয়েছিল। এসে গিয়েছিলেন নিমন্ত্রিতেরাও। হঠাৎই হাজির হল পুলিশ। তাদেরই হস্তক্ষেপে সোমবার বন্ধ হল নাবালিকা বিবাহ। ঘটনাটি মন্দিরবাজারের কৃষ্ণদেবপুর গ্রামের।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, কৃষ্ণদেবপুর গ্রামের বছর সতেরোর এক নাবালিকার সঙ্গে মথুরাপুরের রানাঘাট গ্রামের পেশায় ফল ব্যবসায়ী দিব্যেন্দু হালদারের বিয়ে হওয়ার কথা ছিল এ দিন। কিন্তু এই বিয়ে খবর চলে যায় প্রশাসনের কানে। বিয়েবাড়িতে যান মন্দিরবাজারের বিডিও পার্থ দে এবং স্থানীয় থানার ওসি সুভাষ ঘোষ। তাঁরা ওই নাবালিকার পরিবারকে বিবাহের প্রয়োজনীয় বয়স সর্ম্পকে বোঝান। মেয়েটির বাবা বলেন, “আমি ট্রেনে হকারি করে সংসার চালাই। ভাল পাত্র পেয়েছিলাম। তাই অত কিছু না ভেবেই মেয়ের বিয়ে ঠিক করি।”
মন্দিরবাজার থানার ওসি বলেন, “ওই মেয়েটি সপ্তম শ্রেণির পরে পড়া ছেড়ে দিয়েছিল। এর পরে ও যাতে ফের পড়াশুনা করতে পারে তার জন্য আমরা ব্যবস্থা করব। বরের বাড়িতেও খবর দেওয়া হয়েছে। মেয়ে প্রাপ্তবয়স্ক হওয়ার পরে এই বিয়ে হবে কি না, সে বিষয়ে দুই পরিবারের সদস্যেরা সিদ্ধান্ত নেবেন।” মহকুমাশাসক (ডায়মন্ড হারবার) কৌশিক ভট্টাচার্য বলেন, ‘‘মেয়েটি আগে যে স্কুলে পড়ত সেই স্কুল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করে মেয়েটির ভর্তির ব্যাপারে ব্যবস্থা করা হবে।” |