|
|
|
|
পশ্চিমে উদ্যোগী প্রশাসন |
বিপর্যয় ঠেকাতে সংসদ স্তরে কমিটি |
নিজস্ব সংবাদদাতা • মেদিনীপুর |
জেলা বা ব্লক স্তর নয়, একেবারে সংসদ স্তরেও প্রাকৃতিক বিপর্যয় মোকাবিলা কমিটি তৈরিতে উদ্যোগী হল পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা প্রশাসন। কোথাও কোনও বিপর্যয় ঘটার সঙ্গে সঙ্গেই যাতে মোকাবিলা করা যায় তার জন্য প্রশিক্ষণও দেওয়া হবে। পশ্চিম মেদিনীপুরের অতিরিক্ত জেলাশাসক (সাধারণ) রজতকুমার সাইনি বলেন, “প্রত্যন্ত এলাকায় বিপর্যয় ঘটলে ব্লক বা জেলা থেকে উদ্ধারকারী দল পৌঁছতে কিছুটা সময় লেগে যায়। যাতে তার আগে স্থানীয় স্তরেই সেই কাজ শুরু করা যায় তার জন্যই এই পদক্ষেপ।”
পশ্চিম মেদিনীপুর জেলায় প্রাকৃতিক বিপর্যয় বলতে বন্যা। বর্ষায় ভারী বৃষ্টি হলেই জেলার বেশ কয়েকটি ব্লকে বন্যা হয়। ঘাটাল মহকুমার বেশ কয়েকটি এলাকার সঙ্গে সঙ্গে খড়্গপুর মহকুমার সবং, পিংলা, নারায়ণগড়, কেশিয়াড়ি, দাঁতন, ডেবরা, ঝাড়গ্রাম মহকুমার গোপীবল্লভপুর, মেদিনীপুর সদর মহকুমার কেশপুর-সহ বেশ কয়েকটি জায়গায় বন্যার প্রকোপ ভালই। আবার কখনও শিলাবৃষ্টিতে নষ্ট হয় ফসল।
জলাধার থেকে জল ছাড়ার ফলে যেহেতু বন্যার প্রকোপ বাড়ে তাই বিষয়টি নিয়ে জেলা প্রশাসন আগে থেকে তৈরি থাকার সুযোগ পায়। আগে থেকে ব্যবস্থা রাখা যায় ত্রাণের। উদ্ধারকারী দলকেও তৈরি রাখা যায়। কিন্তু হঠাৎ বিপর্যয় হলে গ্রাম থেকে খবর আসতে অনেক সময়েই দেরি হয়। তখন গ্রামের বাসিন্দারা মানসিকভাবেও ভেঙে পড়েন। কিন্তু সংসদ এলাকাতে বিপর্যয় মোকাবিলা কমিটি তৈরি থাকলে কমিটির সদস্যরা এলাকাটি ভাল করে জানবেন। কোন এলাকা সব থেকে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত, কী ভাবে সেখানে দ্রুত পৌঁছনো যায় সে ব্যাপারে তাঁরা সম্পূর্ণ ওয়াকিবহাল থাকবেন। এমনকি নিজেরাই আগে থেকে সেই কাজ শুরু করতে পারেন। পরে জেলা বা মহকুমা থেকে উদ্ধারকারী দল পৌঁছলে কাজ আরও সহজ হয়ে যায়। এছাড়াও বিপর্যয়ের খবরও জেলাস্তরে দ্রুত পাওয়া যাবে। কারণ, কমিটির সদস্যরাই তা জানিয়ে দেবেন। ফলে সব দিক দিয়েই লাভবান হবে জেলা।
পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার ২৯টি ব্লকে ৩৪৯১টি সংসদ রয়েছে। এর আগে সংসদ স্তরে বিপর্যয় মোকাবিলা নিয়ে তেমন উদ্যোগ দেখা যায়নি। জেলা ও মহকুমাস্তরেই বিপর্যয় মোকাবিলা নিয়ে নানা আলোচনা হয়েছে বা কমিটি গঠন হয়েছে। প্রশিক্ষণের ক্ষেত্রেও প্রাধান্য পেয়েছে জেলা, মহকুমা বা কয়েকটি ব্লক। প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, তাই জেলা-মহকুমা ও ব্লক স্তর ছাড়াও সংসদ স্তরেও এই কমিটি তৈরি করা হবে। সেই কমিটিতে থাকবেন স্থানীয় পঞ্চায়েত সদস্য, শিক্ষক, ক্লাবের সদস্য, স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন-সহ বিভিন্ন ধরনের মানুষ। ইতিমধ্যেই সেই প্রক্রিয়াও শুরু হয়েছে। কমিটি গঠন হয়ে গেলে প্রশিক্ষণেরও ব্যবস্থা করা হবে। যাতে বিপর্যয় মোকাবিলায় ভবিষ্যতে কোনও সমস্যা না হয় সেই লক্ষ্যেই দ্রুত গতিতে কাজ করার চেষ্টা হচ্ছে বলে প্রশাসন সূত্রে খবর।
|
|
|
|
|
|