ভারত ৪ (সুনীল-২, ক্লিফোর্ড, জুয়েল)
গুয়াম ০ |
নেহরু কাপের পর উইম কোভারম্যান্স আরও একটি সাফল্যের সামনে।
পরপর দু’টি ম্যাচ জিতে এ এফ সি চ্যালেঞ্জ কাপের মূল পর্বে যাওয়ার পথে কোভারম্যান্সের ভারত।
মলদ্বীপে মূল পর্বে যাওয়ার ছাড়পত্র পেতে হলে সুনীল ছেত্রী-জুয়েল রাজাদের সামনে আর মাত্র একটি বাধা--মায়ানমার। কাল বুধবার মায়ানমারের সঙ্গে ড্র করলেই গ্রুপ শীর্ষে থেকে পরের পর্বে চলে যাবে ভারত। কারণ, এ দিনই চিনা তাইপের সঙ্গে মায়ানমার ড্র করায় সুবিধা হয়ে গেল সুনীলদের। গুয়ামকে হেলায় উড়িয়ে দিয়ে তাই তৃপ্তির ঢেকুর তুলে কোভারম্যান্স বলে দিয়েছেন, “এই ম্যাচটা আমাদের জিততেই হত। না হলে আমরা সমস্যায় পড়ে যেতাম। ছেলেরাও সেই চাপটা নিয়েই এ দিন মাঠে নেমেছিল।”
গুয়ামের বিরুদ্ধে এ দিন অবশ্য প্রথমার্ধে গোল না পাওয়ায় সামান্য চাপে পড়ে গিয়েছিল ‘মেন ইন ব্লু’। ম্যাচের শুরুতে গুয়াম একটা সহজ সুযোগও পেয়েছিল। এর বাইরে অবশ্য সে ভাবে কোনও প্রাপ্তি নেই ফিফা র্যাঙ্কিংয়ে ভারতের চেয়ে অনেক পিছিয়ে থাকা দলটির। বিরতির আগে সুযোগ অবশ্য কম পাননি সুনীলরা। যেগুলো কাজে লাগাতে পারলে ব্যবধান আরও বাড়ত। |
জোড়া গোল অধিনায়কের। —নিজস্ব চিত্র |
নেহরু কাপ থেকেই দেখা যাচ্ছে বিরতির পর অন্য রকম খেলে ডাচ কোচের টিম। সেটা চ্যালেঞ্জ কাপে এসেও বদলায়নি। ফুটবল মাঠে একেবারেই অচেনা দেশ গুয়ামকে পাঁচ গোল দিয়েছিল মায়ানমার। সেটা বলেই সম্ভবত তাতিয়ে ছিলেন কোভারম্যান্স। ফলে, বিরতির পর তীব্র আক্রমণাত্মক মনোভাব নিয়ে মাঠে নামে ভারত। হাতে নাতে ফলও পেয়ে যায়।
সুনীলের গোলে অক্সিজেন প্রথম পায় ভারত। এরপর ক্লিফোর্ড আর জুয়েলের অসাধারণ দু’টি গোলে ব্যবধান বাড়ে। বজবজের জুয়েল যে ভাবে পরপর দু’টো ম্যাচেই গোল পেলেন, তা দেখার পর অবনমনের আওতায় থাকা মোহনবাগানের কোচ করিম বেঞ্চারিফা খুশি। বলে দিয়েছেন, “জুয়েল গোল করায় ভারতের যেমন লাভ হচ্ছে। আমারও সুবিধা।” ইনজুরি টাইমে সুনীলের দ্বিতীয় গোলে গোয়ামের কফিনে শেষ পেরেকটি পোঁতে ভারত। বড় ব্যবধানে জিতলেও সুনীলরা গোলের সহজ সুযোগগুলো নষ্ট করার সন্তুষ্ট নন জাতীয় কোচ কোভারম্যান্স। বলে দিলেন, “এ দিন অন্তত দশ গোল জিততে পারতাম আমরা।”
এ দিকে ভারতের নাগরিকত্ব নেওয়া আরাতা ইজুমিকে ভারতের জার্সি গায়ে খেলতে দেখার পর গ্যালারিতে এক আবেগঘন পরিস্থিতির সৃষ্টি হল। প্যালেস্তাইনের বিরুদ্ধে প্রদর্শনী ম্যাচে খেলেছিলেন আরাতা। এই প্রথম কোনও টুর্নামেন্টে প্রতিনিধিত্ব করলেন তিনি। ভারতের জার্সি পরে ছেলেকে কেমন লাগে তা দেখতে জাপান থেকে এসেছিলেন ইজুমির মা। ছেলের দল জিতছে দেখার পর কেঁদে ফেলেন তিনি। বাবা ভারতীয় হওয়ার কারণে এ দেশের নাগরিকত্ব পেয়েছেন পুণে এফসি’র ফুটবলারটি।
নেহরু কাপ জিতেছিলেন। কোভারম্যান্সের সাফল্যের রেখচিত্র মায়ানমারেও উর্ধ্বমুখী। এখানে তিনি একশো শতাংশ সফল হবেন কি না, সেটা জানার জন্য অবশ্য বুধবার পর্যন্ত অপেক্ষায় থাকতে হবে।
|
ভারত: সুব্রত, ডেনজিল, গৌরমাঙ্গি, রাজু, গুরজিন্দর, নবি (ফ্রান্সিস), লেনি (আরাতা), মেহতাব, ক্লিফোর্ড, জুয়েল, সুনীল। |