|
|
|
|
মাদক খাইয়ে ছাত্রীকে ধর্ষণ, সোচ্চার জনতা |
নিজস্ব সংবাদদাতা • গুয়াহাটি |
রক্ষকই হয়ে উঠল ভক্ষক। মাদক খাইয়ে এক ছাত্রীকে ধর্ষণ করার অভিযোগ উঠল পুলিশের বিরুদ্ধেই। ধর্ষণের ঘটনাকে কেন্দ্র করে অগ্নিগর্ভ হয়ে উঠেছে অরুণাচল প্রদেশের লংডিং। গত কাল সন্ধ্যায়, লংডিং শহরে উত্তেজিত জনতা থানা ও স্বাস্থ্যকেন্দ্রে হামলা চালিয়ে অভিযুক্ত জওয়ান ও পুলিশকর্মীদের জখম করার পরে পুলিশ গুলি চালায়।
ঘটনার শুরু ২ মার্চ রাতে। পুলিশ সূত্রে খবর, লংডিং সরকারি উচ্চ মাধ্যমিক স্কুলের ষষ্ঠ শ্রেণির এক ছাত্রী স্কুলের পড়ে বাড়ি না ফেরায় তাঁর পরিবার খোঁজাখুজি শুরু করেন। রাতে সার্কিট হাউসের পিছন দিকে মেয়েটির সংজ্ঞাহীন দেহ মেলে। গত কাল সকালে তার জ্ঞান ফেরে। তখনই মেয়েটি সব জানায়। ছাত্রীর অভিযোগের ভিত্তিতে, স্থানীয় মানুষ ও পুলিশ ১ নম্বর রিজার্ভ ব্যাটালিয়নে কর্মরত অভিযুক্ত জওয়ানকে পাকড়াও করে। জেরায় সে দোষ স্বীকার করে নিয়েছে। পুলিশকে অভিযুক্ত জানায়, ঠান্ডা পানীয়ের মধ্যে মাদক মিশিয়ে মেয়েটিকে অজ্ঞান করার পরে তাকে ধর্ষণ করা হয়েছিল। বিকেলে অভিযুক্তকে ডাক্তারি পরীক্ষায় নিয়ে যাওয়ার সময় উত্তেজিত জনতা পুলিশের হাত থেকে অভিযুক্তকে ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করে। পুলিশ বাধা দেওয়ায় শুরু হয় খণ্ডযুদ্ধ। ভাঙচুর চলে স্বাস্থ্যকেন্দ্রেও। পুলিশের গাড়িতে আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়। অভিযুক্ত জওয়ান-সহ বেশ কয়েকজন পুলিশকর্মী জখম হন। পরিস্থিতি সামলাতে পুলিশ এরপর গুলি চালায়। পরে বিরাট পুলিশ বাহিনী ও সেনাবাহিনী গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। নিরাপত্তার জন্য, জখম অভিযুক্তকে হাসপাতালে রাখা যায়নি। থানায়, সেনা চিকিৎসক তাঁর চিকিৎসা চালান। এসপি বিজয় কুমার জানান, ধৃত জওয়ানের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগে মামলা রুজু করা হয়েছে। অভিযুক্তর আঘাত গুরুতর। তার মাথায় চোট লেগেছে। তাকে ডিব্রুগড়ের অসম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়েছে। স্থানীয় বিধায়ক থাংওয়াং ওয়াংঘাম ঘটনার নিন্দা করে দোষীর চরম শাস্তি দাবি করেন। সেই সঙ্গে আইনের উপরে আস্থা রাখার জন্য জনতার কাছে আবেদন জানান তিনি। |
|
|
|
|
|